ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৩
![ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম](https://scholarsme.com/wp-content/uploads/2023/03/ঘরে-বসে-বিকাশ-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-.png)
হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা কি মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন? কিন্তু সঠিক নিয়মের অভাবে নিজে নিজে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারছেন না। তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন। এখান থেকে পর্যায়ক্রমে শিখে নিজে নিজেই মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খুলে তার লেনদেন করতে পারবেন। তবে একাউন্ট খোলার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে কোন ধরনের ভুল না হয়ে থাকে। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেই মোবাইলে বিকাশ এপ দিয়ে একাউন্ট খোলার নিয়ম।
যেভাবে ঘরে বসে মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খুলতে হয়?
- বিকাশ একাউন্ট কি
- মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
- বিকাশ ব্যবহারের সুবিধা
- বিকাশ ব্যবহারে সতর্কতা
বিকাশ একাউন্ট কি?
বিকাশ হচ্ছে এক ধরনের ইলেকট্রিক মানি ট্রানজেকশন পদ্ধতি। এক ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে অন্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অর্থ লেনদেন করা যায়। যেমন বহু আগে মানে ট্রানজেকশন সিস্টেম ছিল শুধুমাত্র হ্যান্ড টু হ্যান্ড। তারপর আসলো ব্যাংক ট্রান্সফার। বিশেষ করে যারা গ্রামে চলে থাকতো তাদের এই লেনদেন করতে খুব কঠিন হতো। কারণ উপজেলা পর্যায়ে বাদে কোন জায়গায় ব্যাংক ব্যবস্থা ছিল না। তখন অর্থ লেনদেনের জন্য উপজেলায় বিভিন্ন ব্যাংকগুলোতে ঘুরতে হতো এতে করে সময় এবং বাড়তে অর্থ উভয় অপচয় হতো। সেই সঙ্গে তখন ব্যাংককে একাউন্ট খোলাও এক ধরনের ঝামেলা ছিল।
এখন সময় এবং অর্থ উভয়কে সংক্ষিপ্ত করে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা এনেছে ডিজিটাল। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং রয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে বিকাশ। বিকাশের মাধ্যমে একটি মোবাইল ডিভাইস হতে খুব সহজেই হাজার হাজার টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। যার মাত্র শুধু মোবাইল কেন এসে তারাই মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খুলে টাকা লেনদেন করতে পারবেন। কোন ব্যাংক বা এজেন্ট এর কাছে ঘুরাঘুরি করে হয়রানি হতে হবে না। আমাদের আর্টিকেল স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করলে নিজের একাউন্টসহ অন্যদের একাউন্ট খুলে দিতে পারবেন।
মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম 2023
বিকাশ একাউন্ট নিজে নিজে খোলার জন্য প্রয়োজন হবে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, মোবাইল নম্বর, ভোটার আইডি কার্ড। এ কয়েকটি জিনিস হয়ে গেলেই নিজে নিজে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।
★ প্রথমে একটি এন্ড্রয়েড ফোন নিতে হবে এবং সেখান থেকে প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ করুন Bkash App. সার্চ করার পর বিকাশ অ্যাপ টি সামনে চলে আসবে এবং তার ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে।
★ অ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে গেলে তা ওপেন করুন। ওপেন করার পর সেখানে লগইন করুন বা রেজিস্টার করুন নামে একটি লেখা পাওয়া যাবে। সেখানে রেজিস্টার করুন লেখার উপরে ক্লিক করতে হবে।
![](http://scholarsme.com/wp-content/uploads/2023/02/Screenshot_20230211-160234.jpg)
★ রেজিস্টার করুন লেখাটির উপর ক্লিক করার পর একটি নাম্বার চাইবে। নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্টটি খুলতে চাচ্ছেন সে নাম্বারটি এখানে বসাতে হবে। নাম্বারটি বসানো হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে।
![](http://scholarsme.com/wp-content/uploads/2023/02/Screenshot_20230211-160923.jpg)
★ পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর আপনি কোন অপারেটর মোবাইল নম্বর থেকে এখন খুলতে চাচ্ছেন সেই অপারেটর সিলেক্ট করে আবার পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
★ পরবর্তী ধাপে যাওয়ার পর সেখানে আপনার ওই নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে। এরপর কোডটি বসাতে হবে। মনে রাখবেন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম এর মধ্যে ওটিপি করতে কারো সাথে শেয়ার করবেন না।
★ ভেরিফেশন করতে বসানোর পর সাবমিট করতে হবে। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন কনফার্ম করুন।
![](http://scholarsme.com/wp-content/uploads/2023/02/Screenshot_20230212-063311.jpg)
★ রেজিস্ট্রেশন কনফার্ম করার পর Nid card উভয় সাইড দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। এজন্য জাতীয় পরিচয় পত্র এর ছবি তুলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে পাঠাতে হবে।
★ জাতীয় পরিচয় পত্রের সকল তথ্য বিকাশ যাচাই করে তা আপনাকে জানিয়ে দেবে। সকল তথ্য সঠিক থাকলে পরবর্তী ধাপে নাম, ঠিকানা সহ যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য বসাতে হবে।
★ তথ্যগুলো বসানোর পর পরবর্তী ধাপে যে কার্ড দিয়ে ভেরিফাই করা হয়েছে আইডি কার্ডের ব্যক্তির ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে।
বিকাশ পর্যালোচনা করার জন্য বেশ কিছু সময় নেবে। সময়টি সাধারণত হয়ে থাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। সকল তথ্য সঠিক থাকলে এসএমএসের মাধ্যমে একটি কনফারমেশন পাঠাবে।
★ এরপর বিকাশ অ্যাপ এ প্রবেশ করে মোবাইল নম্বর এবং অপারেটর সিলেক্ট করে নিতে হবে। তারপর পরবর্তী ধাপে গেলে আবার একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে। সেই কোড বসাতে হবে এবং এরপর পিন সেট করে নিতে হবে।
উপরের স্টেপ গুলো ফলো করলে আপনি মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জানান খুব সহজভাবেই। সফলভাবে চেষ্টা করার পর অন্যদেরকেও শিখিয়ে দিন। সবাই বাড়িতে বসে নিজ নিজ একাউন্ট গুলো খুলে নিতে পারবে।
পেপাল একাউন্ট খুলুন বাংলাদেশ থেকে ?
বিকাশ একাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা?
বিকাশ একাউন্ট ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। এখন স্থান হতে অন্য স্থানে মাত্র কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা পাঠানো যায়। দৌড়াদৌড়ির ঝামেলা নেই ব্যাংকগুলোতে, যেখানে আগে মাত্র ২০০০ টাকা পাঠানোর জন্য সিরিয়াল দিয়ে থাকতে হতো। এখানে ঘরে বিছানায় শুয়েই এখন টাকা পাঠাতে পারা যায় এই বিকাশের মাধ্যমে।
বিকাশ ব্যবহারের সুবিধা গুলোর মধ্যে অন্য একটি সুবিধা হচ্ছে এটি সারা বাংলাদেশ জুড়ে বহুল ব্যবহৃত। প্রায় সবাই এখন বিকাশ ব্যবহার করে। এজন্য এর ব্যবহার অত্যন্ত লাভজনক। বিভিন্ন দোকানের পেমেন্ট থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর ফি গুলো বিকাশের মাধ্যমে দেওয়া যায়। মোটকথা বিকাশ একাউন্ট ব্যবহারে প্রচুর সুবিধা রয়েছে।
সর্তকতা: বিকাশ এজেন্ট বা অফিস থেকে কখনো গ্রাহকের ওটিপি কোড কিংবা ভেরিফিকেশন কোড চায় না। কখনো কাউকে এ কোড শেয়ার করবেন না বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বিকাশে এক ধরনের স্ক্যামাররা গ্রাহকদের ওটিপি কোড হাতে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। এ সকল ফাঁদে মোটেই পড়া যাবে না যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই এজেন্ট দোকানগুলোতে যোগাযোগ করবেন তারা সমাধান দিয়ে দিবে। সেখানেও সমাধান না পেলে জেলা পর্যায়ে থাকা বিকাশ এজেন্ট গুলোর সাথে যোগাযোগ করে ঠিক করে দিতে হবে। মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম নিজে জানলেন এবং অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।
ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম, অ্যাপ ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশ একাউন্ট লক খোলার নিয়ম, বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম 2023.