Foodpanda, ফুডপান্ডা সম্পর্কে বিস্তারিত: আপনি খুব ব্যস্ত। চারদিকে শুধু শুধু কাজ আর কাজ। হাতে একেবারে সময় নেই। আপনার ভীষণ ক্ষুধা লেগেছে। রান্না করবার যেমন সময় নেই, তেমনি বাহিরে যেতেও মন চাচ্ছে না। এদিকে ক্ষুধায় মাথা ভরে আসছে। সময় নেই বলে কি আপনি না খেয়ে ক্ষিদে নিয়ে বসে থাকবেন। ক্ষুধা নিয়ে কি বসে থাকা যায়? অবশ্যই না।
আপনাকে ক্ষুধা নিয়ে বসেও থাকতে হবে না। আপনি ঘরে বসেই খবার পাবেন। এখন হয়ত আপনি ভাবছেন, উন্নত কোনো দেশে বসবাস করছেন। না, আপনি বাংলাদেশেই বসবাস করছেন। বাংলাদেশেও এখন ফুড হোম সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
আপনি যেকোনো পান্ত থেকে ফুড অর্ডার করতে পারবেন। আপনাকে হোম ডেলিবারি দেওয়া হবে। বাংলাদেশে আরো ফুড সার্ভিস আছে, তবে ফুডপান্ডা সেরা স্হান দখল করে আছে।
আজ আমরা ফুড পান্ডার আদ্যোপান্ত নিয়ে আলোচানা করব।
ফুডপান্ডা কী What’s Foodpanda????
ফুডপান্ডা (Foodpanda) হলো একটি খাবার সংক্রান্ত অনলাইন সাইট। যেখানে অনলাইনে খাবার অর্ডার করা হয়। অর্ডরকৃত পণ্য হোম ডেলিভারি দেওয়া হয় অতি দ্রুত।
ফুডপান্ডার (Foodpanda) মালিকানা।
“The Foodpanda Group”- ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে। যারা এর পিছনে ছিলেন
- রালফ ওয়েনজেল।
- বেন বাউয়ের।
- ফেলিক্স প্লগ।
- রোহিত চাড্ডার।
জার্মানির বার্লিন থেকে ফুডপান্ডার যাত্রা শুরু হয়। কর্যক্রম শুরু করার পর সংস্হাটিকে বেশ বেগ পোহাতে হয় নি। কিছু দিনে মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি সিঙ্গাপুরে Foodpanda service শুরু করে। পরবর্তীতে Foodpanda তাদের কার্যক্রম বিস্তার করতে থাকে। ফলে বর্তমানে বিশ্বের ১১টি দেশে ফুডপান্ডা সার্ভিস চলমান রয়েছে।
Foodpanda ফুডপান্ডার সদর দপ্তর।
ফুডপান্ডা জর্মান থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ফুডপান্ডার সদর দপ্তর জার্মানির বার্লিন শহরে অবস্থিত। আর ফুডপান্ডার বর্তমান মালিক “ডেলিভারি হিরো” নামক একটি পারসোনাল প্রতিষ্ঠান।
ফুডপান্ডা সার্ভিস বাংলাদেশ।
Foodpanda বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও রয়েছে। ফুডপান্ডা ২০১৩ সালে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম দিকে শুধুমাত্র ঢাকা শহরে তার সার্ভিস দিত। পরবর্তীতে তার তাদের কার্যক্রম বাড়াতে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ফুডপান্ডার সার্ভিস এবাইলেভল।
ফুডপান্ডা খাবার অর্ডার Foodpanda order??
