কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি ২০২৩ | Krishi Bank Loan System

কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি। কৃষি ব্যাংক ঋণের নাম শুনলেই মাথায় চলে আসে কৃষকদের কথা। হ্যা কৃষকদের কথা। বাংলাদেশের অর্থনীতির সাথেকৃষি ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। কৃষি ছাড়া বাংলার অর্থনীতির কথা ভাবা যায় না। আজকে আমরা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ইতিবৃত্ত নিয়ে আলোচনা করব। কিভাবে কৃষি ব্যাংক লোন দেয় এবং তার লোন পদ্ধতি কী কী? আর কী তার উদ্দেশ্য।

কৃষি ব্যাংক লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা

  • পাসপোর্ট সাইজ ফটো।
  • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • জমির পরিমান।
  • পূর্বের ব্যাক ডকুমেন্ট।
  • ইত্যাদি।

Krishi Bank Loan System

কৃষি ব্যাংক লোন

কৃষি ব্যাংকের সুবিধা সমুহ।

  • শস্য ঋণ।
  • মস্য ঋণ।
  • প্রাণীসম্পদ ঋণ।
  • চাষাবাদ যন্ত্রপাতি ঋণ।

কৃষি ব্যাংক শস্য ঋণ।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শস্য উৎপাদনে সহায়তা করে। ফসল বা শস্য ক্ষেত্রে কৃষকদের নানাভাবে সহায়তা করে। তার মধ্যে শস্য ঋণ অন্যতম।

শস্য ঋণের সুবিধা ও শর্ত।

কৃষি ব্যাংক শস্য ঋণ দিয়ে থাকে। কৃষি ব্যাংকের এই লোনের উল্লেখ যোগ্য কিছু দিক হলো;

  • মোট বার্ষিক ঋণের জন্য বরাদ্দকৃত ঋণে ৬০ ভাগ শস্যের জন্য নির্দিষ্ট।
  • এটা সব ধরনের ফসলকে অন্তর্ভুক্ত করে।
  • সব কিছুরই নির্দিষ্ট নিয়ম আছে।
  • আর কৃষি ব্যাংক তাদের নিয়ম অনুযায়ী ঋণ প্রদান করে।
  • সুদের ৯ ভাগ।
  • এটা পরিবর্তনশীল।
  • কৃষকরা এই লোনের যোগ্য।
  • বার্ষিক হিসাবে লোন মঞ্জুর করা হয়।
  • ঋণগ্রহীতাকে ক্রডিট পাসবুক দেওয়া হয়।

কৃষি ব্যাংকের মৎস ঋণ

কৃষি ব্যাংক মংস্য লোন প্রদান করে। যেসব কাজের জন্য মৎস ঋণ দেওয়া হয়।

  • পুকুর খনন।
  • পুনরায় পুকুর খনন।
  • জলাভূমির উন্নয়ন নিশ্চিত করণ।
  • মৎস হ্যাচারি।
  • নতুন মৎস্য পকল্পের ঋণ প্রদান।
  • মাছ চাষ ঋণ।
  • পুকুরে মাছ চাষ।
  • ট্যাংকেমমাছ চাষ।
  • নতুন পুকুর খনন করে মাছ চাষ।
  • পুরাতন পুকুর খনন করে মাছ চাষ।

কৃষি ব্যাংকের চিংড়ি চাষ ঋণ।

বাংলাদেশের চিংড়ি চাষ খুব লাভজনক একটি ব্যবসা। চিংড়ি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। প্রতিবছর বাংলাদেশের চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি হয়। ফলে দেশের অর্থনৈতিক দিক চাঙ্গা হয়। কৃষি ব্যাংকের চিংড়ি লোন সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো

  • বাগদা চাষ।
  • বাঘ চিংড়ি চাষ।
  • বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ।
  • মিঠা পানিতে চিংড়ি চাষ।

কৃষি ব্যাংকের প্রাণীসম্পদ ঋণ

প্রাণীসম্প ঋণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋণ। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অন্যতম প্রকল্প এটি। কৃষি ব্যাংক ষাড় পালন, গাভী মোটাকরণ ছাগল পালন, মুরগি খামার কারণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ ঋণ দিয়ে থাকে।

