জাপান স্টুডেন্ট ভিসা খরচ, ভিসা প্রসেসিং | Japan Student Visa Processing

জাপান স্টুডেন্ট ভিসা খরচ, ‌ আবেদনের নিয়ম এবং ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? কিন্তু সঠিক তথ্যগুলো পাচ্ছেন না তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই আর্টিকেলে তুলে ধরা হচ্ছে Japan Student Visa Processing সকল তথ্যগুলো।

জাপান এর নাম কি শুনলে প্রথমে চলে আসে প্রযুক্তির উন্নয়ন‌ কথা। চলে আসে শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সকল চিন্তা। কারণ জাপান হচ্ছে এমন একটি দেশ যেখান থেকে প্রযুক্তির জন্ম ঘটে থাকে এমনটাই বলে থাকে বিশেষজ্ঞরা। জাপানের জীবন যাত্রার মান এতটাই উন্নত যে বিভিন্ন দেশের মানুষেরা এটি অনুসরণ করে থাকে। অর্থাৎ তাদের এই জীবনযাত্রা অনেক দেশে আদর্শ হিসেবে ব্যবহার করা। কেননা তারা সবচেয়ে বেশি সময়ের মূল্য দিয়ে থাকে এবং প্রত্যেকটি কাজ দায়িত্বশীলতার সাথে করে। সততার দিক থেকেও তারা অনেকটা এগিয়ে।

একমাত্র জাপানের পাসপোর্ট দিয়ে যেকোনো দেশের ভ্রমণ করার সুযোগ পাওয়া যায়। তাহলে হয়তো বুঝতে পেরেছেন এই দেশের গুরুত্ব কতটুকু। তাই আমরা আজকে জাপান স্টুডেন্ট ভিসা খরচ এবং আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে নিয়ে আলোচনা করব।

জাপান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার উপায় | Japan Student Visa Processing

অন্যান্য দেশের মতো জাপানের মানুষ প্রতিবছর পড়াশোনা করার জন্য যেতে ইচ্ছা পোষণ করে। পড়াশোনা করতে যাওয়ার জন্য বেশি জটিলতা রয়েছে এখানে। প্রথমে আপনাকে ওই দেশের কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য অনুমতি পত্র নিতে হবে। এজন্য প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি গুলো দেখতে হবে। তারপর আপনি যে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য কোয়ালিফাইড হবে সেখানে আবেদন করুন। আবেদন করার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ আপনাকে যাচাই করে তারপর জানিয়ে দিবেন আপনার ভর্তি স্ট্যাটাস সম্পর্কে। আপনি যদি সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান তাহলে আপনাকে একটি এডুকেশন পারমিশন দেওয়া হবে। ভালোভাবে সংরক্ষণ করা লাগবে এটি। তারপরেই কেবলমাত্র আপনি এখানে আবেদন করতে পারবেন ভিসার জন্য।

জাপান স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত?

অনেকেই মনে করে জাপানে যেতে অনেক টাকা লাগে এবং বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হয়। মোটেও এমনটা নয়। যদি আপনি সেখানে পড়াশোনার জন্য পারমিশন পেয়েছেন তাহলে আর সর্বসাকুলের খরচ হতে পারে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এক্ষেত্রে আপনার বিমান ভাড়া, এখানে থাকা খরচ সম্পূর্ণ আলাদা হিসাব করা হয়ে থাকে। অবশ্যই আপনি দালাল ব্যতীত নিজে নিজে এখানে আবেদন করবেন এবং ভিসা প্রসেসিং করবেন। আপনার সর্ব সাকুল্যে এই অ্যামাউন্ট খরচ হতে পারে। আর যদি কোন দালাল ভাই এজেন্সির সাহায্য নেন তাহলে এর খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। যেহেতু এখন সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক তাই সকল কিছু নিজে নিজে করার চেষ্টা করবেন।

