আসসালামু আলাইকুম প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আপনাদের জন্য আজকের আর্টিকেলে রয়েছে কুরবানী কার উপর ওয়াজিব এবং কার উপর ফরজ এ বিষয় সম্পর্কে। খুব শীঘ্রই আসছে ঈদুল আযহা অর্থাৎ কুরবানীর ঈদ। এ বিষয় সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে যে কুরবানী কার কার দেওয়া উচিত।
মুসলমানদের জন্য অন্যতম একটি ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদ। আরবি বছরগুলোতে প্রতিবছর দুইবার ঈদ পালন করা হয়। একটি হচ্ছে ঈদুল আযহা এবং অপরটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর। ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ১০ জিলহজ। এই সময় হজ পালন করতে হয় এবং কুরবানী করতে হয়। যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা অবশ্যই এই সময় কুরবানী করবেন। আজকে আমাদের আর্টিকেলে জানবেন কুরবানী কাদের দেওয়া উচিত এবং কেন দিবেন এ বিষয় সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্যগুলো। চলুন তাহলে দেখে নেই আজকের আর্টিকেলের সকল আলোচনার মূল বিষয় সম্পর্কে।
কুরবানী কার উপর ওয়াজিব এবং কার উপর ফরজ
কুরবানী ওয়াজিব নাকি সুন্নত এটা নিয়ে বেশ মতবাদ রয়েছে। কিছু ওলামায়ে কেরাম বলেছেন কুরবানী হচ্ছে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। আবার কিছু ওলামায়ে কেরাম বলেছেন কুরবানী ওয়াজিব। তবে যাই হোক কুরবানী আমাদের অবশ্যই আদায় করতে হবে যদি তার সামর্থ্য থাকে। এ বিষয় নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বের পড়ে যায় এবং দ্বিমতের সৃষ্টি হয়। তবে যাই হোক কুরবানী কার উপর ফরজ হয়েছে সে বিষয়টি জানতে হবে সবার প্রথমে। কেননা ইসলামের প্রতিটি নিয়ম কানুন মানার ক্ষেত্রে প্রচন্ড নির্দেশনা হয়েছে। ইসলাম যেমনটা সহনশীল তেমনভাবে কঠিন। অর্থাৎ ইবাদতের ক্ষেত্রে এটি বেশ কঠিন বান্দার উপর।
কুরবানী কার উপর ফরজ, কুরবানী ঈদ ২০২৩ নিয়ে সকল তথ্য
বেশ কয়েকটি হাদিসে রয়েছে “কুরবানী ঐ ব্যক্তির উপর ফরজ যার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে।” যার যাবতীয় পাওনা পরিশোধ থাকবে এবং বর্তমান সময় চলার মত সামর্থ্য চালিয়ে যাওয়ার পরও কুরবানী দেওয়ার মত সামর্থ্য থাকবে তাকে কুরবানী করতে হবে। এরকম অসংখ্য রেফারেন্স পাওয়া গেছে এই কুরবানী করার ব্যাপারে।
- আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাম বলেছেন ” যে ব্যক্তির সামর্থ্য থাকা অবস্থায়ও কোরবানি করেনি সে যেন ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়” তাহলে বুঝতে আল্লাহর রাসূল এই কুরবানীর প্রতি কতটা জোরদার করেছেন তার উম্মতদের জন্য।
- আবার অন্য এক হাদীসে মুহাম্মদ (সা) বলেছেন, ” প্রতিটি পরিবারের পক্ষ হতে প্রতিবছর একটি করে কুরবানী করা ওয়াজিব” মুসনাদে আহমদ (২০২০৭ )।
কুরবানী কার উপর ওয়াজিব এবং কার উপর ফরজ তা নির্ভর করে না নারী বা পুরুষের উপর ভিত্তি করে। মূলত এটি নির্ভর করে তার সামর্থ্য আছে কিনা সে বিষয়টির উপর। যাদের কেবল সামর্থ্য রয়েছে তারাই কেবল কুরবানী করবে এবং তাদের ওপর ফরজ করা হয়েছে।
কুরবানী কেন হয়?
অনেকের প্রশ্ন হয়ে থাকে অথবা অনেকে আছে যারা জানেনা তাদের জন্য এখন হচ্ছে কুরবানী কেন করতে হয় সে বিষয় সম্পর্কে। আসলে কুরবানী করতে হয় মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য। কুরবানী মানে শুধু ভোগ করা নয় মূলত হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জনের ক্ষেত্রে এই ইবাদত। এজন্যই আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানিয়েছি কুরবানী কার উপর ওয়াজিব এবং কার উপর ফরজ এ বিষয় সম্পর্কে।
কুরবানী কত প্রকার
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে কুরবানী কত প্রকার এ বিষয়টি সম্পর্কে। মূলত কুরবানী কত প্রকার এটি নয় কুরবানী পশু পদ্ধতির সম্পর্কে। অর্থাৎ আপনি ছয় প্রকারের পশু কুরবানী করতে পারেন। আর এই প্রশ্নগুলো অবশ্যই হালাল হতে হবে। যেমন গরু, ছাগল, উট, দুম্বা ইত্যাদি।
কোরবানি কার নামে করা হয়?
কুরবানী একমাত্র আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে। এখানে অনেক সময় দেখা যায় ব্যক্তিগত নামে আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে কুরবানী করে থাকে অনেকে। তবে যাই হোক উদ্দেশ্য থাকতে হবে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।
মহান আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্য ব্যতীত কোন কুরবানী তার নিকট কবুল হবে না। ব্যক্তিকে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ট অর্জনের ক্ষেত্রে কোরবানির পশু কিনতে হবে। এক্ষেত্রে বেশ নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। আর আমাদের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে প্রকাশিত করা হয়েছে কোরবানি করার ফজিলত এবং মাসালা সম্পর্কে বিভিন্ন আমল করার নিয়ম। সেগুলো আর্টিকেলের নিচে থেকে দেখে নিবেন।
আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারলেন কুরবানী কার উপর ওয়াজিব এবং কার উপর ফরজ এ বিষয় সম্পর্কে। কুরবানী সম্পর্কে এবং ঈদ সম্পর্কে আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং হাদিস জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট অর্থবছর ২০২৩-২৪ | Budget 2023-24 Bangladesh