ফুডপান্ডা থেকে খুব সহজে আপনি খবার অর্ডার করতে পারবেন। ফুডপান্ডা থেকে দুইভাবে আপনি খাবার অর্ডার করতে পারবেন।
- ফুডপান্ডা মোবাইল এপ থেকে।
- ফুডপান্ডা অফিশিয়াল পেইজ থেকে।
ফুডপান্ডা মোবাইল এপ দিয়ে খাবার অর্ডারের নিয়ম:
- প্রথমে আপনি ফুডপান্ডা এপ ডাউনলোড করতে হবে।
- গুগুল পে থেকে এপটি ডাউনলোড করতে পারেন।
- এবার এপটি ওপেন করে লগইন করুন।
- এবার ফুডপান্ডা একাউন্ট খুলুন।
- ই-মেইল সহ প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- মোবাইল নম্বর দিন। ভেরিফিকেশন কোড আসবে, তা পূরণ করুন।
- এখন অ্যাপে প্রবেশ করলেই আপনি খাবারের অনেক মেনু দেখতে পাবেন।
- সার্চ বক্স থেকেও আপনি মেনু খুঁজে নিতে পারবেন। সেখান থেকে আপনার পছন্দের খাবারটি সিলেক্ট করে দিন।
- আপনি চাইলে পছন্দের রেস্টুরেন্টের নাম সিলেক্ট করে দিতে পারবেন।
- এরপর আপনি যেই স্থানে অবস্থান করছেন তার ঠিকানা দিয়ে দিন।
- পেমেন্ট মেথড যুক্ত করে দিন।
- কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট দিতে পারবেন।অথবা ক্যাশ অন ডেলিভারি করতে পারবেন।
- এরপর অর্ডার কনফার্ম করে দিন।
- অর্ডার কনফার্ম হলে আপনি সেখানে সময় দেখতে পাবেন যে কত সময় পর অর্ডার আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
ফুডপান্ডা ওয়েবসাইট থেকে খাবার অর্ডার:
- প্রথমে ফুডপান্ডা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন।
- https://www.foodpanda.com.bd/।
- আপনার ঠিকানা দিন।
- রেস্টুরেন্টে বা খাবার সিলেক্ট করুন।
- পেমেন্ড করুন।
ফুডপান্ড Foodpanda ডেলিভারি ম্যান নিয়োগ।
অনেকে পার্ট জব খুজেন। পার্ট টাইম ডেলিভারির মধ্যে ফুডপান্ডা ডেলিভারি বয় বা ম্যান অন্যতম।।
ফুডপান্ডা ডেলিভারি ম্যানের যোগ্যতা।
Foodpanda ডেলিভারি বয় হিসাবে কাজ করার কিছু যোগ্যতা রয়েছে।
- ১৮ বছর বয়স হতে হবে।
- স্মার্ট ফোম থাকতে হবে।
- নিজস্ব বাইক বা সাইকেল থাকতে হবে।
- ইন্টারনেট থাকতে হবে জিপিএস থাকতে হবে।
Foodpanda ডেলিভারি বয় কাগজপত্র।
Foodpanda ডেলিভারি ম্যান হিসাবে নিয়োক্ত হতে যেসব কাগজপত্র লাগবে।
- NID card.
- পাসপোর্ট সাইজ ২ কপি ছবি।
- নমনির আইডি কার্ড কপি।
- বিদ্যূত বিল কপি।
ফুডপান্ডা রাইডার বেতন।
Foodpanda য় আপনি রাইডার সেল দুইভাবে করতে পারবেন।
- সাইকেল দিয়ে।
- মোটরসাইকেল দিয়ে।
সাইকেল দিয়ে কাজ করে আপনি আয় করতে পারবেন মাসে সর্বোচ্চ ১৫০০০ থেকে ২০০০০টাকা।
মোটরবাইকে কাজ করলে ২৫০০০টাকা পর্যন্ত। নিজের সাইকেল/মোটরবাইক না থাকলে কাজ করতে পারবেন ওয়াকার রাইডার হিসেবে।
ফুডপান্ডা রাইডারের সু্যোগ সুবিধা ।
- ফুডপান্ডায় আপনি ফুল টাইম।
- অথবা পার্ট টাইম কাজ করতে পারবেন।
- পারফর্মেন্স বোনাস।
- বন্ধুকে রেফার করলে বোনাস।
- নতুন জয়েন করলে বোনাস। ঈদ/রোজায় অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ।
- ইন্সুরেন্স সুযোগ।