বাংলা ব্যাকরণ পদ: বাংলা ব্যাকরণের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পদ সকল শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য পদ জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম পদ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
বাংলা ব্যাকরণ পদ for Every Students:
পদের সংজ্ঞা:
অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি হলো শব্দ ,আর এই শব্দ যখন বিভক্তি যুক্ত হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে পদ বলে । যেমন, মাহির মাঠে ফুটবল খেলে।
পদের প্রকারভেদ:
পদ মোট পাঁচ প্রকার যেমন:
১: বিশেষ্য
২: বিশেষণ
৩: সর্বনাম
৪: অব্যয় এবং
৫: ক্রিয়া
বিশেষ্য:
যে পদ দ্বারা কোন ব্যাক্তি,বস্তু ,প্রানী ,পদার্থ ,স্থান ,কাল,জাতি , সমষ্টি ইত্যাদি বুঝানো হয়ে থাকে তাকে বিশেষ্য পদ বলা হয়।
কয়েকটি বিশেষ্য পদ হলো ,: গম ,ফুল,চা,মাটি ,সততা ইত্যাদি।
বিশেষ্য পদকে আবার ছয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা,:
- নামবাচক বিশেষ্য।
- জাতিবাচক বিশেষ্য।
- বস্তু বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য।
- সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।
- ভাববাচক বিশেষ্য।
- গুনবাচক বিশেষ্য।
নামবাচক বিশেষ্য:
বিশেষ্য পদ দ্বারা যখন একটি মাত্র বিশিষ্ট ব্যক্তি বস্তু ,নদী ,নগর ,শহর গ্ৰহ্ন ইত্যাদির নাম বোঝায় তখন তাকে নামবাচক বিশেষ্য বলে।
যেমন: রবীন্দ্রনাথ,ড, শহীদুল্লাহ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
খুলনা, বাগেরহাট,পদ্মা,মেঘনা ,আর কুরআন।
জাতিবাচক বিশেষ্য:
যে বিশেষ্য পদ দ্বারা একজাতীয় প্রাণী বা পদার্থের সাধারণ নাম নির্দেশ করে তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে । যেমন; মানুষ ,ফুল ফল ইত্যাদি।
বস্তুবাচক বিশেষ্য:
যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো বস্তূর নাম বোঝায় তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে।যেমন: ইট ,কাট ,মাটি ইত্যাদি।
সমষ্টিবাচক বিশেষ্য:
একজাতীয় ব্যক্তি , বস্তু বা প্রানীর সমষ্টিকে একটি মাত্র পদার্থ বিবেচনা করলে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য পদ বলে। যেমন: উৎসব , মাহফিল,জনতা ,সমাজ ইত্যাদি।
ভাববাচক বিশেষ্য:
যে বিশেষ্য পদের দ্বারা কোনো ক্রিয়া বা কাজের ভাব বোঝায় তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে তেমন: ভোজন,ঘুমান,দেখা ,শক্রুতা ইত্যাদি।
গুনবাচক বিশেষ্য:
যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো ব্যাক্তি বা বস্তুর দোষ গুন ইত্যাদির নাম বোঝায় তাই গুনবাচক বিশেষ্য যেমন- সৌরভ , মহিমা ,সুখ ইত্যাদি।
বাংলা ব্যাকরণ বিশেষণ:
বিশেষনের সংজ্ঞা:
যে পদ বিশেষ্য ,সর্বনাম ও ক্রিয়া পদের দোষ ,গুন, সংখ্যা পরিমান ,অবস্থা ইত্যাদি প্রকাশ করে ,তাকে বিশেষণ পদ বলে । যেমন – ভালো ছেলে ,ভদ্র মহিলা ইত্যাদি।
বিশেষন পদকে আবার দুভাগে ভাগ করা যায় যেমন:
- নাম বিশেষণ।
- ভাব বিশেষণ।
নাম বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের গুন দোষ বা অবস্থা প্রকাশ করে তাকে বিশেষণ বলে যেমন: খোলা আকাশ ,কালো মেঘ।
ভাব বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য বা সর্বনাম ভিন্ন অন্য পদকে বিশেষিত করে তাকে ভাব বিশেষণ বলে।।
ভাব বিশেষনকে আবার তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা:
- ক্রিয়া বিশেষণ।
- বিশেষণের বিশেষন।
- অব্যয়ের বিশেষণ।
সর্বনাম:
যে পদ বিশেষ্য পদের পরিবর্তে বসে বিশেষ্যের অর্থ প্রকাশ করে তাকে সর্বনাম বলে।
যেমন: কামাল খুব ভালো ছেলে।
- মাহির খুব ভালো ছেলে
- সে মধ দিয়ে লেখা পড়া করে
- তাই শিক্ষক গন তাকে খুব ভালোবাসেন।
অব্যয় :
যে পদের কোনো অবস্থাতেই কোনো পরিবর্তন হয়নি তাকে অব্যয় পদ বলে ।ন- ব্যয় অব্যয় এখানে ব্যয় অর্থ পরিবর্তন। অব্যয় পদ সর্ব অবস্থাতেই অপরিবর্তিত থাকে ।উৎস অনুসারে অব্যয় পদগুলোকে তিনভাগে ভাগ করা হয়;
- খাঁটি বাংলা: হ্যা,না,ইস,ও,ওরে ,আহা,আবার ইত্যাদি।
- তৎসম : অতএব, এবং,সাহসা, বরং, ইত্যাদি।
Also Read: শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি ব্যাকরন অংশ সিলেবাস
বাংলা ব্যাকরণ এর পদ সম্পর্কে যাবতীয় বিষয়
ক্রিয়াপদ :
যে পদ দ্বারা কোন কাজ সম্পাদন করা বুঝায় যেমন যে পদ দ্বারা করা ,খাওয়া যাওয়া ইত্যাদি বুঝায় তাকে ক্রিয়াপদ বলে যেমন: পড়ি,করি ইত্যাদি।
ক্রিয়াপদ দুভাগে ভাগ করা হয়েছে:
- যথা: সমাপিকা ক্রিয়া।
- অসামাপিকা ক্রিয়া।
সমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়াপদ বাক্যের অর্থ সম্পূর্ন রূপে প্রকাশ করে তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে ।যেমন: আমি ভাত খেয়েছি।এখানে খেয়েছি সমাপিকা ক্রিয়া।
অসামাপিকা ক্রিয়া :
যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ন রূপে প্রকাশ পায়না বক্তার কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায় তাকে অঅসমাপিকা ক্রিয়া বলে।যেমন- তুমি আসলে ,সে থামলে ইত্যাদি এখানে আসলে থামলে দ্বারা বক্রতার অর্থ সম্পূর্ন রূপে প্রকাশ পায়না ।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমি আপনাদের জন্য ব্যাকরনের প্রতিটি বিষয় শেয়ার করবো এবং আমাদের ব্লগে সকল শ্রেনীর paragraph ও এসএসসি এইচএসসির পরীক্ষার্থীদের জন্য সকল বিষয়ের সাজেশন শেয়ার করা হয়েছে আপনারা চাইলে শেয়ার করতে পারবেন।