মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম ২০২৩

সম্মানিত বাইকার ভাইদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম সম্পর্কে। যদিও মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম প্রতি বছর একই থাকে। ‌মাঝে মাঝে এই নিয়মের এবং আইনের পরিবর্তন ঘটে। ‌বিশেষ করে যারা নতুন বাইক চালানোর নিয়ম জানতে ইচ্ছুক তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‌আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা বাইক চালানোর জন্য যত নিয়ম কানুন রয়েছে সবকিছু জানতে পারবেন এবং পুলিশি ঝামেলা থেকে এরে যেতে সক্ষম হবেন।

আমাদের দেশে কয়েকটি শক্তিশালী আইনের মধ্যে হচ্ছে মোটরসাইকেল চালানোর আইন। একমাত্র বাইকার ভাইয়েরাই বুঝতে পারে এতে কত ধরনের ঝামেলা রয়েছে।‌ যদি এ সকল আইন মানা না হয় তাহলে জরিমানার হাতে পড়তে হয়।‌ এতে করে সময়, অর্থ উভয়ের অপচয় হয়ে যায়। ‌ আর যারা নতুন তাদের জন্য বাইক স্টার্ট দেওয়ার নিয়ম থেকে শুরু করে সকল কলাকৌশল তুলে ধরা হচ্ছে। ‌

মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম ২০২৩ দেখুন

মোটরবাইক চালানোর সময় কি কি ব্যবহার করা উচিত

আপনি যেভাবেই মোটর বাইক চালানো শিখুন না কেন আপনাকে অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করতে হবে। ‌ তা না হলে আপনি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং আইনি ঝামেলায় পড়তে পারেন। যেমন সু জুতা, ফুল প্যান্ট, হেলমেট ইত্যাদি পরিধান করা উচিত। ‌যদি কোন কারনে মোটরসাইকেলটি দুর্ঘটনায় শিকার হয় তাহলে এগুলো পোশাকের কারণে আপনি অনেক ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যেতে পারেন। ‌ প্রত্যেকটি দেশে এই সকল পোশাক পড়ে মোটরসাইকেল চালানো বাধ্যতামূলক। নিজের সুরক্ষায় এবং আইনে ঝামেলা এড়িয়ে যেতে এই ধরনের পোশাক পড়ে বাইক রাইট করুন।

টেকনিক্যাল সমস্যা দেখুন
পোষাক পরিচ্ছদ পড়ার পর দেখতে হবে মোটরসাইকেলের সকল যন্ত্রাংশগুলো ঠিক আছে কিনা। ‌যেমন মিটার, টায়ার বা চাকা, ব্রেক, গিয়ার, হর্ন ইত্যাদি। ‌ এগুলো যদি চেক না করে আপনি বাইক রাইড করেন তাহলে রাস্তায় যে কোন মুহূর্তে সমস্যায় পড়ে যেতে পারেন। বিশেষ করে তেলের পরিমাণটা ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে। কারণ চলার পথে যদি তেল শেষ হয় সে ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলায় পড়ে যেতে হয়। ‌ ‌তাই আগে থেকেই সকল যন্ত্রাংশ পরীক্ষা নিরীক্ষন করে নিতে হবে।

গতি নিয়ন্ত্রণ
মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম এর মধ্যে একটি হচ্ছে গতি নিয়ন্ত্রণ। আপনি যেখানেই চালান না কেন সেই অঞ্চলের পরিস্থিতি এবং আইন অনুসারে মোটরসাইকেল চালাতে হবে। ‌যেমন পাহাড়ে বাইক চালানোর নিয়ম এক রকম এবং মহাসড়ককে বাইক চালানোর আরেক নিয়ম। এখানে নিয়ম বলতে পদ্ধতিকে বোঝানো হয়েছে। ‌পাহাড়ি অঞ্চল সাধারণত আঁকাবাঁকা এবং উঁচু-নিচু হয়ে থাকে। দ্রুত গতিতে চালানো হলে তাহলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এ সকল অঞ্চলে গতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। আবার মহাসড়ককে বেশি গতিতে রাইড করতে পারবেন। তবে খেয়াল করতে হবে যাতে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা না ঘটে। এক্ষেত্রেও গতি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

