প্রধানমন্ত্রীর পতন দাবি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, শিক্ষক বরখাস্ত —শিরোনামে বহুল প্রচারিত সংবাদটি বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিভিন্ন অনলাইন প্রত্রিকা, অফলাইন পত্রিকা, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলসহ ইউটিউব, ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পতন চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া মজলিশপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের নাম মো. মিজানুর রহমান।
স্যারের সাক্ষাৎকার আমরা কোথায় খুঁজে না পাওয়ায় স্কলার্সমীর টিম মেম্বারের একজন অনেক রিসার্সের পর স্যারের সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে আমরা উনার সাথে কথা বলতে সক্ষম হই।
আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উনার সাথে কথা হয় স্যার সরল মনে আমাদের কাছে অনেক বিষয় শেয়ার করেন এবং আমাদের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমরা জানতে পারি।
DhakaPost.com প্রকাশিত:
ভুক্তভোগী সহকারী প্রধানশিক্ষক মো মিজানুর রহমান স্যারের সাথে যোগাযোগ করা হলে উক্ত শিক্ষক ScholarsMe.com এর একান্ত সাক্ষাৎকারে…...
১. স্যার, আপনি কেন বরখাস্ত হলেন?
স্যার: গত ২১/০৫/২০২৩ তারিখে আমার ফেইসবুকে আমি একটা পোস্টে লিখি “আগে শেখ হাসিনার পতন, পরে জাতীয় নির্বাচন” এ পোস্টে আমার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিব্রতবোধ করেন এবং ২৩/০৫/২০২৩ তারিখ ম্যানেজিং কমিটির এক জরুরী সভায় আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
২. স্যার, আপনিত বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলের /MPO ভূক্ত শিক্ষক, আমি যতদুর জানি MPO ভূক্ত শিক্ষকদের জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ আছে, তার মানে আপনি মতপ্রকাশ করতে পারেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আপনার রয়েছে?
আপনি কি মনে করেন আপনার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে?
স্যার: আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমাদের দেশ গনতান্ত্রিক দেশ আমাদের সবার কথা বলার এবং মত প্রকাশের অধিকার আছে তাই এই ভাবে যদি হয় তাহলে কথা বলার, মত প্রকাশ করার অধিকার আর কারোও থাকবে না।
৩. স্যার, বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারলাম ম্যানেজিং কমিটির জরুরী বৈঠকে সর্বসম্মতিতে একদিনেই এক বৈঠকেই কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই সাময়িক বরখাস্ত!!!
স্যার: হ্যাঁ, বিষয় টা এরকমই।
৪. সাময়িক বরখাস্ত করার নিয়মটা বলবেন প্লিজ?
স্যার: স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাকে এভাবে বহিষ্কার / বরখাস্ত করতে পারেনা, বহিষ্কার করার রুলস আছে, বহিষ্কার করার পূর্বে কারন দর্শানোর নোটিশ করতে হবে ৭ সাত দিন এর মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে, জবাব না দিলে / জবাব সন্তোষজনক না হলে আবারও কারণ দর্শানোর নোটিশ করতে হবে, এভাবে তিন বার কারণ দর্শানোর নোটিশ করার পর সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করতে পারবে, কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যুর দিন থেকে ২১ দিন পর সাময়িক বরখাস্ত করতে পারেন।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন করল কিভাবে করল তা আমার বোধগম্য নয়।
৫. আপনি কি বরখাস্তের কোন কাগজ পত্র / কোন চিঠি পেয়েছেন?
স্যার: না পায়নি, পেলে তবেই নিশ্চিত হতে পারব।
৬. তাহলে স্যার,বিভিন্ন নিউজে আপনার বরখাস্ত / বহিষ্কার কিভাবে প্রচার করে?
স্যার: এটাত আমি বলতে পারবনা, সাংবাদিক হিসেবে তারা আমার কোন সাক্ষাৎকার নেয়নি।
শুনলাম আপনি নাকি গণঅধিকার পরিষদ এর রাজনৈতিনীর সাথে সম্পৃক্ত?
স্যার: যেহেতু গনঅধিকার পরিষদ ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলে, এমনকি সকল নাগরিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে, তাই আমি এ দলের একজন সমর্থনকারী, শুভাকাংখী,আমি কোন নেতা নই,আমার কোন রাজনৈতিক পদপদবীও নেই।
৭. আপনি কি বিদ্যালয়ে নিয়মিত যাচ্ছেন?
স্যার: না যাচ্ছি না, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমাকে নিষেধ করেছে, আমি কিছু ভয়ের মধ্যে আছি, কিছু লোক মুঠোফোন এ আমাকে মারধোর করার হুমকি দিয়ে ছে,আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।
৮. আপনি এখন কি করতে চাচ্ছেন?
স্যার: দেখুন, আমি একজন শিক্ষক হিসেবে ক্লাসে যেতে চাই, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকতে চাই, আমি আমার পরিবারের সম্মান বজায় রাখার চেষ্টা করি, সবসময়, বিদ্যালয়ের সম্মান বজায় রাখার চেষ্টা করি, আমি আশা করি,কর্তৃপক্ষ আমাকে আবারও ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিবেন এই প্রত্যাশাই করি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যার, ScholarsMe.com এর সাথে সময় দেওয়ার জন্য।
স্যার: আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ।
বিঃদ্রঃ এছাড়াও উনার সাথে ঘটে যাওয়া অনেক বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আমাদেরকে জানাননি। শুধু এটাই আমরা বুঝতে পেরেছি, যা কিছু উনার সাথে হয়েছে একজন শিক্ষক হিসেবে উনার সাথে তা হওয়া মোটেই কাম্য নয়। আল্লাহ উনাকে এবং উনার পরিবারকে হেফাজত করুন।
Also Read This News in BD News Portals: