গানিম আল মুফতাহ জীবনী: শারিরিক প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে অন্তরাল হয়ে উঠতে পারে না: প্রিয় পাঠক আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় Ghanim Al Muftah যে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে অন্তরাল হয়ে উঠতে পারে না।একটি উদাহরণ তথা জলন্ত প্রমাণ সহ বিষয়টি শেয়ার করলাম আজ এই বিষয়টি থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন । শারিরিক প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে অন্তরাল হয়ে উঠতে পারে না।
শারিরিক প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে বাধা সৃষ্টি কখন করেনা তার বাস্তব চিত্র জলন্ত প্রমাণ গানিম আল মিফতা।
কে ঐ গানিম আল মুফতাহ:
কাতারের এক বিখ্যাত ব্যাক্তি গানিম আল মুফতাহ যার হাত ধরেই বেজে উঠল ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ এর দামামা।
২০২২ সালের সর্বশ্রেষ্ট ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধন করলেন গানিম আর মিফতা।
- আল বাইয়াত এই স্টেডিয়ামে ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করল গোটা বিশ্বের মানুষ আর সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরু হল বিখ্যাত এই তরুণ গানিম আর মিফতা এর হাত ধরেই ।
শারিরিক প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে অন্তরাল হয়ে উঠতে পারে না:
গানিম আল মিফতা কাতার তথা আরব দেশের এমনকি গোটা বিশ্বের রোল মডেল তার হাত ধরেই বেজে উঠলো ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর দামামা।গানিম আল মিফতার শরীরের নিচের অংশ নেই । শরীরের নিচের অংশ নেই সত্বেও তিনি আজ বিশ্বের বুকে রোল মডেল শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি আজ বিখ্যাত । কেননা তিনি একমাত্র ব্যাক্তি যার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি একজন বক্তা ,কবি , সাহিত্যিক।তিনি কুরআনে হাফেজ জন্মের পূর্বেই পা দুটো হারিয়ে ফেলেন।কঠিন রোগে আক্রান্ত হন মার্তগর্ভে ।
মটিফিকেশন স্পিকার:
হাফেজ গানিম আল মিফতা ছিলেন মটিফিকেশন স্পিকার ।আরব দেশে তার বহু ভক্ত,সমর্থক আছেন তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা আমাদের গৌরব তিনি একমাত্র ব্যাক্তি যার ব্যক্তিত্ব সবাই অনুসরণ করলে বুঝতে পারব যে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে বাধা সৃষ্টি করে না।
গানিম আল মিফতা যার বক্তব্যের মধ্যে বর্ণময় হয়ে উঠে হাজারো বর্ণহীন জীবন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও যিনি গোটা আরব দেশের তথা দেশের রোল মডেল।
গানিম আল মিফতা যখন মার্তগর্ভে ছিলেন তখন তিনি অপরিণত ছিলেন শরীরের নিচের অংশ নেই ডাক্তার জানালেন এবং জন্মের পূর্বেই গর্ভপাত করে তাকে মারতে বললেন কিন্তু গানিম আল মিফতার বাবা মা তা মেনে নেন নি তারা বললেন এই সন্তান আল্লাহর দান কেননা ইসলাম এরকম গর্ভপাত অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে।
গানিম আল মিফতার বাবা বললেন ডান পা হব আমি আর বাম পা হবে উনার স্ত্রী গানিমের মা ।তাকে কখনো পা নেই এর অভাব বুঝতে দেবনা আজ সেই গানিম আল মিফতা বিশ্বখ্যাত সাহিত্যক ,মটিফিকেশন স্পিকার এমনকি সারা বিশ্বের রোল মডেল।
০৫ ই মে ২০০২ সালে পৃথিবীর আলো দেখেন গানিম আল মিফতা ,জন্মের পর সামাজিক নানা বঞ্চনার শিকার হতে হয় তাকে।স্কুল কলেজে তিনি তার বন্ধুদের বুজাতেন আমার এই শরীরের জন্য আমি মোটেও অখুশি নই।এইসব বুঝাতে বুঝাতে তিনি হয়ে উঠেছেন মটিফিকেশন স্পিকার ।
- একদিন যার জন্ম নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল আজ তিনি হয়ে ওঠেন সারা বিশ্বের রোল মডেল এবং উনার হাত ধরেই ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধন হল ।গানিম আল মিফতা কাতারের শান্তির দূত হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত লাভ করেন সুতরাং বলা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে অন্তরাল হয়ে উঠতে পারে না।যার জলন্ত প্রমাণ গানিম আল মিফতা।
সবশেষে একথা বলতে চাই জীবনে যা পেয়েছেন তাকে আকড়ে ধরে সঠিক পথে চললে কোন বাধাই পথকে দূর্ঘম করে তুলবেনা সঠিক পথে চললে সততার সহিত চললে কোন প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে রুখে দাড়াবেনা। কেননা ২০ বছর বয়সী গানিম আল মিফতা আমাদের প্রমান যার বক্তব্যের মধ্যে বর্ণময় হয়ে উঠে হাজারো বর্ণহীন জীবন।