বাহু বা সরলরেখা কাকে বলে?

বাহু বা সরলরেখা কাকে বলে, জ্যামিতির অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাহু বা সরলরেখা। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম বাহু বা সরলরেখা কি ,কাকে বলে।

বাহু বা সরলরেখা কাকে বলে?

পরপর অবস্থিত একাধিক বিন্দুসজ্জাকে রেখা বলে।

অনুরূপ বাহু:

যদি একটি বাহুর প্রান্ত বিন্দুদ্বয় অপর একটি প্রান্তবিন্দুদ্বয়ের উপর সমপতিত হয় তবে একটিকে অপরটির অনুরূপ বাহু বলে।

সাধারণ বাহু:

দুটি সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রের সীমারেখা ( সরলরেখা) কে ঐ ক্ষেত্রদ্বয়ের সাধারণ বাহু বলে।

সমদ্বিখন্ডক:

যে রেখা এক বা একাধিক বাহু বা কোনকে সমান দুই ভাগে ভাগ করে তাকে সমদ্বিখন্ডক বলে।

কোনের অন্তদ্বিখন্ডক :

একটি রেখা কোনকে অন্ত:স্থভাবে দ্বিখণ্ডিত করলে তাকে কোনের অন্তদ্বিখন্ডক বলে।

লম্বদ্বিখন্ডক:

যদি একটি রেখাংশকে অপর একটি রেখা সমকোনে সমদ্বিখন্ডিত করে তবে তাকে লম্ব দ্বিখন্ডক বলে।

সমান্তরাল সরলরেখা:

যদি দুটি রেখা পাশাপাশি সর্বদা সমান দুরুত্ব বজায় রেখে অবস্থান করে তবে ঐ রেখাদ্বয়কে সমান্তরাল সরলরেখা বলে।/ একই সমতলে অবস্থিত দুটি সরলরেখা একে অপরকে ছেদ না করলে তাদেরকে সমান্তরাল সরলরেখা বলে।

সমান্তরাল সরলরেখার বৈশিষ্ট্য:

  • সমান্তরাল সরলরেখার মধ্যবর্তী দূরত্ব সর্বদা সমান।
  • কখনও পরস্পরকে ছেদ করবে না।

ছেদক:

যদি একটি রেখা অপর একটি রেখাকে যে কোন একটি বিন্দুতে ছেদ করে তবে রেখাটিকে ছেদক বলে।

লম্ব:

একটি রেখা অপর একটি রেখার উপর দন্ডায়মান হয়ে সমকোনের ৯০° কোন উৎপন্ন করে তবে তাকে লম্ব বলে।

তীর্যক রেখা :

যে রেখা অন্য কোন রেখার উপর লম্বভাবে অবস্থান না করে বাঁকা ভাবে অবস্থান করে তাকে তীর্যক রেখা বলে।

বৃত্তের স্পর্শক :

একটি সরলরেখা ও একটি বৃত্তের যদি একটি মাত্র সাধারণ বিন্দু থাকে তবে ঐ রেখাকে বৃত্তের ঐ বিন্দুতে স্পর্শক বলে এবং বিন্দুটিকে স্পর্শবিন্দু বলে।

স্পর্শক :

একটি সরলরেখা দুটি বৃত্তকে স্পর্শ করলে তাকে বৃত্ত দুইটির সাধারণ স্পর্শক বলে।

সরল সাধারণ স্পর্শক:

দুটি বৃত্তের কোন সাধারণ স্পর্শকের স্পর্শবিন্দু দুটি যদি ভিন্ন ভিন্ন হয় তবে তাকে সরল সাধারণ স্পর্শক বলে।

তীর্যক স্পর্শক:

দুটি বৃত্তের কোন সাধারণ স্পর্শকের স্পর্শবিন্দু দুটি ভিন্ন হলে এবং কেন্দ্রবিন্দুদ্বয় স্পর্শকটির বিপরীত পাশে অবস্থিত হলে তাকে তীর্যক স্পর্শক বলে।

অন্ত:স্পর্শ :

পরস্পরস্পর্শী দুটি বৃত্ত ঐ স্পর্শবিন্দুগামী স্পর্শকের একই পার্শে অবস্থিত হলে তবে বৃত্তদ্বয়ের এ অবস্থানকে অন্ত:স্পর্শ বলা হয়।

বহি:স্পর্শ:

পরস্পরস্পর্শী দুটি বৃত্ত ঐ স্পর্শবিন্দুগামী স্পর্শকের বিপরীত পার্শে অবস্থিত হলে তবে বৃত্তদ্বয়ের এ অবস্থানকে বহিস্পর্শ বলা হয়।

মধ্যমা:

যে কোন ত্রিভুজের যে কোন শীর্ষ বিন্দু হতে ঐ শীর্ষের বিপরীত বাহুর মধ্যবিন্দুর সংযোজক সরলরেখা ই হলো ত্রিভুজটির একটি মধ্যমা।

সংযোজক সরলরেখা:

সংযোজক সরলরেখা হলো দুটি বিন্দুকে সংযোগকারী সরলরেখা।

স্পর্শ জ্যা:

কোন বৃত্তের দুটি স্পর্শক এর একটি সাধারণ বিন্দু থাকলে ঐ স্পর্শকদ্বয়ের স্পর্শ বিন্দুর সংযোজক রেখাংশকে স্পর্শ জ্যা বলে।

এই ছিল জ্যামিতির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর এগুলো basically জানা থাকতে হবে এবং আমাদের ব্লগে জ্যামিতি বিষয়ে সবগুলো topics শেয়ার করলাম যেমন…

  • বিন্দু
  • কোন
  • কোন এর প্রকারভেদ
  • রশ্মি
  • ত্রিভুজ।

বিন্দু কাকে বলে? মধ্যবিন্দু এবং সমবিন্দু বহিস্থ বিন্দু কাকে বলে?

কোণ কাকে বলে? কোণ কত প্রকার ও কী কী

shaheda

I'm a proud member of scholarsme. Content Writer and SEO Expert, I completed my graduation in Political science, and I love to share university suggestions and scholarship information.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button