সরকারি চাকরির বেতন স্কেল, গ্ৰেডিং সিস্টেম ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা
![সরকারি চাকরির বেতন স্কেল](https://scholarsme.com/wp-content/uploads/2022/11/তৃতীয়-ও-চতুর্থ-শ্রেণীর-চাকরিজীবীদের-বেতন-সর্বনিম্ন-২৫-হাজার-4.png)
সরকারি চাকরির বেতন স্কেল, গ্ৰেডিং সিস্টেম ও অন্যান্য সুবিধাদি: বর্তমান সমাজে শিক্ষিতদের হার অনেক বেশি অনেকেই চাকরি করেন কিন্তু সবাই সরকারি চাকরি পাচ্ছে না কিন্তু সরকারি চাকরি হলো এখনকার সময়ের সোনার হরিণ পাওয়ার মতন।
Pay Scale: বর্তমান প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্বে একটি চাকরি পাওয়া অনেক কষ্টের । একজন চাকরি জীবির কাছ থেকে জানা যায় কত সাধনার পর একটা সরকারি চাকরি উনি পেলেন।
সরকারি চাকরির বেতন স্কেল, গ্ৰেডিং সিস্টেম ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা:
সরকারি চাকরি পূর্বে ৪ শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত ছিল বর্তমানে তা গ্ৰেডের মাধ্যমে চলে । এখন ২০ গ্ৰেডে চারটি শ্রেনীতে ভাগ করা হয়েছে।
- যেমন, পূর্বে যেটা প্রথম শ্রেনী ছিল এখন ১ম থেকে ৯ম গ্ৰেডে করা হয়েছে।
- দ্বিতীয় শ্রেনী হলো ১০ম গ্ৰেড কেবল দশম গ্ৰেডই হলো দ্বিতীয় শ্রেনী।
- ১১ থেকে ১৬ম গ্ৰেড তৃতীয় শ্রেণী।
- ১৭ থেকে ২০ তম গ্ৰেড হলো চতুর্থ শ্রেণী।
- ১ থেকে ৯নং গ্ৰেডের যিনি তিনি প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা বা গেজেটেড অফিসার বা ক্যাডার।
প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা বা গেজেটেড অফিসার বা ক্যাডার: উনাদের নিয়োগ এর সময় সরকারি গেজেট বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং প্রথম শ্রনীর কর্মকর্তা অফিসার বা ক্যাডারদের স্বয়ং প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকেন।প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা গন সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী এবং সামগ্ৰিক দিক দিয়ে সুযোগ সুবিধা ,মান মর্যাদার পরিধি ব্যাপক।তার উপরে আছেন সচিব ও মূখ্য সচিব।
- পিএসসি কর্তৃক নিয়োগকৃত সাতাশ ধরনের চাকরিকে ক্যাডার এবং পিএসসি কর্তৃক নিয়োগকৃত অন্যান্য সরকারি চাকরিকে নন ক্যাডার চাকরি বলা হয়।
- গ্ৰেড ৯ হলে জব নন ক্যাডার এবং শ্রেনি প্রথম।
- গ্ৰেড ১০ হলে দ্বিতীয় শ্রেনী বলা হয় এবং ক্যাডার।
- ক্যাডার এবং নন ক্যাডার জব এর মধ্যে তফাৎ হলো : ক্যাডারগন প্রমোশন পেয়ে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে যেতে পারেন আর নন ক্যাডারগন যেতে পারেন না।
- প্রায় সব ক্যাডারগন সর্বোচ্চ গ্ৰেডে যেতে পারেন এবং নন ক্যাডারগনের বেশিরভাগ পোষ্ট ই ব্লক পোস্ট।
- বিসিএস ক্যাডার মূলত দু ধরনের যথা: জেনারেল এবং টেকনিক্যাল।
- জেনারেল: পুলিশ ,এডমিন, পররাষ্ট্র ইত্যাদি।
- টেকনিক্যাল: শিক্ষা,স্বাস্থ্য, কৃষি,সড়ক,জনপদ ইত্যাদি।
- জেনারেল ক্যাডারে যেকোন বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি করতে পারেন।
- টেকনিক্যাল ক্যাডারে নির্দিষ্ট বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা দরকার।
- মনে রাখা অত্যন্ত দরকার সরকারি যেকোন অফিসে চার রকমের স্টাফ থাকেন,যেমন, প্রথম ক্যাডার তার নিচে কর্মকর্তা তার নিচে কর্মচারী।প্রথম ও দ্বিতীয় কে গেজেটেড কর্মকর্তা বলা হয়। তৃতীয় শ্রেনীর যারা কর্মকর্তা এবং চতুর্থ শ্রেণীর যারা তারা কর্মচারী।
- প্রথম শ্রেনী হলেন নবম গ্ৰেড এবং দ্বিতীয় শ্রেনী মানে দশম গ্ৰেড।
- প্রথম শ্রেনীর হলেন সকল ডিপাটম্যান্টের Assistant Director.
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সব এডিই প্রথম শ্রেনীর।
- দ্বিতীয় শ্রেনীর যারা : সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক , প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক , পুলিশের এসআই ।
- তৃতীয় শ্রেনীর যারা : প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক ,সকল ডিপার্টম্যান্টের অফিস সহকারী, computer operator,ষাট মুদ্রাক্ষরিক।
- চতুর্থ শ্রেণীর যারা : অফিস সহায়ক ও প্রাইমারি স্কুলের পিয়ন যাদের বেতন স্কেল ৮,২৫০ টাকা।
সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা:
কোন গ্ৰেডে বেতন কত ও সরকারি ভাতা রয়েছে তা নিম্নরূপ: Pay scale bd
৮,২৫০ টাকা সর্বনিম্ন মূল বেতন এবং সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার টাকা সুপারিশ করে বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বেতন ভাতা পে কমিশনের প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে।
২০ টি গ্ৰেড পেশ করা পে কমিশনের সুপারিশের সর্বোচ্চ মূল বেতন ৭৮ হাজার করা হলে ও এই স্কেলের বেতন ভাতা দাড়াবে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
![বেতন স্কেল](http://scholarsme.com/wp-content/uploads/2022/11/তৃতীয়-ও-চতুর্থ-শ্রেণীর-চাকরিজীবীদের-বেতন-সর্বনিম্ন-২৫-হাজার-5-1024x576.png)
সর্বনিম্ন ৮,২৫০ টাকার সুপারিশ করা হলেও তা দাড়াবে ২০ হাজার ১০ টাকা।
- প্রথম স্কেল বাড়ি ভাড়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বা ৪০ হাজার টাকা।
- চিকিৎসা ভাতা : ১ হাজার ৫০০ টাকা।
- ডেমোস্টিক এইড ভাতা: তিন হাজার পাঁচশত টাকা।
- উৎসব ভাতা: ১৩ হাজার ৩৩ টাকা।
- আপ্যায়ন ভাতা : ৩ হাজার টাকা।
- শিক্ষা ভাতা : ২ হাজার টাকা করা হয়েছে।
সর্বনিম্ন স্কেলের বাড়ি ভাড়ার জন্য করা হয়েছে: ৫ হাজার টাকা। চিকিৎসা ভাতা : ১ হাজার ৫০০ টাকা। যাতায়াত ভাড়া,৩০০ টাকা , শিক্ষা ভাতা ২ হাজার টাকা, ধোলাই ভাতা ১৫০ ভাতা, টিফিন ভাতা ৩০০ টাকা।
অন্যান্য ভাতা ও সুবিধাদি:
বাড়ি ভাড়া ৪৫ হাজার টাকা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ২৮ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া চট্টগ্রাম , খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কক্সবাজার ও সাভার এলাকার জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ হারে সর্বনিম্ন ২৩ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার টাকা।
- জেলা শহরের জন্য মূল বেতনের ৪০ শতাংশ হারে সর্বনিম্ন ২১ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩২ হাজার টাকা।
- অন্যান্য স্থানের জন্য মূল বেতনের ৩৫ শতাংশ হারে সর্বনিম্ন ১৯ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৮ হাজার টাকা।
- ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মূল বেতনের ২৫ হাজার টাকা থেকে ৪৪ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ৬০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা।
- চট্রগ্ৰাম , খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর কক্সবাজার ও সাভার এলাকায় মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ১৬ হাজার টাকা।
- জেলা শহরের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে ১৩ হাজার টাকা।
- অন্যান্য স্থানের জন্য মূল বেতনের ৪০ শতাংশ হারে সর্বনিম্ন ১১ হাজার ৫০০ টাকা।
- ১৩ হাজার টাকা থেকে ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মূল বেতনের ৬৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা।
