এবার আসিফ মাহতাবকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। কি কারনে তাকে ডিবি পরিচয় তুলে নেয়া হলো এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে বিষয় সম্পর্কে জানব। চলুন তাহলে এখন আমরা দেখে নেই তার এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো।
প্রথমে আমরা জেনে নেব এই আসিফ মহতাব কে। মূলত তিনি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ছিলেন। তবে আলোচনায় এসেছেন ট্রান্স জেন্ডার এর বিষয় নিয়ে এবং অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নিয়ে। বছরের শুরুতে তার এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক। একটি পাঠ্যপুস্তক বইয়ের যেখানে ছিল শরীফ শরীফের নামের একটি গল্প। অর্থাৎ শরীর থেকে শরিফা হওয়ার গল্পটি নেই তিনি আলোচনায় এসেছেন সবার আগে। মূলত তিনি ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং ট্রান্স জেন্ডার বিষয়টি তুলে। যাতে করে সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে সতর্ক হোন এবং শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব না পড়ে। আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ব্র্যাক কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং তা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ আমজনতা। এর মাধ্যমে তিনি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন এবং তার এই বিষয়ে ব্যাপক আলোচিত হয়।
আসিফ মাহতাবকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
সেই সময় বেশ প্রশংসা করিয়াছিল এই শিক্ষক। তাকে নিয়ে পাল্টা অভিযোগ তোলা হলেও পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের বিরূপ প্রভাব পাওয়া যায়নি। বরঞ্চ সকলের কাছে তিনি বেশ সম্মানিত হয়েছিলেন এবং সমর্থন পেয়েছিলেন। এই ব্যাপারে প্রশাসনা কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। সকল কিছু স্বাভাবিকভাবে চলমান ছিল।
কিন্তু গতকাল হঠাৎ করেই তাকে উত্তরার বাসা থেকে ডিবি পরিচয় তুলে নিয়েছে। আর সেই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সহ ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায় চারিদিকে। বর্তমান সময়ের চলছে কোটা সংস্করণ আন্দোলন। আন্দোলন অনেকটা নিভে গেছে বললেই চলে। কিন্তু হঠাৎ করে এমন গ্রেপ্তার হওয়াটা বেশ অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে। তবে বিভিন্ন তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে আসিফ মাহতাবকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ সত্যি। তাকে ডিবি তুলে নিয়ে গেছে এবং তারা জানিয়েছেন নিরাপত্তার স্বার্থে এবং তাদের হেফাজতের জন্যই নিয়ে রাখা হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে চিন্তা না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আপনারা এই বিষয়ের পরবর্তী আপডেটগুলো পেতে হলে আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং দেখে নিন আরো অন্যান্য সকল সর্বশেষ খবর গুলো।
আরো দেখুনঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে