হায়রে দুনিয়া কি জন্য এত আয়োজন কি জন্য এত নিষ্ঠুরতা। ভাত খাওয়ার পর জীবন দিতে হয়েছিল তোফাজ্জলকে। বলা বাহুল্য যে পাপকে নয় পাপিকে এখন বেশি ঘৃনা কর। কতটা নিষ্ঠুর হলে এই সমাজ এই দৃশ্য দেখে কতটা নির্মম নির্দয় হলে এভাবে একটা জীবন দিতে হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জাতি গড়ার কারিগর আর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যদি এমন একটি খবর বের হয় তা কতটা দুংখের।
তোফাজ্জল ছিল এক অসহায় এক এতিম মানুষ। এতিমদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে স্বয়ং আল্লাহ খুশি হন। আর আজ এই এতিম নাকি মরতে হলো অনেক কষ্ট সহ্য করে। আমাদের সমাজকে আরো সংস্কার করতে হবে আরো আগাছা কেটে ফেলতে হবে যাতে একটা প্রান যেন এমন ভাবে মরতে না হয়। তোফাজ্জল এর বাবা মা মারা যাওয়ার পর তার একমাত্র ভরসা ছিল একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিল তার বড় ভাই তিনি ছিলেন পুলিশের এসআই কিন্তু দুঃখের বিষয় দু বছর আগে তার সেই ভাই ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন অসহায় হয়ে পড়লেন তোফাজ্জল একমাত্র ভাইকে হারিয়ে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এমনকি জানা যায় তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায় এমনকি ক্ষুধা লাগলে যেখানে সেখানের খাবার ও খেতে দ্বিধা করে নি তাই তো জীবনের শেষ খাবার খেয়ে মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দেন।
এই দুনিয়া কতটা নিষ্ঠুর হলে এমন করে কেননা একটি বার ভেবে দেখুন এই তোফাজ্জল যদি তোমার ভাই হতো বন্ধু হতো আত্মীয় হতো তাহলে তোমরা কা এভাবে তাকে মারতে ভাত যদি খাওয়ালে তাহলে মারলে কেন রে ভাই তোমাদের মতো একটি ভাইযরে। এই সমাজ এই বাংলাদেশের সংস্কার কি দরকার এই প্রশ্ন জাতির কাছে থাকা।
এমন যদি হতো আমার দেশের শাসক যদি ওমরের ই মতো হতো আবুবকর এর মতো হতো।
সবশেষে মহান আল্লাহর কাছে একটাই কামনা করি আর যেন আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে এরকম কোন ভাইয়ের ভাত খাওয়া টা যেন শেষ খাওয়া না হয়। আল্লাহ যেন সবাইকে আমাদের হেদায়েত দান করেন।