ভাইরাল মিজানের হোটেল গরুর মাংস

বর্তমান সময়ে বেশ আলোচিত হয়েছে মিজানের ভাতের হোটেল। কারণ ১০০ টাকায় গরুর মাংস দিয়ে ভাত আবার অনেকে বলে থাকে ১০০ টাকায় গরীবের বুফে। যার কারণে প্রচুর আলোচনায় এসেছে তারা এই হোটেলটি। তুমি কি প্রচুর মানুষ এখানে খাবার খাচ্ছে। এই ভাইরাল খাবার বিষয় নিয়ে আপনাদেরকে জানাবো।
মিজানের ভাতের হোটেল কোথায়
আপনারা যারা মিজানের হোটেলে যেতে চান কিংবা যেতে আগ্রহী। তারা আগারগাঁও যাবেন সেখানেই যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলে কিংবা রিক্সাওয়ালাকে বললেই হবে মিজানের হোটেলে যাব। তাহলে আপনাকে নিয়ে যাবে তার হোটেলে। উনার হোটেল রাস্তার একদম সাথেই। ফুটপাতে তার এই হোটেল। অনেকেই গরিবের বুফে বলে থাকে যার কারণে আপনারা এই নামটিও বলতে পারেন। তাহলে চিনতে পারবে সবাই।
আপনি যদি ফেসবুক কিংবা ইউটিউব দেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই একবার হলেও মিজানের হোটেলের নাম শুনেছেন কিংবা তার ভিডিও সামনে চলে এসেছে। কারণ ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায় এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে আর বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। আমরা আজকের এই প্রতিবেদনে এই ভোটের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করব এবং এর মধ্যে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা সম্পর্কেও আলোচনা করব।
ভাইরাল মিজানের হোটেল গরুর মাংস
মূলত মিজান নামের এক ব্যক্তি রাস্তার পাশে একটি হোটেল দিয়েছেন। সেখানে এক টুকরো গোস্ত এবং কয়েক টুকরো আলু ঝোলসহ আনলিমিটেড বাদ দিয়ে বুফে তৈরি করেন তিনি। মূলত যারা দিনমজুর, রিকশাচালক এবং গরিব তাদের জন্য এই খাবার তৈরি করা হয়েছে। যাতে করে ১০০ টাকা দিয়ে গরুর মাংস দিয়ে পেট ভরে ভাত খেতে পারে। কিন্তু এ বিষয়টি বর্তমান সময়ে এতটা ভাইরাল হয়ে যায় যে প্রতিদিন তার কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে যায়। প্রচুর মানুষ এখানে খেতে আসে।
সমাজের গরিব থেকে ধনী পর্যন্ত সবাই এখানে খাওয়ার জন্য যাচ্ছে এখন। অনেকেই ভিডিও তৈরি করার জন্য যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে অনেকে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতেছে। যেমন অনেকেই গিয়ে অভিযোগ করতেছে যে 100 টাকার ভিতরের মধ্যে ৬০ টাকা ধরা হচ্ছে এক টুকরো মাংসের দাম। এটি অনেকের কাছে বেশি এবং কোয়ালিটি ভালো না এমনটা দাবি করছে। আবার অনেকেই দাবি করছে যে ভাতের মান ভালো না। অন্যদিকে এ বিষয়ে নেটিজেনরা বলছে যে এটি হচ্ছে তাদের জন্য যারা শ্রমিক এবং দিনমজুর। তাদের জন্য সরকারি পরিমাণ অতটুকু এবং আনলিমিটেড ভাব যথেষ্ট। উচ্চবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এ খাবার নয়। কিন্তু তারাই বেশি গিয়ে ভিড় জমাচ্ছে এবং খাচ্ছে। আর একসঙ্গে এতজনের খাবারের আয়োজন করতে গিয়েও খাবারের মানে তারতম হবে এটা স্বাভাবিক।
এই ভাইরাল মিজানের হোটেল নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হলেও প্রচুর মানুষ এখানে খাচ্ছেন। তিনি জীবননাশের হুমকি পর্যন্ত পেয়েছেন। এখন সকল বিষয় বিবেচনা করে প্রশাসনের নিকট তিনি সাহায্য চেয়েছেন। আরো অনেকেই তার এ বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।