- চট্রগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল,রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর কক্সবাজার ও সাভার এলাকার মূল বেতনের ৫৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে ৮ হাজার পাঁচশত টাকা।
- জেলা শহরের জন্য মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ৮ হাজার টাকা।
- অন্যান্য স্থানের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে সাত হাজার দুইশত টাকা।
- ১২ হাজার ৯৯৯ পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার মূল বেতনের ৭০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ছয় হাজার পাঁচশত টাকা।
- চট্রগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ,সিলেট ,বরিশাল রংপুর ,নারায়ণগঞ্জ ,গাজীপুর, কক্সবাজার ও সাভার এলাকার মূল বেতনের ৬৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে ছয় হাজার টাকা।
- জেলা শহরের জন্য মূল বেতনের ৬০ শতাংশ হারে কমপক্ষে পাঁচ হাজার পাঁচশত টাকা।
- অন্যান্য স্থানের জন্য মূল বেতনের ৫৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকা।
চিকিৎসা ভাতা: মাসে কমপক্ষে এক হাজার ৫০ টাকা। অবসরভোগিদের ক্ষেত্রে ৬৫ বছরের কম বয়সী লোকের জন্য মাসিক ভাতা ১ হাজার ৫ শত টাকা।৬৫ এর বেশী বয়স লোকের জন্য ২ হাজার পাঁচশত টাকা।এর পাশাপাশি সরকার প্রদত্ত ৪০০ টাকা স্বাস্থ্য ও দূর্ঘটনা বীমা সহ, জীবন বীমা এবং সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বীমা স্কিম চালু করা। Pay scale bd
প্রাইমারি শিক্ষকদের বেতন স্কেল
যাতায়াত ভাতা:
১০ নম্বর থেকে ১৬ তম গ্ৰেডের ক্ষেত্রে সকল সিটি কর্পোরেশন এর জন্য যাতায়াত ভাড়া ৩৬০ টাকা সুপারিশ করা হয়েছে।
- গাড়ির সুবিধা: গাড়ির সুবিধার জন্য প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তার জন্য নগদায়নের বিষয়টি চালু করা হয়েছে।৩ নং গ্ৰেডের উপরের কর্মকর্তার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি চতুর্থ গ্ৰেডের কর্মকর্তার জন্য গাড়ি কেনার বিষয়টি বিবেচনার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
- শিক্ষা সহায়ক ভাতা: সকল শ্রেণীর চাকরিজীবীদের জন্য শিক্ষা সহায়ক ভাতা দেয়া হবে এক সন্তানের জন্য ১ হাজার এবং দুই সন্তানের জন্য ২ হাজার টাকা । এমনকি তাদের ভর্তির জন্য সরকারি অর্থে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কোটার ব্যবস্থা চালু করার সুপারিশ করা হয়েছে।
- টিফিন ভাতা: মাসে টিফিন ভাতা ৩০০ টাকা ।তবে যারা টিফিন ভাতা পান কিংবা স্কুলে দুপুরের খাবার পানতাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
- উৎসব ভাতা: সকল চাকরিজীবীদের জন্য দুই মাসের সমপরিমাণ অর্থ উৎসব ভাতা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। অবসরভোগীদের জন্য তার মাসিক নীট পেনশনের দিগুন হারে বছরে দুই বার উৎসব ভাতা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
- শ্রান্তিও বিনোদন ভাতা: সকল শ্রেনীর চাকরিজীবীদের বর্তমান প্রচলিত তিন বছরের পরিবর্তে দুই বছর অন্তর ১৫ দিনের গড় বেতনে অর্জিত ছুটি সহ এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা হিসাবে সুপারিশ করা হয়েছে।
- ধোলাই ভাতা: চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের জন্য মাসে ১৫০ টাকা করে ধোলাই ভাতার সুপারিশ করা হয়েছে।
- কার্যকর ভাতা: কার্যকর ভাতা মাসে অপরিবর্তিত রেখে সর্বোচ্চ সীমা মাসে ২ হাজার ৫০ টাকা করা ।
- পোশাক পরিচ্ছেদ সুবিধা: পোশাক পরিচ্ছেদ সুবিধা প্রদান করার সুপারিশ করা হয়েছে।
- গৃহকর্মী ভাতা: গৃহকর্মী ভাতা অপরিবর্তিত আছে ।
