Lawyer meaning in bengali বা আইনজীবি কি, আইনজীবী হওয়ার পদ্ধতি ও নিয়ম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সুপ্রিয় নিশ্চয় আপনারা জানেন বাংলাদেশ এ অনেক রকম এর পেশা বা চাকরি আছে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি চাকরি হচ্ছে আইনজীবি বা এডভোকেট আইনজীবীরা হচ্ছেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশার অধিকারী।
বাংলাদেশের অন্যতম সম্মান জনক ব্যাক্তি হচ্ছেন আইনজীবী গন।আজ আমি আইনজীবী নিয়ে আপনাদের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করব।
Lawyer বা আইনজীবি কি / আইনজীবী কারা:
আইনজীবি সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে আপনাকে উকিল সম্পর্কে জানতে হবে তাই উকিল কি তা একটু শেয়ার করলাম ।
যে সকল ব্যাক্তি আইনের উপর লেখাপড়া করে পাশ করেছে এবং এল,এল,বি ডিগ্ৰী অর্জন করেছে তাদের কে উকিল বলা হয়।
আর যেসকল উকিল বার কাউন্সিল এবং এনডোরম্যান্ট Exam পাশ করেছে তাদের কে আইনজীবী বা এডভোকেট বলা হয়।যেসকল উকিল এনডোরম্যান্ট পরীক্ষা পাশ করেন তাদেরকে একটি লাইসেন্স দেয়া হয় এবং তারা কোর্টে গিয়ে মামলা লড়তে পারে এবং Practice করতে পারেন । লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত কোন উকিল আইনজীবী হতে পারবেন না এবং মামলা লড়তে পারবেন না । আইনজীবি হল উকিলের একটা উপরের অংশ।
Lawyer আইনজীবি হওয়ার নিয়ম আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম
অনেকেই আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তো তাহলে আজ একটু সময় করে দেখ নেন কীভাবে একজন আইনজীবী হওয়া যায় । জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে সবাই কে কষ্ট করতে হয়।কষ্ট করলে ইনশাআল্লাহ জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছা যায়।
আইনজীবি হওয়ার জন্য আপনাকে কতগুলো সার্টিফিকেট এর অধিকারী হতে হবে। সার্টিফিকেট থাকলে আপনি কেবল আইনজীবীর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
Lawyer আইনজীবি হওয়ার জন্য কোন কোন যোগ্যতা প্রয়োজন:
- *একজন ব্যাক্তিকে আইনজীবী হওয়ার জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হতে হবে। আবার বার কাউন্সিল এর অনুমোদন পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- বাংলাদেশের কোন অনুমোদন প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাস করতে হবে। অথবা বিদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পাস করার ডিগ্ৰীধারী হতে হবে।
- বাংলাদেশ বা বিদেশ থেকে আইন বিষয়ে Graduating Degree থাকতে হবে।
বাংলাদেশে আপনারা দুইভাবে আইনের ডিগ্ৰী অর্জন করতে পারবেন।
প্রথমত, এইচএসসি পাস করার পর চার বছরের Law ,অনার্স পড়ে L,L,B ডিগ্ৰী অর্জন করতে পারবেন।
অনার্স পাসের পর দু, বছরের L,L,B কোর্স সম্পাদনের মাধ্যমে L,L,B ডিগ্ৰী অর্জন করতে পারবেন।।
আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হোন এবং L,L,B ডিগ্ৰী অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনাকে একটি কাজ করতে হবে তাহলো, আপনাকে বাংলাদেশের একজন আইনজীবীর সাথে শিক্ষানবিশ হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে আইনজীবীর সাথে শিক্ষানবিশ হয়ে কাজ করছেন উনি যেন ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ১০ বছর যাবত আইনজীবী হিসেবে কাজ করে থাকেন।অন্যতায় আপনার শিক্ষানবিশ যথাযতভাবে কার্যকর হবে না।
আপনার শিক্ষানবিশ হওয়ার কারণ:
আপনার শিক্ষানবিশ হওয়ার কারণ হল আপনি যে আইন বিষয়ে পড়েছেন তা একজন আইনজীবীর সাথে শিক্ষানবিশ হয়ে আপনার সে বিষয়গুলো Practically ভাবে করতে পারবেন। অত্যন্ত ছয় মাস সে আইনজীবীর সাথে থেকে আপনাকে কাজ গুলো শিখতে হবে।
আপনাকে একটি চুক্তি নিতে হবে আপনি যে আইনজীবীর সাথে শিক্ষানবিশ হয়ে আছেন তার সাথে পর পর চতুর্থ ধাপে আপনাকে কাজ করতে হবে।
