ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম, যে আপনি নিজে কিভাবে আপনার NID Card এর ভুলগুলো সংশোধন করবেন। তবে তা জানার আগে ভোটার আইডি কার্ড কি কি কাজে আসে তা একটু জেনে নিন।
আমরা ভোটার আইডি কার্ড সব সময় আমাদের বিভিন্ন কাজ কর্মে ব্যবহার করি, এবং আইডি কার্ডের প্রয়োজন এখন প্রতিদিনও অনেকর হয়। ভোটার আইডি কার্ড আপনার বয়স বাড়ি বিভাগ আপনার সম্পূর্ণ পরিচয়ের জন্য আপনি কোন দেশের নাগরিক এবং বিভিন্ন তথ্যের জন্য ও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে NID Card এর প্রয়োজন হয়।
তবে এখন আমাদের মনে প্রশ্ন হল যদি আমাদের ভোটার আইডি কার্ডটিতে কোন ভুল থাকে তাহলে কিভাবে সংশোধন করব। ভোটার আইডি কার্ডে ভুলের ধরন যেমন আপনার আইডি কার্ডে.. ভোটার আইডি কার্ডের কি কি সংশোধন করতে পারবেন।
- আপনার ভোটার আইডি যদি কার্ড নষ্ট হয়ে যায়।
- অথবা ভোটার কার্ডের ছবির মাধ্যে সমস্যা যেমন ছবি ঠিক মতো বোঝা যায়না।
- ভোটার কার্ডের বয়সের মধ্যে ভুল রয়েছে
- NID Card এর নামের মধ্যে ভুল রয়েছে যেমন বানান অথবা বা বাবা এবং মায়ের নামের বানান ভুল রয়েছে তাহলে কিভাবে সংশোধন করবেন।
- আপনার স্বামী বা স্ত্রী নাম ভোটার আইডি কার্ডে যোগ করবেন অথবা কোন একজনের নাম ডিলিট করবেন।
- ভোটার আইডি কার্ডের address পরিবর্তন করবেন ইত্যাদি।
বর্তমানে আপনি অনেক সহজেই আপনার মোবাইল দিয়ে আপনার নিজের হাতেই ভোটার কার্ডটিকে সংশোধন করতে পারবেন অনেক সহজে ঘরে বসে এবং আইডি কার্ডের সবকিছু ঠিক হয়ে একটি নতুন আইডি কার্ড পেয়ে যাবেন।
Table of Contents
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার ধাপসমূহ:
আপনি নিচের দেওয়া ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধনের ধাপগুলো ফলো করলে খুব সহজেই ঘরে বসে নিজে নিজেই করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ১ম ধাপ।
প্রথমে আপনি আপনার মোবাইলের একটি ব্রাউজার ওপেন করে নিবেন এবং পরবর্তীতে ভোটার কার্ড এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটি সার্চ করে ওপেন করবেন। ওয়েবসাইট লিংক এই ওয়েবসাইটে ডুকে সর্বপ্রথম একটি একাউন্ট খুলতে হবে। আর একাউন্ট খুলার জন্য অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্ম তারিখ জানতে হবে।
একাউন্ট কিভাবে খুলবেন এই পোস্টে ভালো করে বুঝিয়ে দেওয়া আছে। দেখে দেখে একাউন্ট খুলুন।
এই পোস্টে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম দেওয়া আছে চেক করতে হলেও একাউন্ট খুলতে হয় যখন একাউন্ট খুলা শেষ হবে তখন নিচের ছবির মত একটি পেজ আসবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ২য় ধাপ।
প্রফাইল টাপ করে পরের পেইজটি ওপেন করুন তারপর নিচের ছবির মত দেখতে পাবেন।
উপরে দেখতে পাচ্ছেন এডিট নামের একটি অপশন দেখতেছেন এই এডিট অপশনে ক্লিক করুন তখন নতুন আরেকটি পেইজ অপেন হবে নিচের ছবির মত।
এই ছবির মধ্যে পেমেন্টর তথ্য দেওয়া আছে যে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য পেমেন্ট করতে হবে পেমেন্ট করতে পারবেন যে যে মাধ্যমে
- বিকাশ
- ডার্চ বাংলা ব্যাংক
- রকেট
- ওয়ান ব্যাংক
আরো কয়েকটি আছে উপরের পিকচারের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ৩য় ধাপ।
বহাল লেখা অপশনে ক্লিক করার পর নিচের ছবির মত একটি পেজ ওপেন হবে।
এই পেইজটিতে ১,২,৩,৪,৫, টি অপশন দেখতে পাচ্ছেন প্রথমটিতে এডিট অপশন এই অপশনে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, বাবার নাম, মায়ের নাম আপনি যেটি পরিবর্তন করবেন কাছের ছোট বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে এডিট করে নিবেন তবে একবারে সব কিছু এডিট দ্বিতীয় বার আপনি আর এডিট করতে পারবেন না সব কিছু এডিট করা শেষ হলে পরবর্তী ধাপের জন্য উপরে পরবর্তী একটি অপশনে ক্লিক করুন।