অন্যান্য ব্যাংকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন নিচের লিংক গুলোতে।

গরু মোটাকরণ কর্মসূচি।

দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের কৃষি ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালন করে। গরু মেটাতাজকরণ একটি প্রকল্প। গরু মোটাতাজাকরণে কৃষি ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে।

কৃষি ব্যাংকের এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।

কৃষি ব্যাংকের এই প্রকল্পের পিছনে কিছু মহত উদ্দেশ্য রয়েছে।
কর্মহীন মানুষের আত্মাসংস্হানের সু্যোগ।আমিষ পূরণ।মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। কর্মসূচিতে ব্যাংক কর্মকর্তাকে উপস্তিতির নিশ্চিতকরণ।

কৃষি ব্যাংকের প্রধান দিক।

কৃষি ব্যংকের লোন প্রদানে কিছু মৌলিক দিক আছে। নিচে কৃষি ব্যাংকের মৌলিক দিক গুলো উল্লেখ করা হলো।

সঠিকভাবে কর্যক্রম পরিচালনা, ও ঋণ পর্যবেক্ষণ। গ্যারান্টি প্রদানে ব্যাংক কর্মকর্তার কার্যক্রম। সর্বোচ্চ ঋণ ২৫০০০ হাজার পাবে প্রতি বছর।

যে সব কাগজ পত্র লাগবে।

কৃষি ব্যাংকে আবেদন করার জন্যা কৃষি ব্যংক কিছু কাগজ চাইবে। এগুলো ঋণ নেবার পূর্বে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে। এই শর্ত শুধু কৃষি ব্যাংকে নয়। অন্যান্য ব্যাংকেও এই একই নিয়ম।

১। গ্রাহকের জাতীয়তা সনদপত্র (এনআইডি কার্ড) অথবা  স্মার্ট কার্ড
২। কৃষি কার্ড
৩। পাসপোর্ট সাইজের ছবি ০৩ কপি।
৪। জামিনদাতা যিনি হবেন তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড ও ২ কপি ছবি।

চার্জ ডকুমেন্টসমূহ

১। ডিপি নোট স্ট্যাম্প (সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক)
২। লেটার অব হাইপোথিকেশন (স্ট্যাম্প প্রয়োজন নেই)
৩। বিতরণপত্র
৪। ব্যবস্থাপত্র
৫। শস্য বন্ধকী দলিল
৬। জামিনদাতার প্রদত্ত লেটার অব গ্যারান্টি।

আবেদন পত্র প্রক্রিয়াকরণ ফি ২০২৩

কৃষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাত্র ১০ টাকা প্রাথমিক জমার বিনিময়ে ব্যাংকের শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা যাবে। সকল প্রকার কৃষি ও পল্লী ঋণে নির্ধারিত সুদ ব্যতীত অন্য কোন নামে কোন প্রকার চার্জ, প্রসেসিং ফি/মনিটরিং ফি ইত্যাদির নামে কোন টাকা পরিশোধ করতে হয়না।

জামিনদার সংক্রান্ত তথ্যাদি

  • স্থানীয় চেয়ারম্যান/মেম্বার/স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জামিনদার হিসেবে নেয়া যায়।
  •  সরকারী-বেসরকারী স্কুল/কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষকদের জামিনদার হিসেবে নেয়া যেতে পারে।

আশা করি আপনারা কৃষি ব্যংকের লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমাদের সাথে থাকুন নতুন উপডেট পেতে।

মাহফুজুর রহমান

মাহফুজুর রহমান হলেন স্কলার্সমীর প্রতিষ্ঠাতা, তিনি প্রফেশনালি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং SEO (Search Engine Optimization) বিষয়ে কাজ করেন, SEO Friendly নিউজ এবং ব্লগ পোস্টে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কাজ করে আসতেছে। যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য কন্টাক্ট করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button