জ্যামে বাইক চালানোর নিয়ম

আমাদের দেশের শহরাঞ্চলের একটি কমন সমস্যা হচ্ছে জ্যাম। সেখানে বাইক নিয়েও অনেক সময় আটকে যেতে হয়।‌ অনেকেই এই ঝামেলায় এড়িয়ে যেতে ফুটপাতের উপর দিয়ে গাড়ি উঠিয়ে দেয়। ‌একটি মারাত্মক ধরনের অপরাধ এটি। এই ভুলটি কখনো করবেন না। ‌ আবার অনেকে ছোট গ্যাপ পেলে, যাওয়ার চেষ্টা করেন। ‌ এটিও করা যাবে না। কারণ কোন জরুরী সেবার গাড়ি আসলে সেটি যাওয়ার জন্য জায়গা করে দেওয়ার দরকার হয়। সাধারণ পথচারীর জন্য জায়গা রাখা উচিত। ‌একটু ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে যাবেন। ‌দুর্ঘটনার ঝুঁকে কমে যাবে তাহলে। মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম এর মধ্যে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ‌

ব্রিজ এবং স্পিডব্রেকার লক্ষ্য করুন
যখন আমরা যেকোনো রাস্তায় চলে না কেন সেখানে ব্রিজ এবং স্পিড ব্রেকার থাকে। অনেক সময় ব্রিজ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে রাতে যখন চলাচল করবেন ব্রিজের উপরে গতি কমিয়ে নিবেন। ‌ব্রীজে কোন ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে দেখতে পারবেন এবং নিরাপদভাবে পার হয়ে যেতে পারবেন। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা স্বীকার হতে হবে। ‌স্পিড ব্রেকারের ক্ষেত্রেও এটি‌ নজরদারি করতে হবে। কারণ এটি দিয়ে থাকে সাধারণত ‌ ঘনবসতি জায়গায় এবং স্কুল-কলেজের সামনে। ‌ যাতে করে এখানে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য গাড়ি ধীরগতি হয় এবং বাচ্চারা নিরাপদে পার হতে পারে। ‌

আবহাওয়া পরিস্থিতি লক্ষ্য করুন
মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে আবহাওয়া পরিস্থিতির লক্ষ্য করা অত্যন্ত জরুরী। কারণ অতিরিক্ত রোদের মধ্যে বাইক চালানো অনেকটা কষ্টকর। এজন্য হেলমেটসহ সানগ্লাস ব্যবহার করা উত্তম‌। বৃষ্টির দিনেও প্রচুর ঝামেলা পড়াতে হয়। যদি আপনি মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম ভালোভাবে না জানেন তাহলে এ সময় মোটরবাইক না চালানো নয় উত্তম। যারা অভিজ্ঞ সম্পূর্ণ তারাই কেবল নিরাপদভাবে চালাতে সক্ষম। ‌ তাই যাদের অভিজ্ঞতা নেই তারা একটু সময় নিয়ে বৃষ্টি থামার পর চালিয়ে যাবেন। ‌ মনে হয় ঝড় তাহলে অবশ্যই গাড়ি থেকে নেমে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

প্রযুক্তির ব্যবহার
বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি সারা বিশ্বের ছড়িয়ে গেছে। মোটর বাইক চালানো কে আরো সুন্দর এবং ইউনিক করতে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন। যেমন আধুনিক ধরনের লক, ব্রেকিং পদ্ধতি, অটো স্টার্ট ইত্যাদি।

কথা বলা এবং হেডফোন এড়িয়ে যাওয়া
অনেকেই আছে কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে কিংবা মোবাইলে কথা বলতে বলতে মোটরসাইকেল চালিয়ে থাকে। বেশিরভাগ দুর্ঘটনা হয় এই ধরনের সমস্যার কারণে। পিছন থেকে সিগন্যাল কিংবা হর্ন দেওয়া হলে অনেকে শুনতে পারে না। দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় বেশিরভাগ মোটর বাইকাররা

বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম এর যে নতুন পরিবর্তন এসেছে তা এখন পর্যন্ত কার্যকর করা হয়নি। ‌তবে খুব শীঘ্রই এই আইন কার্যকর করা হবে। এছাড়াও আপনাদের প্রশ্নোত্তরগুলো নিচে দেওয়া হল। ‌

মোটরসাইকেল চালাতে কি কি কাগজ লাগে?

ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইনস্যুরেন্স, গাড়ির সকল কাগজপত্র ইত্যাদি।

দ্রুত মোটরসাইকেল চালানো শিখবো কিভাবে?

নিকটবর্তী যেকোন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে শিখে নিবেন। ‌ তাহলে দ্রুত শিখতে পারবেন। সবচেয়ে ভালো হয় কোন ড্রাইভিং প্রতিষ্ঠান থেকে যদি শিখতে পারেন। ‌

মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম নতুন আইন কবে থেকে কার্যকরী হবে?

সরকারিভাবে এখনো কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই এ আইন বাস্তবায়ন করা হবে ‌

Jahid Hasan

I am a content writer. I love writing on different topics, in here I am writing Educational guidelines and degree and honours info. I have completed my graduation in electrical engineering. if you love my content please share and support.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button