প্রিয় পাঠক শেয়ার করলাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা, আমাদের সবার জানা অত্যাবশক । জন্ম নিবন্ধন নম্বরই হবে ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার বা এন আইডি নম্বর। আমরা সবাই মানব জাতি এটা আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় তার সাথে সাথে এনআইডি নম্বর ও আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমাদের পরিচয় দৈনন্দিন জীবন যাপন এবং চলার পথে সাহায্য করে থাকে।।
জন্ম নিবন্ধন নম্বরই হবে ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে হবে?
একটি শিশু জন্মের পর থেকে জন্ম নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে হবে।আর এই জন্ম নিবন্ধন নম্বর ই হবে জাতীয় পরিচয়পত্র এর নম্বর।এমন বিধান রেখে ‘ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২২’এর খসড়া নীতি অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২২
শর্তসাপেক্ষে এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা ।জন্মের পর পরই জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে খসড়ার আইনে। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা বলেছেন।
শিশুর জন্ম নিবন্ধন বা এনআইডি
তিনি বলেন এখন থেকে জন্মের পর পর সব শিশুর জন্ম নিবন্ধন হবে।আর নিবন্ধন এর এই ইউনিক আইডি হবে জাতীয় পরিচয়পত্র।আগের আইনটি ২০১০ সালের ( জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন) ।সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন এর কাছে এনআইডি কার্যক্রম আছে। নির্বাচন কমিশন এর কাছে থেকে এখন সরকারের কাছে নিয়ে আসতে চাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এর কাজ আসলে ভোটার আইডি থেকে শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এটা এনআইডি হিসেবে রূপান্তর করা হয়। নির্বাচন সংক্রান্ত বেসিক কনসেপ্ট ছিল তখন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এনআইডি নির্বাচন কমিশন এর চেয়ে বেশি দরকার সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা ।
- জন্ম নিবন্ধন চেক বা ডাউনলোড করার নিয়ম
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
- জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম
কারন নির্বাচন কমিশন সবক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। সেজন্য এটা অর্থাৎ এনআইডি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সুরক্ষা সেবা বিভাগে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ,যারা পার্সপোট হ্যান্ডেল করে । সচিব বলেন মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ,আমি ওই জাতীয় কমিটির সভাপতি সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই রেজিস্ট্রেশন হবে। আল্টিমেটলি আজ থেকে ৫/৬ বছর পর ওই নম্বরে টি সব জায়গায় যাবে । সেজন্য পার্সপোট এর সঙ্গে একটু সিনক্রোনাইজ করে জন্মের সময় নম্বর টা দিয়ে দেয়া হবে। আমাদের ক্ষেত্রে এটা করা যাবেনা । আগামী ৩/৪ বছর পর জন্মর সঙ্গে সঙ্গেই finger, চোখের দৃষ্টি ,হাতের চাপ, মুখচ্ছবি সব দেওয়া হবে এবং মডিফিকেশন হবে।যারা বয়স্ক তাদের মডিফিকেশন লাগবেনা। একবার দিলেই হবে। এজন্য এটা সুরক্ষা সেবা বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।তবে এ আইনটি একটু রিভিউ করা দরকার বলে মনে করছে মন্ত্রীসভা।
জন্মের সময় যে রেজিস্ট্রেশন হবে সেই নম্বর টা যাতে সব জায়গায় থাকে ।আইন ও বিধি হলে এই বিষয়গুলো পরিস্কার হবে। আপাতত যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।
এনআইডি কারা পাবেন ?
মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রশ্নের জবাবে বলেন জন্মের পর পরই একটা শিশুর এনআইডি হয়ে যাবে।এ আইনটি হওয়ার পর।
এ আইনটি হতে কত দিন লাগবে এর জবাবে বলা হয় আমার মনে হয় একমাস লাগবে।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
পরিশেষে বলা যায় এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র অতি প্রয়োজনীয় কেননা সব ক্ষেত্রেই এনআইডি দরকার পড়ে আর জন্মনিবন্ধন নম্বর ই হবেই এনআইডি নম্বর । বিষয়টি বেশী করে শেয়ার করবেন ।