প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: প্রিয় শিক্ষক কর্মচারী, শিক্ষার্থী আমি আজ আপনাদের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য উদ্দেশ্য বিষয় টি শেয়ার করলাম যা আমাদের সবার এর উপর গুরুত্ব দেয়া দরকার । শিক্ষা এমন একটি বিষয় যা অতি সহজেই যে অর্জন করা সম্ভব তা নয় ,সবাই শিক্ষা গ্ৰহন করতে পারে কিন্তু সত্যিকা রের যে অর্জিত শিক্ষা মনুষ্যত্ব অর্জন তা অতি সহজেই সম্ভব নয়।
প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য:
শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, নৈতিক,মানবিক, নান্দনিক,আধ্যাতিক,ও আবেগিক বিকাশ সাধন করা এবং তাদের দেশাত্মবোধ, বিজ্ঞানমনস্কতায় , সৃজনশীল ও উন্নত জীবনের স্বপ্নদর্দনে উদ্ধুদ্ধ করা। অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ই প্রথমে যেকোন শিশু কে তার শারীরিক বিবেচনা করতে হবে , কেননা শরীর সুস্থ তো মন সুস্থ আর মন সুস্থ তো তার শিক্ষা গ্ৰহন ও হবে সুস্থ । তাছাড়া সামাজিক , নৈতিক মূল্যবোধ ইত্যাদি ও প্রাথমিক শিক্ষার একটি বিশেষ লক্ষ্য।
প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য:
প্রাথমিক শিক্ষার কয়েকটি উদ্দেশ্য রয়েছে , কেননা প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল শিশুর পরিবার , পরিবার থেকেই কিন্তু তার প্রথম শিক্ষা শুরু হয় তাই প্রাথমিক শিক্ষা দানের জন্য পরিবারের ও অনেক অবদান রাখতে হবে।তারপর শিশুর শিক্ষা শুরু হয় স্কুল কলেজ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সেখানেই এই নিচের বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে , শিশুর মানবিক মূল্যবোধ ,সকল ধরনের বিকাশে তাদের সহায়তা করতে হবে।
- আল্লাহ তায়ালা / সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস ও শিশুর মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করা এবং সকল ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীদের শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
- শেখার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির মাধ্যমে শিশুর কল্পনা শক্তি সৃজনশীলতা ও নান্দনিকবোধ উম্মেষে সহায়তা করা।
- বিজ্ঞানের নীতি ও পদ্ধতি ও প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন , সমস্যা সমাধানে তার ব্যবহার এবং বিজ্ঞানমনস্ক অনুসন্ধিৎসু করে গড়ে তুলতে সহায়তা করা।
- ভাষা ও যোগাযোগ দক্ষতার মাধ্যমে শিশুর চিন্তা শক্তির বিকাশ ও নিজেকে করতে সহায়তা করা।
প্রাথমিক শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শিশুর জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য তাই তাদের সাথে সাথে থেকে তাদের সহায়ক ভূমিকা পালন আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
- গানিতিক ধারনা ,যৌক্তিক চিন্তা ও সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা অর্জন এ সহায়তা করা।
- সামাজিক ও সুনাগরিক হওয়ার গুনাবলী এবং বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে সহায়তা করা।
প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে,
- প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে ভালো মন্দের পার্থক্য অনুধাবন এর মাধ্যমে সঠিক পথে চলতে উদ্ধুদ্ধ করা।
- অন্যকে অগ্ৰাধিকার দেওয়া, পরমতসহিষ্ণুতা ও ত্যাগের মনোভাব ও মিলেমিশে বাস করার মানসিকতা সৃষ্টি করা।
- প্রতিকূলতা মোকাবেলার মাধ্যমে শিশুর আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করা।
- নিজের কাজ নিজে করার মাধ্যমে শ্রমের মর্যাদা উপলদ্ধি ও আত্মমর্যাদা বিকাশে সহায়তা করা।
- প্রকৃতি পরিবেশ ও বিশ্ব জগতটাকে জানতে ও ভালোবাসতে সহায়তা করা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ এ উদ্ধুদ্ধ করা।
- নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনে সচেষ্ট করা।
- জাতীয় ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভালোবাসতে সাহায্য করা।
সবশেষে একথাই বলতে চাই আমরা যেন সবাই প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গুলোকে সামনে রেখেই সেগুলো অনুসরন করে চলতে পারি এবং সকল শিক্ষার্থীরা যেন সেই মনোভাব নিয়েই চলতে পারে আল্লাহ যেন আমরা সবাইকে সেই তৌফিক দান করেন।