Read More: কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার নিয়ম

স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

জাপানের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে একজন প্রার্থীর। প্রতিটি কলেজে আলাদা আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এভারেজ দেখা গেছে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষাতে কমপক্ষে চার পয়েন্ট হতে হবে শিক্ষার্থীদের। এছাড়া ও শিক্ষার্থীদেরকে ইংরেজিতে IELTS 5.5 পয়েন্ট লাগবে। ইংরেজিতে দক্ষতার পাশাপাশি অবশ্যই আপনারা জাপানিজ ভাষা গুলো শিখে নেবেন। আপনারা উপরে জেনেছেন জাপান স্টুডেন্ট ভিসা খরচ সম্পর্কে। জাপানের ভাষা মূলক ভাবে অন্য দেশে তুলনায় বেশ জটিল। পূর্বে থেকে আপনারা বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থাৎ বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাপানের ভাষা শেখা হয়। সেখান থেকে পূর্বে থেকেই আপনারা ভাষা সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়ে তারপর ওই দেশে যাবেন।

জাপানের পড়াশোনা খরচ

অনেকে মনে করে জাপানের পড়াশোনা খরচ মনে হয় অনেক বেশি। কিন্তু পড়াশোনা দিয়ে খরচের দিক থেকে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ কম রয়েছে এখানে। সাধারণত একটি কোর্স কমপ্লিট করার জন্য ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষেও বহন করা সম্ভব। এ ছাড়া আপনার থাকা খাওয়া খরচ আলাদাভাবে বহন করতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসায় পার্ট টাইম কাজ করার সুযোগ রয়েছে?

ইউরোপীয় কান্ট্রি গুলোর মত এখানে শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম কাজ করার ক্ষেত্রে কোন নিষেধ নেই। নির্দিষ্ট সময় সীমা রয়েছে কাজের জন্য।‌ জাপানে গিয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরির সুবিধা ভোগ করে। সেক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষা জীবন পালন করতে গিয়ে সময়ের জটিলতায় পড়ে যায়। অবশ্যই এ বিষয়টি মেনটেনস করার ক্ষমতা থাকতে হবে আপনার।

জাপানের ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগে?

জাপানে স্টুডেন্ট ভিসা সহজে কোন ধরনের ভিসার জন্য যদি আবেদন করতে চান তাহলে নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। ডকুমেন্টগুলো সংযুক্ত করে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর আবেদনের পূর্বে অবশ্যই জাপান স্টুডেন্ট ভিসা খরচ সম্পর্কে জেনে নিবেন।

  • একটি পাসপোর্ট
  • তারিখসহ একটি ভিসা আবেদন ফরম
  • স্বাস্থ্য মূল্যায়ন পত্র
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • জন্ম নিবন্ধন ফটোকপি
  • লিগাল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টেশন
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • বাবা মা এর পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাপান তোতাপার স্বাক্ষর

উপরের এই কাগজপত্রগুলো ব্যতীত আপনারা আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজগুলো দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাদের ভিসা পেতে খুব সহজ হবে। জাপান স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন অবশ্যই অনলাইনে করবেন এবং নিজে নিজে করার চেষ্টা করবেন।

Best Full Funded Scholarship in Japan

  • Joint Japan World Bank Scholarship
  • Hokkaido University Scholarship
  • Ritsumeikan University Scholarship
  • University of Tokyo Amgen Scholars Program
  • Asia Pacific University Scholarship Japan
  • Rotary Yoneyama Scholarship
  • Tokyo Institute of Technology, Japan Scholarship

জাপান স্টুডেন্ট ভিসা খরচ এবং আবেদন নিয়ম & Japan Student Visa Processing সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানলেন। এরকম আরো অন্যান্য দেশের ভিসা সংক্রান্ত সম্পর্কে তথ্যগুলো জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

Jahid Hasan

I am a content writer. I love writing on different topics, in here I am writing Educational guidelines and degree and honours info. I have completed my graduation in electrical engineering. if you love my content please share and support.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button