বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়ম | Boyosko Vata abedon

প্রতিবেদনটিতে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়ম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় ইনফরমেশন গুলো দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ কিভাবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আবেদন করবেন, ছবি আপলোড করবেন, ‌ অনলাইন কপি সংরক্ষণের পর তারপর কি করতে হবে সকল তথ্যগুলো। চলুন এখন আমরা এই পদ্ধতি জানি।

Boyosko Vata abedon

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিবছর কিংবা নির্দিষ্ট সময় পর পর যাদের বয়স বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে যাদের বয়স ৬২ বছরের বেশি এবং পুরুষদের বয়স ৬৫ কিংবা তার থেকে বেশি তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্দিষ্ট অংকের টাকা পায়। আর এটি দেওয়া হয়ে থাকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন অসাধু ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকেন। কিন্তু এই ব্যবস্থাপনা থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। কেননা অনলাইনের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার মাধ্যমে সম্পন্ন ফিরতে করতে পারবেন। যদি নিচে না পারেন তাহলে যে কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে দেড়শ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে করতে পারবেন। এরপর সেই কাগজটি ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির স্বাক্ষর নিয়ে তারপর জমা দিতে হবে।

তবে আমরা এখন নিয়ম তুলে দিব যদি আপনার হাতে একটা মোবাইল থাকে তাহলে মোবাইল দিয়ে আপনারা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার ধাপ নিচে দিচ্ছে উল্লেখ করা হলো।

বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়ম

প্রথমত বিষয় হচ্ছে এখানে যদি আপনারা বয়স্ক ভাতা আবেদনের করতে চান তাহলে অবশ্যই নির্দিষ্ট বয়সের সময়ের মধ্যে থাকতে হবে। তবে যাই হোক কিভাবে আপনারা এই আবেদন করবেন তার ধাপগুলো দেওয়া হলো নিচ্ছে।

প্রথম ধাপ

আবেদন করার জন্য প্রথমে প্রবেশ করতে হবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। আপনারা সরাসরি চাইলে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন। প্রবেশ করার পর সেখানে প্রথমে দেখতে পারবেন ভাতা কার্যক্রম। এখান থেকে নির্বাচন করতে হবে বয়স্ক ভাতা আর তারপর সাবমিট করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ

এই ধাপে আবেদনকারীর যাচাই করতে হবে জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে। এজন্য সম্পূর্ণ নাম বাংলায় এবং ইংরেজি সহ জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম তারিখ দিতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে তিনি পুরুষ নাকি নারী। এরপর ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। যে সকল তথ্য সঠিক থাকে তাহলে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে।

তৃতীয় ধাপ

বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়মের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে এটি। এখানে নির্দিষ্ট সাইজের ছবি এবং স্বাক্ষর আপলোড করতে হবে প্রথমে। এরপর আবার পিতামাতার নাম বাংলায় এবং ইংরেজিতে , মোবাইল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম এবং অন্যান্য সকল তথ্যগুলো দিতে হবে। ফ্রম দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন এখানে কি কি বিষয় দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সকল তথ্য দিয়ে এবার সাবমিট করতে হবে।

চতুর্থ ধাপ

এরপর প্রাপ্ত ভাতার বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। যেমন স্থায়ী ঠিকানা, বার্ষিক আয়, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্যগুলো। তারপর আবার নিচের ধাপে যেতে হবে।

নিচের ধাপে দেখা যাবে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার অপশন। এখানে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট নম্বর দিতে হবে। সাধারণত নগদের মাধ্যমে এই পেমেন্ট করা হয়ে থাকে তাই আপনারা সবসময় চাইবেন যে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস এর মাধ্যমে টাকা নেওয়ার জন্য। সকল তথ্য সঠিকভাবে ব্যবহার করুন।

পঞ্চম ধাপ

এখানে অবশ্যই নমনী তথ্য দিতে হবে। এ তথ্যগুলো দেওয়ার পরে যোগ্যতার অন্যান্য তথ্যগুলো দিতে হবে। যেমন পরিবারের সদস্য সংখ্যা সহ আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো। সেখানে উল্লেখিত যাবতীয় সফল তথ্যগুলো দিতে হবে।

এখন সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়মের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এবং শেষ ধাপ। এখন সাবমিট করলেই আপনারা আপনাদের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। পরবর্তী ধাপে গিয়ে পিডিএফ ডাউনলোড করতে পারবেন।

এরপর এটি রঙিন প্রিন্ট আউট করে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে প্রয়োজনের সকল স্বাক্ষর নিতে হবে। সেখানে নিয়ে গেলে আপনাকে যাবতীয় প্রক্রিয়া বলে দেবে এবং তাদের কাছে জমা দিতে হবে। এ

Jahid Hasan

জাহিদ হাসান পেশায় একজন প্রফেশনাল রাইটার। তিনি স্কলার্সমী নিউজের সাথে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে তিনি এখানে, বিডি জবস এবং শিক্ষাঙ্গনের সব ধরনের নিউজ কাভার করে থাকেন, তিনি সকল নিউজ সততা যাচাই করে স্কলার্সমী নিউজে পাবলিশ করে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button