- আপ্যায়ন ভাতা : আপ্যায়ন ভাতা মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মূখ্য সচিব……৩০০০ টাকা, সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তা..……২ হাজার পাঁচশত টাকা, অতিরিক্ত সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তা……২০০০ টাকা, যুগ্ম সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ১ হাজার পাঁচশত টাকা সুপারিশ করা হয়েছে।
- পাহাড়ি ও দুর্গম ভাতা: পার্বত্য এলাকায় কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পাহাড়ি ভাতা পুনঃনির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।
- বিশেষ ভাতা: বাংলাদেশ পুলিশ ,Reb জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ,এসএসএফ ইত্যাদি বিভিন্ন সার্ভিস এর জন্য বিশেষ ভাতা সমন্বয় করা যেতে পারে।
- ভ্রমন ভাতা: ভ্রমন ভাতা এককালীন সড়ক পথে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ……১০ হাজার টাকা। ১০১ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত …১৫ হাজার পাঁচশত টাকা। ২০১ থেকে এর বেশী কিলোমিটার দূরে ….২০ হাজার টাকা ভ্রমন ভাতার সুপারিশ করা হয়েছে।
সরকারি চাকরি একটি অতি মূল্যবান সম্পদ কেননা এ চাকরি আমাদের জীবনের অনেক অভাব দূর করে উন্নত জীবনযাপনের সহায়ক ভূমিকা পালন করে তাই একটু কষ্ট করে ভালো করে প্রতিটি বিষয় জেনে একটু ত্যাগ স্বীকার করে এই চাকরিটা যেন আমরা সবাই পেয়ে থাকি।
অবসর ভাতা পেতে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের কত বছর বয়স লাগে
অবসর ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা:
পেনশন হচ্ছে অবসরকালীন ভাতা একজন সরকারি চাকরিজীবীর ভবিষ্যৎ জীবন চলার একটি মাধ্যম কেননা একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির এইটুকু সম্ভল উনার পেনশন বা অবসরকালীন ভাতা। ।
পেনশন যোগ্য চাকরিকাল পাঁচ বছর থেকে শুরু করে ২৫ বছর পর্যন্ত পেনশন এর হার গ্ৰেড অনুযায়ী ২০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ সুপারিশ করা হয়েছে।
- বাধ্যতামূলক সমর্পিত ৫০ শতাংশ পেনশন এর ক্ষেত্রে আনুতোষিক এর হার পাঁচ বছর থেকে শুরু করে ২০ বছর পর্যন্ত প্রতি এক টাকায় ২৭৫ টাকা থেকে শুরু করে ২৩০ টাকা সুপারিশ করা হয়েছে।
- চাকরিকাল ২৫ বছর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে অর্থাৎ চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্ৰহনের ক্ষেত্রে।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য জীবনবীমা , স্বাস্থ্য ও দূর্ঘটনা বীমা প্রবর্তন করার এবং পে কমিশন এর ও সুপারিশ করা হয়েছে , জীবনযাপনের ব্যায় বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পে কমিশন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
আবাসন ও গৃহনির্মাণ ঋণ:
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আবাসন ও গৃহনির্মাণ ঋণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য গ্ৰেড অনুযায়ী ঋণের পরিমাণ ১২ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
- সুদের হার হবে ব্যাংক রেটে ৫০ শতাংশ।
- এছাড়াও পাশাপাশি জেলা পর্যায়ের খাস জমি চিহ্নিত করে সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসানের প্রকল্প গ্ৰহন করা।
- অষ্টম থেকে দশম গ্ৰেড পর্যন্ত ২০ জন কর্মকর্তার জন্য দশ কাটা এবং অন্যান্য চাকরিজীবীর প্রতি বিশ জনের জন্য আট কাটা প্লট দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
সমৃদ্ধ সুপান ব্যাংক স্থাপন:
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সমৃদ্ধ সুপান ব্যাংক স্থাপন এর সুপারিশ করা হয়েছে এছাড়া ও ঢাকা মহানগরীর সরকারি কর্মচারীদের জন্য মৃত্যুর পর দাফনের জন্য বেশ কয়েকটি স্থানে কবরস্থান নির্মানের সুপারিশ করা হয়েছে।
