সার্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন নিয়ম ২০২৩ | How to Registration Upension 2023

আপনি কি সার্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, কাদের জন্য সার্বজনীন পেনশন, Upension Registration 2023 এর সম্পর্কেও জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনার জন্য আজকের আর্টিকেলটি অত্যন্ত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়লে কিভাবে অনলাইনে সার্বজনীন পেনশন আবেদন করবেন এবং এর জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন তার সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভাবে জানতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে সরকারি বিষয়ক সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে সার্বজনীন পেনশন সম্পর্কিত তথ্যগুলো। যা জানার জন্য মানুষ অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছে দীর্ঘ সময় ধরে। কারণ এই সার্বজনীন পেনশনের মাধ্যমে আমাদের দেশের মানুষ বেশ উপকৃত হবে। বেশ কয়েকদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন এই সার্বজনীন পেনশনের ব্যাপারে। যাতে করে সাধারণ মানুষ তার ভবিষ্যতের একটি নিশ্চয়তা এবং আর্থিক সচ্ছলতা পেয়ে যায়। আসুন দেখে নেই আজকের এই আর্টিকেলে বিষয়টি সম্পর্কে।

আজকের আর্টিকেলে আপনারা যা যা জানতে পারবেন

  • সার্বজনীন পেনশন কি?
  • সার্বজনীন পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা
  • সার্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন নিয়ম ২০২৩
  • সার্বজনীন পেনশনে কত টাকায় কত টাকা পাওয়া যাবে

সার্বজনীন পেনশন কি | What is Upension

সার্বজনীন পেনশন হচ্ছে সরকার কর্তৃক একটি স্কিম। যেখানে প্রতি মাসে একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট হারে টাকা রাখলে পরবর্তী সময়ে তাকে নির্দিষ্ট হারে টাকা প্রদান করা হবে। যেমন কেউ যদি প্রতিমাসে ৪২ বছর মাসিক ৫০০০ টাকা করে জমা রাখে তাহলে তাকে পেনশন ভাতা দেওয়া হবে 1 লক্ষ 72 হাজার 327 টাকা প্রতি বছরে। অর্থাৎ এর জন্য নির্দিষ্ট সময় এবং অন্যান্য বিষয়বস্তু প্রয়োজন রয়েছে। আবার অনেকে বলে থাকে এর নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি কি? এই সার্বজনীন পেনশনের নিশ্চয়তা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার নিজেই। সম্পূর্ণ এটি সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে‌। সুতরাং হারানোর ভয় একদমই নেই।

Also Read: NID নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড

কাদের জন্য সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা?

এই সার্বজনীন স্কিম চালু হওয়ার পর থেকে মানুষের মনে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন জেগেছে কারা পাবে এই সুবিধা। এ নিয়ে আমাদের কাছেও বেশ প্রশ্ন এসেছে। এটি মূলত হচ্ছে ১৮ থেকে ৫০ বছরের যে কোন বাংলাদেশের নাগরিকরা এখানে আবেদন করতে পারবে। অবশ্যই তার জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড থাকতে হবে। সার্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন নিয়ম সম্পর্কে জানার আগে, এখানে কয়েকটি ক্যাটাগরির পেনশন ব্যবস্থাপনা রয়েছে। এ বিষয়ে সম্পর্কে জানব:

  • প্রবাস ( শুধুমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশী )
  • প্রগতি ( বেসরকারি কর্মচারী )
  • সুরক্ষা ( স্বকর্ম )
  • সমতা ( স্বল্প আয়ের ব্যক্তি )

উপরের প্রত্যেকটি ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা ভাবে রয়েছে নির্দিষ্ট সময়সীমা, টেনশন ভাতা প্রদান এবং পেনশন পাওয়ার টাকা পরিমাণ। এ বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত একটি আর্টিকেল প্রকাশ করব খুব শীঘ্রই।

তবে এ পেনশন সুবিধা শুধুমাত্র যাদের বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত তারাই পাবে। কিন্তু যারা সরকারি কাজে নিয়োজিত তাদেরকে এ সুবিধা দেওয়া হবে না। মূলত এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে যে সরকারি চাকরিতে শেষ হবে একটি নির্দিষ্ট ভাতা পায় কিন্তু সাধারণ মানুষ তা পায় না। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করাই এই কার্যক্রমও তৈরি করা হয়েছে। তবে যারা প্রবাসে বসবাস করে তাদের জন্য সুবিধা রয়েছে জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলেও তারা পাসপোর্টের মাধ্যমে এখানে আবেদন করতে পারবে।