ভোটার আইডি কার্ড Address সংশোধন কিভাবে করবেন।
ভোটার আইডি কার্ডের address এর মধ্যে ভুল থেকে থাকলে তাহলে শুধু জন্মস্থানের ভুল সংশোধন করতে পারবেন। উপরের পিকচারে দেখতে পাচ্ছেন লাল ঘরের ভিতরে জন্মস্থানের ছোট বক্সে টিক দিয়ে ভিতরে ঢুকে আপনার সঠিক ঠিকানা দিয়ে পরবর্তী ধাপের জন্য ক্লিক করুন।
NID Card Correction BD ৪র্থ ধাপ।
এডিট করা শেষ হলে নিচের ছবির মত একটি পেজ ওপেন হবে।
এই ধাপে পেমেন্ট করার জন্য বলা হয়েছে আপনি এখন পেমেন্ট করে পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন পেমেন্ট করার জন্য সব থাকে সহজ উপায় হল বিকাশ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা নিচে কয়েকটি ছবির প্রতি লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন।
আপনার বিকাশ অ্যপ ওপেন করার পর নিচে লক্ষ্য করলে দেখবেন pay bill নামের একটি অপশন আছে বিকাশে এখানে দেখতে পাবেন NID correction নামের একটি অপশন আছে। উপরের ছবির মত তার এখানে ফি পে করবেন।
ফি দেওয়ার পর পরবর্তী বটমে ক্লিক করলে একটি পেজ ওপেন হবে দেখতে পাবেন আপনার টাকা শো হবে। তারপর পরবর্তী ধাপের জন্য পরবর্তী বটমে ক্লিক করুন।
Voter ID Card Correction ৫ম ধাপ পেমেন্ট।
এই ধাপের মাধ্যে আপনার এডিট যদি জন্ম তারিখ নাম বাবার নাম মায়ের নাম চেইন্জ করেছিলেন যে এই ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড দিতে হবে এ ক্ষেত্রে আপনার কলেজের সার্টিফিকেট এবং বাবা মায়ের আইডি কার্ড আপলোড করবেন। নিচের পিকচারের দিকে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ডকুমেন্ট আপলোড।
ভোটার তথ্য সংশোধন শেষ ধাপ।
এই পেইজটিতে এসে সবকিছু চেক করে সাবমিটে ক্লিক করবেন।
সাবমিট হওয়ার পর নিচের ছবির মত একটি ফরম দিবে ফরমটি ডাউনলোড করে নিবেন। শেষ হলো আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম বিস্তারিত
NID correction form
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফিস কত?
ভোটার আইডি কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একাউন্ট খুলার পর এখন প্রয়োজন হবে আপনি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য নির্ধারিত একটি ফিস রয়েছে তা দিতে হবে রকেট অথবা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমেও দিতে পারবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর দ্বিতীয় ধাপে আপনি ফি দিতে হবে।
আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রে যে তথ্য লেখা থাকে যেমন নাম, ঠিকানা, এড্রেস পিতার নাম এগুলোর যেকোনো একটি nid carder সংশোধন করতে চাইলে যদি প্রথমবার আবেদন করেন। তাহলে প্রথমবার আবেদনের জন্য ২০০ টাকা ফি দিতে হবে, ২ য় বার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাইলে ৩০০ টাকা এবং পরে যতবার NID Card Correction জন্য আবেদন করবেন প্রতিবার ৪০০ টাকা করে ফি দিতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর পর চেক কিভাবে করবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর জন্য আবেদন করার পর ভোটার আইডি কার্ডের ভুলগুলো সংশোধন হয়েছে কি না তা চেক করতে পারবেন অনলাইনে। আপনার ভোটার আইডি অনলাইনে নিজে চেক করার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের হেল্পফুল হলে প্লিজ আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সাপোর্ট করবেন।Facebook Page here.
মাশাআল্লাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, খুব সহজেই nid card সংশোধন করা যাচ্ছে তা-ও আবার নিজেই।
বয়ষ কি সংশোধন করা যায় কি
জি ভাই যায়।