জন্ম নিবন্ধন ব্যতীতই টাইফয়েডের টিকা দেওয়া যাবে

শুরু হয়ে গিয়েছে জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই টাইফয়েডের টিকা দেওয়ার কার্যকর্ম। যা চলমান থাকবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ৯ মাস থেকে পনের বছর পর্যন্ত সকল শিশু এই টিকা গ্রহণ করতে পারবে। তবে এ বিষয়ের উপরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ থেকে নয় মাস থেকে ১৫ বছরের সকল শিশুদের টাইফয়েডের টিকা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। শিশু বয়সে সাধারণত তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে এবং নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে টাইফয়েড জনিত সমস্যা। যার কারণে পূর্ববর্তী সময় গুলোতে দেখা গিয়েছে অনেক শিশু মারা যেত।
শিশুদের সুরক্ষা এবং সুস্থ রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে এই টিকে প্রদানের ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। যার নির্দিষ্ট সময়ে পর্যন্ত দিতে পারে নির্দিষ্ট নিয়মে। বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে এই টিকা পূরণ করতে পারবেন। তবে প্রয়োজন হয় জন্ম নিবন্ধনের। জন্ম নিবন্ধন ছাড়া টিকাকার রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হতো না যার কারণে অনেকেই এই টিকা দিতে পারত না।
বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময় এই ধরনের সমস্যা হতো। যার কারণে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে যেতো। তাই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে নতুন করে। যা আগামী দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চলমান থাকবে।
জন্ম নিবন্ধন ব্যতীতই টাইফয়েডের টিকা দেওয়া যাবে
ডিএনসি থেকে জানিয়েছেন যে ২০২৫ সালের ১২ই অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই যারা যারা টিকা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে তারা অবশ্যই দিবেন। বিশেষ করে ছোট শিশুদের এই টিকা দেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
সকলের জন্য উন্মুক্তভাবে এই টিকা প্রদান করতে পারে তাই জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে এখন। তবে অনেকে রেজিস্ট্রেশন করেও এই টিকা দিতে পারবেন। তবে যারা জন্ম নিবন্ধন যে এই রেজিস্ট্রেশন করবে তাদের দেওয়া হবে হলুদ রঙের কাজ। আর যারা জন্ম নিবন্ধন ছাড়া টিকে কার্ড সংগ্রহ করবে তাদের দেওয়া হবে সবুজ রঙের কাজ।
এই দুটি রং দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে আলাদা আলাদা করে। যাতে করে পরে অতি দ্রুত এই জন্ম নিবন্ধন করে ফেলেন তারা। তবে যাই হোক আপনাদের যাদের ছোট শিশু সন্তান রয়েছে যদি তাদের ঠিকানা দিয়ে থাকেন। অবশ্যই তাদের যথাসময়ে টিকা দিবেন নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে।
এছাড়াও ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি সেন্টার থেকে এই ধরনের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে সবাই সুনিশ্চিত ভাবে জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই টাইফয়েডের টিকা গ্রহণ করতে পারে।