আর্থিক সংশ্লেষ:
আগামী অর্থ বছরে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হবে ৪৯ কোটি ৪০ লাখ ১১ হাজার টাকা বেতন কমিশন এর রিপোর্ট এ উল্লেখ অনুযায়ী।
- চিকিৎসার জন্য ..… ৯৯৮ কোটি টাকা।
- শিক্ষা সহায়ক ভাতার জন্য.…..১ হাজার ২৫০ কোটি ৪২ লাখ।
- যাতায়াত ভাতার জন্য……৩৭ কোটি ৬৯ লাখ।
- উৎসব ভাতার জন্য.……১৭ কোটি ১৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।
- শ্রান্তি বিনোদন এর জন্য .……. ৫৭১ কোটি ৩৩ লাখ।
- টিফিন ভাতা …….১৫৪ কোটি টাকা।
- দুর্গম ভাতা……. ৮৩ কোটি ৭ লাখ টাকা।
- পেনশনাদির জন্য………৩৭ কোটি ৮৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
- অবসরভোগী চিকিৎসা ভাতার জন্য……..৬৪৬ কোটি ১৪ লাখ।
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য চলতি অর্থ বছরে বাজেটের চেয়ে ১৭ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা প্রয়োজন।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বেতন স্কেল গ্ৰেডিং সিস্টেম ও অন্যান্য সুবিধাদি শেয়ার করলাম , সত্যি বলতে চাকরি পাওয়া তো অনেক কঠিন কিন্তু সরকারি চাকরি পাওয়া সোনার হরিণ এর মতন অনেক কষ্টে পরিশ্রম করে আপনাকে তৈরি হতে হবে এই চাকরির জন্য।
এক নজরে বেতন স্কেল:
![সরকারি চাকরির বেতন স্কেল](http://scholarsme.com/wp-content/uploads/2022/11/20220724_205836_0000-1.png)
এছাড়াও কর রাজস্ব বাড়ানোর বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। যথা:
১…. বিলাসবহুল পন্য ও বিভিন্ন পানীয় দ্রব্যের উপর ক্রয় হার বাড়ানো।
২….. বিড়ি সিগারেট ও তামাকের উপর বর্ধিত হারে কর বাড়ানো।
৩…… এছাড়াও আয়করের আওতায় সম্প্রসারন করা ও কর ফাঁকি দেয়ার বিষয়টি কার্যকরপদক্ষেপ নেওয়া।
- স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী ও বিশেষায়িত চাকরিজীবীদের জন্য বেতন কাঠামো সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
- লোকসানি প্রতিষ্ঠান লাভজনক না হলে সেগুলো বিরাষ্ট্রীয়করনের ব্যবস্থা করা হবে।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো এবং ব্যাংক বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর জন্য পৃথক বেতন কাঠামোর সুপারিশ করা হয়েছে।
- গ্ৰেডের সংখ্যা জাতীয় বেতন পে কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬ টির বেশি বা কম না হওয়া ভালো ।
- গবেষণার কাজে নিয়োজিত বিশেষায়িত চাকরিজীবীদের জন্য বেতন কাঠামো আলাদা রাখা ভালো।
- প্রাইস কমিশন গঠনের সুপারিশ: মূল্য স্ফীতি ভোক্তা সম্পর্কে দ্রব্যমূল সহনীয় রাখতে প্রাইস কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
এই ছিল সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন স্কেল গ্ৰেডিং সিস্টেম ও অন্যান্য সুবিধাদি আমি সবার স্বার্থে পোস্ট টি শেয়ার করলাম আশা করি আপনারা সবাই যেনে উপকৃত হবেন
বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
কোন গ্ৰেডে বেতন কত?
৮,২৫০ টাকা সর্বনিম্ন মূল বেতন এবং সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার টাকা সুপারিশ করে বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বেতন ভাতা পে কমিশনের প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে।
অবসর ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা?
পেনশন হচ্ছে অবসরকালীন ভাতা একজন সরকারি চাকরিজীবীর ভবিষ্যৎ জীবন চলার একটি মাধ্যম কেননা একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির এইটুকু সম্ভল উনার পেনশন বা অবসরকালীন ভাতা।