সার্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন নিয়ম ২০২৩ | How to Registration Upension

আপনি যদি এ পেনশন নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে সার্বজনীন পেনশনের জন্য আবেদন করতে হবে। শুধুমাত্র অনলাইনে এ আবেদন গ্রহণ করা হয়ে থাকে। প্রার্থীরা অনলাইন আবেদন করার জন্য অবশ্যই তাদের মোবাইল নম্বর ভোটার আইডি কার্ড এবং অন্যান্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের প্রয়োজন হবে। আসুন দেখে নেই কিভাবে সার্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হয়।

  • প্রথমে একটি ব্রাউজার নিতে হবে তারপরে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। www.upension.gov.bd ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করার পর একটি প্রত্যয়ন পত্র দেওয়া হবে আপনাকে অর্থাৎ আপনি সকল তথ্যগুলো জেনে এখানে আবেদন করতেছেন। হ্যাঁ বাটনে ক্লিক করুন।
সার্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন নিয়ম
সার্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন নিয়ম
  • হ্যাঁ বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে পরবর্তী অপশনে প্রবেশ করানো হবে। পরবর্তী অপশনে প্রবেশ করতে হবে। এ অপশনে প্রবেশ করার পর সেখানে আপনার প্রয়োজনে কিছু তথ্য দিতে হবে। যেমন প্যাকেজ অর্থাৎ আপনি কোন প্যাকেজে আবেদন করতে চাচ্ছেন। এরপর আপনার
  • জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর
  • জন্মতারিখ
  • মোবাইল নম্বর
  • ইমেইল এড্রেস
  • এবং সর্বশেষ ক্যাপচা পূরণ করতে হবে
  • উপরের তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে কারণ এটি সার্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন নিয়ম এর গুরুত্বপূর্ণ একটি।
  • উপরের সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে ইনপুট করার পর পরবর্তী পেজে প্রবেশ করতে হবে। পরবর্তী পেজে প্রবেশ করলে সেখানে ওটিপি নম্বর আসবে সেটি প্রবেশ করতে হবে।
  • আবার পরবর্তী ধাপে সেখানে আবেদনকারীর এনআইডি নম্বর, নাম বাংলা এবং ইংরেজিতে, পিতা মাতার নাম ইত্যাদি তথ্যগুলো দেখাবে। এই সকল তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করার পর আপনার আপনার বার্ষিক এর পরিমাণ, পেশা এবং ঠিকানা গুলো নির্বাচন করতে হবে।
  • উপরের তথ্যগুলো সঠিকভাবে ইনপুট করার পর পরবর্তী পেজে প্রবেশ করতে হবে। এখানে আপনার মাসিক চাঁদার পরিমাণ এবং চাঁদা পরিশোধের সময়সীমা নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনাকে ব্যাংকের হিসাব নম্বর নাম এবং অন্যান্য সকল তথ্যগুলো দিতে হবে। অবশ্যই এ তথ্যগুলো বারবার সঠিকভাবে হয়েছে কিনা সেটি চেক করে নিবেন।
  • এরপর আপনাকে নমিনির সকল তথ্য দিতে হবে। যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ নাম ইত্যাদি। এরপর সম্পূর্ণ ফরম বাটনে ক্লিক করলে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

এভাবেই মূলত সার্বজনীন পেনশন আবেদন করতে হয়। এ পেনশন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন। সর্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন নিয়ম সম্পর্কে জানা পাশাপাশি আমরা এখন আরো কিছু তথ্য জানবো।

জাতীয় পেনশন ব্যবস্থাপনায় কত টাকায় কত টাকা পাওয়া যাবে?

এই সরকারি টেনশন ব্যবস্থাপনায় মোট চারটি ক্যাটাগরিতে রয়েছে। প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে এক এক মাসে এক এক ভাতার প্রদান করে পেনশনে একেক পরিমাণ মাসিক টাকা পাওয়া যাবে। এ বিষয় নিয়ে আমরা খুব শীঘ্রই আপনাদের জন্য একটি আর্টিকেল প্রকাশিত করব। আর্টিকেলটি জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।

সার্বজনীন পেনশন ভাতা রেজিস্ট্রেশন & How to Registration Upension 2023 সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আরো অন্যান্য সরকারি ভাতা সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকেন। সকল তথ্যগুলো সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি বুক মার্ক করুন।

Read More: সুরক্ষা সার্টিফিকেট ডাউনলোড

Jahid Hasan

I am a content writer. I love writing on different topics, in here I am writing Educational guidelines and degree and honours info. I have completed my graduation in electrical engineering. if you love my content please share and support.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button