সিলেটে বন্যায় ত্রাণ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন যারা?

সিলেটে বন্যায় ত্রাণ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন যারা?সিলেটে বন্যা ভয়াবহ রুপ নিয়ে হাজির হয় এবার। ভয়াবহতা ছিল স্মরণ কালের ভয়ংকর এক বন্যার রুপ। পানি এতো বেশি ছিল যে মানুষ খাটের উপর খাট রেখে কোন ঠায় পায় নি। শেষতক তাদেরকে ছাড়তে হয় আপন বিটা। আশ্রয় নিতে হয় আশপাশের উঁচু কোন ভ্রবণে বা খোলা ময়দানে আবিরাম বৃষ্টির নিচে। কেউবা আশ্রয় নেয় স্কুল মাদরাসায়, যেটাকে আমরা আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করি বন্যার সময়। অনাহারে ভোগা লোকদের দেখলে চোখে জল আটকে রাখা আসম্ভব। যে যা পারছে তা দিয়ে সাহায্য করছে। স্হানীয় লোকেরাও সাহায্য করতে পারছে না, তারা নিজেদের রক্ষায় ব্যাস্ত। বন্যায় এতো বেশি বিপর্যস্হ মানুষ ছিল যে, বিত্তবানরাও এথেকে বাদ যান নি। তারও ছিলেন বন্যার কবলিত। তাই দেশের অন্যান্য স্হান থেকে ছুটে আসছেন বিভিন্ন জন ও কল্যাণ মূলক সংস্হার লোক।

সিলেটের কোন কোন জায়গা বন্যা কবলিত?

গোটা সিলেট শহর বন্যায় প্লাবিত। সুনামগন্জ, জামালগন্জ, দিরায়, কানাইঘাট, জৈন্তা, গোয়াইনঘাট, জকিগন্জ, কোম্পানিগন্জ বন্যায় প্লাবিত। প্রতিটি এলাকা যেন জন বিচ্ছিন্ন একেকটি দ্বীপ।

আহমাদুল্লাহ ও আস সুন্নাহ ট্রাস্টের ত্রাণ।

আস সুন্নাাহ ও আহমাদুল্লাহ পুরোই একটা রাষ্ট্র। একাটা রাষ্ট্রের পক্ষে সিলেটে বন্যা কবলিত মানুষের যে ত্রাণ দিবার কথা ছিল। একা আহমাদুল্লা আস সুন্নাহ ট্রাস্ট একাই সেটা করেছে। আমরা ২০২২ সালের মে মাসে সিলেটের বন্যায়ও দেখেছি আস সুন্নাহ ট্রাস্টের লোকজন সিলেটে একেবারে হাওয়ারী প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে গেছেন ত্রাণ।

এবারও তার ব্যাতিক্রম হয় নি। আহমাদুল্লাহ নিজে শামিল হন ত্রাণ বিতরণে। আগের চেয়ে বহুগুণ বেশি, প্রায় ২ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণে করেন সিলেটের বন্যা কবলিত এলাকায়।

হাসান আজহারীর সিলেটে ত্রাণ।

১৬ লক্ষ ২০ হাজার ২০১ টাকার ত্রাণ নিয়ে হাসান আজহারী ও তার সহযোগিরা সিলেটে যাত্রা করেন।
তারা সিলেটে ত্রাণ বিতরণ করছেন অভোক্ত লোকেদের। যারা ঘর বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দে মনবেতর জীবন যাপন করছে। তার সুনামগঞ্জের বিসম্বপুর থানায় ১০০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। তাছরড়া গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ মানবিক টিমকে ৪০০ পরিবারের ত্রাণ সামগ্রী সমঝিয়ে দেন।

নিপুণ, রিয়াজ ও সাইমনের সিলেটে ত্রাণ।

অনলাইনে একটি ভিডিও ভাইরালনহয়। তাতে দেখা যায় চিত্রনায়করা বৃষ্টতে ভিজে ত্রাণ বিতরণ করছেন।
বৃষ্টিতে ভিজে সিলেটে ত্রাণ দিচ্ছেন তারা। তারা হলেন নিপুণ,রিয়াজ ও সাইমন।

অনন্ত জলিলের ত্রাণ সিলেটের বন্যায়।

অনন্ত জলিল সিলেটের বন্যার্তদের মাঝে ৩০ লাখ টাকার ত্রাণ বিতরণ করেন। তিনি নিজে ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহন করেন। পানি বন্দি মানুষের হাতে পৌছে দেন ৩০ লাখ টাকার ত্রাণ।

জামাতে ইসলামীর ত্রাণ।

সিলেটে মাঠে নামো ত্রণ নিয়ে জামাতে ইসলামী। জামাতে ইসলামীর আমীর শাফিকুর রহমান ও ছিলেন ত্রণ বিতরণে। তিনি নিজ কাঁধে ত্রাণ পৌছে দেন মানুষের দোয়ারে। তারা দিনভর গোটা সিলেটে ত্রাণ বিতরণ করেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ত্রাণ।

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেটে ত্রাণ বিতরন করে। তারা ত্রাণ নিয়ে যান সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়। বিশুদ্ধ পানিনও শুকনো খাবার বিতরন করেন আসহায় ও তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে।

তাশরীফ খানের সিলেটে ত্রাণ।

নিজে হাতে ত্রাণ পোঁছে দিচ্ছেন একজন লোক, তিনি অসুস্থ। কিন্তু অসুস্থতার কাছে তিনি হার মানেন নি। অসুস্থ শরীর নিয়ে ত্রাণ নিয়ে বেড়াচ্ছেন মানুষের দোরগোড়ায়। তিনি তাশরীফ খান। সিলেটে মানুষ তাকে কখনো ভুলবে না। তিনি এবং তার ব্যান্ড কুঁড়েঘর দুই কুটি টাকা তাহবিল গটন করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ যান ত্রাণ নিয়ে।

ইমাদ উদ্দীন চৌধুরী ফুলতলীর ত্রাণ।

মাওলানা ইমাদ উদ্দীন ফুলতলী সাহেবও বরাবরের ন্যায় বন্যার্তদের সেবায় এগিয়ে এসেছেন। তিনি প্রায় ২ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন।

হাবিবুর রহমান মিসবাহর ত্রাণ।

জনপ্রিয় বক্তা হাবিবুর রহমান মিসবাহও ত্রাণ দিচ্ছেন। তিনিও তার সংস্থা ফি সাবিলিল্লাহর মাধ্যমে ত্রাণ দিয়ে যাচ্ছেন।

আনওয়ার হুসেন চিশতির ত্রাণ।

লঞ্চে করে ত্রান নিয়ে সিলেটে ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা যায় আনওয়ার হুসেন চিশতিকে। তাছরা নুরুল ইসলাম ওলিপুরিকেও দেখা যায় ত্রাণ বিতরন করতে।

তৌহিদ আফ্রিদির ত্রাণ।

ট্রাক ভর্তি ট্রাক নিয়ে সিলেটে ত্রাণ নিয়ে যান তৌহিদ আফ্রিদি। জনপ্রিয় এই ইউটুবার কারো কাছ থেকে টাকা নেন নি, শুধু নিয়েছেন ত্রাণ। সে ত্রাণ নিয়ে তিনি সিলেট চলে যান। আর বিপর্যস্ত মানুষের হাতে তুলে দেন ত্রাণ। তাছাড়া তিনি ঈদের পর কিছু বাড়ি ঘর মেরামতের আশ্বাসও দেন।

জমশেদ মজুমদারের ত্রাণ।

জমশেদ মজুমদারও মানুষের কাছে ত্রাণ নিয়ে যান। তিনি নিজ হাতে ত্রাণ পৌছে দেন।

আরিফিন ইমরানের ত্রাণ।

আরিফিন ইমরানও ত্রাণ নিয়ে সিলেট যান। তিনি ও তার সহযোগীরা মিলে নিঃস্ব মানুষের কাছে ত্রাণ তুলে দেন।

ব্যারিষ্টার সুমনের ত্রাণ।

ব্যারিষ্টার সুমন প্রায় দেড় কোটি টাকার ত্রাণ নিয়ে যান সিলেটের বানবাসী মানুষের কাছে। তিনি নিজ হাতে অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণ পৌছে দেন। তিনি বলেন, “আপনাদের খাওয়ানোর জন্য আমার বাবার জমিন বিক্রি করা লাগলে করব”। তিনি আরো বলেন ” আমি পাঁচ ফুট আট ইঞ্চির মানুষ, কিন্তু আমার মনটা আমার দেহের চেয়েও বড়”।

ফারাজ করিম চৌধুরীর ত্রাণ।

ফারাজ করিম চৌধুরী সুনামগঞ্জে ত্রাণ নিয়ে যান। তিনি ৫০০ টি ঘর নতুন ভাবে তৈরির ওয়াদা দেন।

HM Mahfuj

Mahfujur Rahman is the founder of this Blog. He is a Professional Blogger and SEO Expert, who is interested in SEO, Web Programming. If you need any information related to this website, then you can feel free to ask here. It is our aim that you get the best information on this blog.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button