বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন যেসব কাজ পরিচালনা করে

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন দেশের সাংবিধানিক নির্বাচন কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। যুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলায় ৭ জুলাই ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয়। যার প্রধান কার্যালয় আগাঁরগাও, ঢাকা। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।সাধারনত নির্বাচন কমিশন প্রধান কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ১১৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন স্থাপিত হয়।আর ১১৯ নং অনুচ্ছেদে রয়েছে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন দায়িত্ব ও কর্মপরিধি নিয়ে নির্দেশনা।নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ,জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান,নির্বাচনি এলাকা নির্ধারন সহ আরও বেশ কিছু কাজ করে থাকে।

নির্বাচন কমিশন প্রধানত দেশের যেকোনো নির্বাচন ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পারেশন, উপজেলা,জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর যাবতীয় কাজ সুষ্ঠু ন্যায়ভাবে পরিচালনা, ও পরিচালনার যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহন করে থাকে৷এছাড়া তদারকি সহ, নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সকল দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন৷ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন স্বাধীন।

নির্বাচন কমিশন ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অধীনে ৫ সদস্যের একটি দল কাজ করে থাকে। ৪ জন নির্বাচন কমিশনার, যার মাঝে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং একজন সচিব থাকেন।নির্বাচন কমিশনার কে সি এস ই ও বলা হয়ে থাকে। সি এস ই এর মেয়াদ সাধারনত পাঁচ বছর হয়ে থাকে। রাস্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার সকলেই হবেন স্বনন্ত্র, প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মকান্ডে তারা নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন না।২০১৭ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ছাড়াও ১৯৭৭ সাল থেকে ১১ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনারে দায়িত্বপালন করে থাকেন।বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়াও তিনি সাবেক সচিব।এছাড়াও তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কর্মকর্তা, ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব।১৯৪৮ সালে বাউফল উপজেলা, পটুয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন

নির্বাচন কমিশনের প্রধান অফিস আগারগাঁও। নির্বাচন কমিশনের সচিব সাধারণত সরকারের সচিব। নির্বাচন কমিশনের আরও ৬ টি দপ্তরে ও আরও ৩ জেলায় মোট ৯ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা থেকে থাকেন। এছাড়া ৬৪ জেলা শহরে জেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা রয়েছেন।

বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে নির্বাচনী প্রশিক্ষন ইন্সটিটিউট স্থাপিত হয়। বাংলাদেশ সরকার ছাড়াও এশিয়া ফাউন্ডেশন, নোরাড এর উদ্যোগে ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হয় এটি।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নতুন ভোটার সংযোজন, তথ্য হালনাগাদ করার ক্ষেত্রে। প্রতিনিয়ত নতুন ভোটার রেজিষ্ট্রেশন করানো, তথ্য ইনপুট করানো সার্ভারে, এরপর নিবন্ধন সম্পন্ন করে প্রত্যেককে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও নির্দিস্ট এলাকায় ভোটার কয়জন তার হালনাগাদ করা, নির্বাচনী এলাকা নির্ধারন।

জাতীয় পরিচয়পত্র ভুল হলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে যার মাধ্যমে তা সংশোধন করাল জন্য আবেদন করে তা সংশোধন আমা সম্ভব হয়।নির্বাচন কমিশন বর্তমানে স্মার্ট কার্ড বিতরন করছে৷ এরফলে নাগরিকের সব তথ্য একটি চিপের মাধ্যমে সংরক্ষিত হবে।

 

 

মাহফুজুর রহমান

মাহফুজুর রহমান হলেন স্কলার্সমীর প্রতিষ্ঠাতা, তিনি প্রফেশনালি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং SEO (Search Engine Optimization) বিষয়ে কাজ করেন, SEO Friendly নিউজ এবং ব্লগ পোস্টে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কাজ করে আসতেছে। যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য কন্টাক্ট করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button