এরপর আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে।
আপনি যে আইনের L,L,B ডিগ্ৰীধারী এবং বাংলাদেশের নাগরিক এমনকি আপনার শিক্ষানবিশ চুক্তি আছে তাহলে আপনাকে একটি কাজ করতে হবে।
আইনজীবি হওয়ার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের শিক্ষানবিশ আইনজীবীর আবেদন করতে হবে।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীর আবেদন এর নিয়ম:
- ২, আপনার সার্টিফিকেট এর কপিগুলো।
- ৩, শিক্ষানবিশ চুক্তি পত্রের কপি।
- ৪, পার্সপোর্ট সাইজের ছবি।
এগুলো একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী হওয়ার আবেদন এর জন্য দিতে হবে।
এছাড়া শিক্ষানবিশ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন এর জন্য নির্ধারিত ফি আছে তা প্রদান পূর্বক আপনাকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য রেজিস্ট্রেশন করে আবেদন করতে হবে।
তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনি যেদিন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য আবেদন করবেন সেদিন থেকে ছয় মাস পেরুলেই এরপর আপনি এডভোকেট হিসাবে পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্য হবেন।এই যে বিষয় গুলো আছে সেগুলো হচ্ছে আপনি আইনজীবী হওয়ার Free Reqarment । এগুলো সম্পাদন এর পর আপনি আইনজীবী হওয়ার পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্য হবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন এর মেয়াদ ছয় মাস উত্তীর্ণ হবার পর যদি বার কাউন্সিলর আইনজীবী পরীক্ষার কোন সার্কুলার দিয়ে থাকে তাহলে আপনাকে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান পূর্বক আবেদন করতে পারবেন।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে আইনজীবি হওয়ার জন্য আপনাদের কে দুই বার আবেদন করতে হয়েছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলর এ ।
- প্রথমত আবেদন আইনজীবীর জন্য , শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির আবেদন।
- দ্ধিতীয় বার আবেদন আইনজীবীর জন্য, শিক্ষানবিশ হিসেবে নিয়োগ এর মেয়াদ ছয় মাস উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ এর আবেদন।
অর্থাৎ আইনজীবী হওয়ার জন্য আপনাকে দুই বার আবেদন করতে হয়েছে।
এরপর আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আইনজীবী হওয়ার জন্য আবেদন এর পর কোন পদ্ধতিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলর আইনজীবী নিয়োগ এর পরীক্ষা নিবে।
আইনজীবী নিয়োগ এর পরীক্ষা তিনটি ধাপে সম্পুর্ন হবে।
- প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।
- লিখিত পরীক্ষা।
- ভাইভা পরীক্ষা।
- প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১০০ মার্ক এর হবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আপনাকে ৫০ এর উর্ধ্বে মার্ক পেতে হবে।পাস মার্ক ৫০ উর্ধ্বে।
- লিখিত পরীক্ষা হবে ১০০ মার্ক এর , লিখিত পরীক্ষায় ৫০ এর উর্ধ্বে মার্ক পেতে হবে ,পাস মার্ক ৫০ উর্ধ্বে।
- ভাইভা পরীক্ষা ৫০ মার্ক এর পাস মার্ক ২৫ ।
- ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তি হবেন তারপর কয়েকটি ধাপে একজন আইনজীবী কে উত্তীর্ণ হতে হবে।
- Graduation Complete করতে হবে।
- শিক্ষানবিশ হিসেবে ছয় মাস কাজ করতে হবে।
- বাংলাদেশ বার কাউন্সিলর এ আরেকটি পরীক্ষা আছে সেই পরীক্ষায় , প্রিলিমিনারি, লিখিত , ভাইভা উত্তীর্ণ হলে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাবেন।
- এই হল আইনজীবী হওয়ার নিয়ম।
সমাপ্তিতে একথাই বলতে চাই আইনজীবী হওয়ার জন্য যদিও অনেকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয় তারপরও একথা বলা যায় আইনজীবী হওয়া অনেক সম্মানজনক ও মহৎ।আর এই মহৎ পেশা যাদের জীবনের লক্ষ্য ইনশাআল্লাহ তাদের আশা আল্লাহ পূরন করবেন। ভূল হলে ক্ষমা করবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন।