আজকের আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হচ্ছে কুরবানী সম্পর্কে হাদিস ও কুরবানীর সম্পর্কে কুরআনের আয়াত। যারা কোরবানি সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক বা এ প্রশ্নগুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ রয়েছে তারা আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন।
মুসলমানদের জন্য প্রধান ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ঈদ। প্রত্যেক আরবি বছরের দুইবার ঈদ উদযাপন করা হয়। একটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর এবং আরেকটি হচ্ছে ঈদুল আযহা। রমজান মাসে রোজা রেখে ঈদ পালন করতে হয়। আর কোরবানির ঈদ করা হয় ১০ জিলহজ্ব। আর এই সময় অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র হজ্জ। যাদের হজ করার সামর্থ্য রয়েছে তাদের অবশ্যই হজ করতে হবে।
আর সারা বিশ্ব জুড়ে ঈদ পালন করা হয়। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজের পাশাপাশি ছাদের উপর কুরবানী ফরজ হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই কুরবানী করতে হবে। কাদের উপর কুরবানী ফরজ হয়েছে এবং কাদের ওপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে এ বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে। যারা আর্টিকেলটি দেখতে ইচ্ছুক তারা নিচে থেকে আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন।
কুরবানীর গোস্ত বন্টনের নিয়ম | কুরবানীর ঈদ ২০২৩
কোরবানির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে গোস্ত বন্টন করা। ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয় নিয়েও একটি আর্টিকেল প্রকাশিত করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি কোরবানির গোশত সঠিকভাবে কিভাবে বন্টন করবেন সে বিষয়টি জানতে পারবেন। নিচে থেকে আর্টিকেলটি দেখে নিন এবং কুরবানীর গোশতের সঠিকভাবে বন্টন করে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ট অর্জন করুন।
কুরবানী সম্পর্কে হাদিস ও কুরবানীর সম্পর্কে কুরআনের আয়াত
কুরবানী সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) তার উম্মতের উদ্দেশ্যে অনেকগুলো কথা বলেছেন যা আমাদের কাছে হাদিস। আর মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের প্রতি কুরবানী সম্পর্কে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে আমাদের কুরআন শরীফে। আজকে এই দুই বিষয় সম্পর্কে আমরা পরিপূর্ণ ধারণা তুলে ধরবো আপনাদের সামনে।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাম বলেছেন ” আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে দুইটি দিনের পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। তার মধ্যে একটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর এবং অন্যটি হচ্ছে ঈদুল আযহা। ( দাউদ নাসাই, মুসনাদে আহমাদ )
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, ” এই দিনকে আল্লাহ তায়ালা উম্মতের জন্য ঈদ অর্থাৎ খুশির দিন বানিয়েছেন।”
মহানবী সাঃ বলেছেন, ” ঈদুল ফিতরের দিন কোন কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যেতেন না, আর তিনি ঈদুল আযহার দিনে নামাজ না পড়ে কোন কিছু খেতেন না।”
হযরত ওমর (রা) বলেছেন, ” আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা: এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যেতেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরতেন।”
হযরত জুবায়ের ইবনে নূফাঈ (র) বলেন ঈদের পর পরস্পরে সাক্ষাতে তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা বলতেন। যার অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন আমাদের পক্ষ থেকে ও আপনার পক্ষ থেকে।
এক হাদিসে বর্ণিত আছে যে মহানবী সাঃ এর আমলে সকাল সকাল ঈদের নামাজ পড়া হতো।
এখন আমরা আরও জানব কুরবানী সম্পর্কে হাদিস ও কুরবানীর সম্পর্কে কুরআনের আয়াত সম্পর্কে। আসুন তাহলে আরও সকল তথ্যগুলো দেখে নেই।
কুরবানী কার উপর ওয়াজিব এবং কার উপর ফরজ
হযরত ওমর (রা) বলেছেন, ” আমাদের প্রিয় নবী মদিনার ১০ বছরের জীবনে প্রতিবছরই তিনি কুরবানী করেছেন।” ( তিরমিজি মুসনাদে আহমদ )
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা) , ” আমাদের মহানবী সাদা কালো বর্ণের বড় শিং বিশিষ্ট নর দুম্বা কুরবানী করেছে। তারপর তিনি আল্লাহু আকবার বলে কোরবানি করেছেন।”
একটি হাদিসে এসেছে মহানবী (স) কুরবানী করার জন্য উম্মতদেরকে জোরদার করেছেন। যাদের নেসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তাদের ওপর কুরবানী ফরজ করা হয়েছে।
কুরবানী পশুর বয়স সম্পর্কে একটি হাদিসে মহানবী সাঃ বলেছেন, ” তোমরা কুরবানীতে এমন পশুর জব করবে না, যেগুলোর বয়স ৬ মাসের কম। তবে সংকটের অবস্থায় ছয় মাস বয়সী ভেড়া দুম্বা জবাই করা যেতে পারে।”
কুরবানী সম্পর্কে হাদিস ও কুরবানীর সম্পর্কে কুরআনের আয়াত সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আমরা এখন জানবো কুরবানীর পশুর বয়স কত হতে হবে সে বিষয় সম্পর্কে।
- উট : কমপক্ষে পাঁচ বছর বয়স হতে হবে।
- মহিষ গরু: মিনিমাম দুই বছর বয়স হতে হবে।
- ছাগল, ভেড়া এবং দুম্বা: অবশ্যই এক বছর হতে হবে। হাদিসে পাওয়া গেছে দুম্বার ক্ষেত্রে ছয় মাস বয়স হলেও কুরবানী করা যাবে।
সকল পশু কুরবানী করা যাবে না
- অতি রূগ্ন পশু
- যে পশুর এক চোখে দেখেনা
- যে পশু খোড়া
- যে পরশু এত শীর্ণ যে তার হারে মগজ নেই
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন কুরবানী সম্পর্কে হাদিস ও কুরবানীর সম্পর্কে কুরআনের আয়াত। ইসলামিক সংক্রান্ত সকল তথ্য এবং আপডেট জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত শিক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্যগুলো দেওয়া হয়। আমাদের হোমপেজ দেখুন।