নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৩ সাল থেকে শ্রেনী শিখন শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোন বিষয়ে কোন ক্লাস কোন সার পড়াবেন তা নতুন শিক্ষাক্রমে বন্টন করে দেয়া হয়েছে।
প্রত্যেক স্কুল, কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর শিক্ষক দের এই বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৩ সাল থেকে ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেনীতে পরিমার্জিত শিক্ষা ক্রমের আলোকে প্রনীত পাঠ্যপুস্তক ও শিখন সামগ্ৰীর বাস্তবায়ন শুরু হতে যাচ্ছে।উপকৃত শিক্ষাক্রমে ৪ টি ধর্ম শিক্ষা সহ মোট ১৩ টি বিষয় রয়েছে।সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের বিদ্যমান পদগুলোতে যারা শিক্ষক হিসেবে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন তারা নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী কে কোন বিষয়ে শ্রেনী শিখন শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং কোন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন তা উপরের তালিকায় বিন্যস্ত করে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানগন তালিকা অনুসরন করে তার প্রতিষ্ঠান এর শিক্ষকগনের জন্য বিষয় বন্টন করবেন। এক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।
- তালিকা অনুসরন করে প্রতিষ্ঠান প্রধানগন তার শিক্ষক গানের জন্য বিষয় বন্টন করে অনলাইনে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক গানের ডাটা এন্ট্রি দিবেন।
- বিদ্যমান সকল বিষয়ের শিক্ষককে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নির্বাচিত বিষয় সমূহের কোন না কোন বিষয়ের নাম অনলাইনে এন্ট্রি দিতে হবে।
- কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষক গানের সংখ্যা ১০ জন হলে ১০ জন শিক্ষক কে পরিমার্জিত শিক্ষা ক্রমের ১০ টি বিষয় বন্টন করে দিতে হবে। একটি বিষয়ে একাধিক শিক্ষক বা কোন বিষয়ে শিক্ষক নেই এভাবে বন্টন করে দেয়া যাবে না।
নবম পে স্কেলের সর্বশেষ খবর ২০২৩
নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩.
২০২৩ সাল থেকে যে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে তাতে শিক্ষকদের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ।এ কারিকুলাম অনুযায়ী বেশীরভাগ বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বরের জন্য পরীক্ষা ও বাকি ৫০ নম্বর এর জন্য ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে শ্রেনী কক্ষে। নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মশিক্ষা মোট দশটি বিষয় আছে ।আর যারা সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে কর্মরত আছেন অনেক ই সেখানে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নন।গনিত এর শিক্ষক যে গনিত পড়াচ্ছেন , ইংরেজির শিক্ষক যে English এর শিক্ষক যে English পড়াচ্ছেন আসলে তা এমনটি নয়। অনেক স্কুল ,ও মাধ্যমিক স্কুলে দেখা যায় সমাজ বিজ্ঞান এর শিক্ষক English পড়াচ্ছেন, কৃষি বিজ্ঞান এর শিক্ষক কৃষি বিজ্ঞান এর সাথে সাথে গনিত ও পড়াচ্ছেন ।এটি কিন্তু বাস্তবতা, কিন্তু এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে অনেক ই কিন্তু সমাজ বিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে মাস্টার্স করে চাকরি পাচ্ছেনা অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষক এর সংকট রয়েছে।
শিক্ষাক্রম এর নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়ানোর জন্য একটি বিষয় এ একাধিক শিক্ষক বা কোন বিষয়ে শিক্ষক নেই এভাবে বন্টন করা যাবেনা।হিন্দু ধর্ম শিক্ষা,খ্রিষ্ট ধর্ম শিক্ষা,বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ না থাকলে ওই বিষয়ে আগ্ৰহী সংশ্লিষ্ট ধর্মানুসারে শিক্ষককে তার নিজ বিষয়ের দায়িত্ব বন্টন এর পর অতিরিক্ত হিসাবে এ বিষয়গুলোর দায়িত্ব বন্টন করা যেতে পারে।শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ের ক্ষেত্রে আগ্ৰহী বা শিক্ষকতায় আছেন এ ধরনের শিক্ষককে ঐ বিষয় এর দায়িত্ব বন্টন করার ইঙ্গিত দেয়া হয়।
নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩ অনুসারে কে কোন বিষয়ে শ্রেনী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং কোন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন তা বিন্যস্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নতুন শিক্ষাক্রম এর বিষয়ের তালিকা বন্টন টি অনুসরণ করে শিক্ষকদের জন্য বিষয় বন্টন করবেন ।
কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংখ্যা ১০ জন হলে শিক্ষককে পরিমার্জিত শিক্ষা ক্রমের ১০ টি বিষয়ে বন্টন করে দিতে হবে। একটি বিষয়ে একাধিক শিক্ষক আবার কোন বিষয়ে শিক্ষক নেই এভাবে বন্টন করে দেয়া যাবেনা , সেটি লক্ষ্যে করতে হবে।
প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বা আইসিটিতে দক্ষ যে কোন বিষয়ের শিক্ষকদের বিষয় নতুন শিক্ষাক্রমে হবে ডিজিটাল পদ্ধতি। কৃষি শিক্ষা ও ব্যবসা শিক্ষা বিষয়ের নতুন শিক্ষা ক্রম অনুসারে বিষয় হবে কৃষি ও ব্যবসা শিক্ষা,এভাবে শিক্ষক দের বিষয় ভিত্তিক বন্টন করা হবে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়মানুযায়ী । বিভিন্ন স্কুল কলেজ এ বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকা একটি বাস্তবতা ।এটির জন্য আসলেই কেউ দায়ী নয়।তবে অনেক শিক্ষক গনিত ও English এ পাঠদান করতে চান প্রাইভেট টিউশনির জন্য এটি প্রচলিত প্রথায় পরিনত হয়েছে।গ্ৰামীন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে এমনিতেই শিক্ষক দের সংকট তার উপর বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক এর অভাব।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ডিসেম্বর এর আগেই শিক্ষকদের বিষয় সমন্বয় করে ফেলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
নতুন শিক্ষক্রম এ বিদ্যমান শিক্ষকদের সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সমন্বয় করতে প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আসলেই শিক্ষক স্বল্পতা এবং বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক দের অভাবে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীরা । শিক্ষার্থীদের জন্য ই তো শিক্ষা ব্যবস্থা তাই নতুন শিক্ষাক্রম পরিচালনা হয়ে যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা এবং কামনা।