পারিবারিক পেনশন আইন ২০২৩, পারিবারিক পেনশন ফরম, আবেদন ও কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন

পেনশন ব্যবস্থা সমস্ত চাকরিজীবীদের জন্য একটি সুব্যবস্থা । আর পারিবারিক পেনশন এবং স্ত্রীর পারিবারিক পেনশন ,স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশন এর জন্য আবেদন ফরম আজ এই পোস্ট টি শেয়ার করলাম ।

সরকারি চাকরিজীবীর স্ত্রীর বা স্বামীর মৃত্যুতে আজীবন পেনশন পাবেন।

পারিবারিক পেনশন বা পারিবারিক পেনশন কখন থেকে শুরু হয়েছিল:

পারিবারিক পেনশন ০১/০৬/১৯৯৪ খ্রি.হতে শুরু হয়। ফাইন্যান্স এন্ড ডিপার্টমেন্টের অডিট ব্যাঞ্চের মেমো নং ২৫৬৬(৪০) এফ তারিখ ১৬/০৪/১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ এবং অর্থমন্ত্রনালয়ের অর্থ বিভাগ এর স্মারক নং ্্ কম/অবি / বিধি- ১/৩ পি-/২০০৫ ( অংশ) অংশ -১)/৫ । তারিখ ২৭/০১/২০০৯ খ্রিস্টাব্দ অনুসারে পূর্ণ হারে আজীবন পারিবারিক পেনশন পাবেন।

পারিবারিক পেনশন ২০২৩:

স্ত্রীর পারিবারিক পেনশন: পেনশনার মারা যাওয়ার পর স্বামী বা স্ত্রী পরিবারের সদস্য পারিবারিক পেনশন এর জন্য সর্বশেষ কর্মস্থলের মাধ্যমে আবেদন করবে।

Family pension After Death Rule -2018.

পারিবারিক পেনশন এ স্বামীর মৃত্যুর পর আবেদন এর নমুনা;

পেনশনার মৃত্যুর পর পারিবারিক পেনশন এর আবেদন করতে যদি ১ বছর অতিক্রম না করে তবে সরাসরি হিসাব রক্ষণ অফিস এ শেষ কর্মস্থলের ফরওয়াডিংয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে ।মোট কথা হিসাব রক্ষন অফিসে আবেদন করলে হিসাব রক্ষন অফিস স্বামীর পেনশন স্ত্রীর নামে করে দিবেন।যদি এক বছর অতিক্রম করে তবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট হতে পেনশন মঞ্জুরি নিতে হবে। পারিবারিক পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০.

Pension Calculator : পেনশন হিসাব করার নিয়ম পেনশন ক্যালকুলেটর দিয়ে

পারিবারিক পেনশন ২০২২ , শতভাগ পেনশন সর্মথনকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মৃত্যুর পর তাদের বিধবা স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন এবং বিপত্নিক স্বামী সর্বাধিক পনের বছর ( শতভাগ পেনশন সমপর্ণকারী কর্মচারীর অবসর গ্ৰহনের তারিখ হতে মোট পনের বছর মেয়াদ পূর্তির কোন সময় অবশিষ্ট থাকলে শুধু মাত্র উক্তসময় পূর্তি পর্যন্ত)।

  • মাসিক চিকিৎসা ভাতা ও দুটি উৎসব ভাতা প্রাপ্য হবেন।

তবে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে বিধবা স্ত্রী / বিপত্নীক স্বামী ও সুবিধা প্রাপ্য হবেন না। শতভাগ পেনশন সমপর্ণকারীগন শতভাগ পেনশন সমর্পণ না করলে যে পরিমান মাসিক নীট পেনশন প্রাপ্য হতেন তার ভিত্তিতে উৎসব ভাতার পরিমাণ নির্ধারণ হবে। স্বামীর পেনশন আজীবন প্রাপ্তির শর্ত ২০১৭.

স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশন এর জন্য আবেদন নমুনা ,অথবা ডাউনলোড ও করতে পারবেন

আমার স্বামী মোঃ আলী ,এম.এল.এল.এস গার্ড হিসেবে বাংলাদেশ বেতার ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ১/৯/২০০৭ খ্রি তারিখে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং তার জীবদ্দশায় গ্ৰাচুইটি ও পেনশন ভোগরত অবস্থায় ১৬/০৩/২০২২ খ্রি তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।আমার স্বামীর মৃত্যুর পরবর্তীতে তাঁর ওয়ারিশ হিসাবে অদ্যবধি মাসিক পেনশন ভাতা ও অন্যান্য ভাতা গ্ৰহন করা হয় নি।

প্রেক্ষিতে ,আমার মৃত স্বামীর মাসিক পেনশন ভাতা ও অন্যান্য ভাতা আমাকে প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহনের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি

প্রজ্ঞাপন:

পুরুষ ও মহিলা বেসামরিক সরকারি কর্মচারীগনের মৃত্যুর পর তাদের পরিবারের পেনশন প্রাপ্যতার বিষয়ে নারী পুরুষের সুযোগের সমতা বিধানের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ এর ১৪-১০-২০১৫ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫.৮১নং প্রজ্ঞাপনে মৃত মহিলা বেসামরিক কর্মচারীর স্বামীর পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতা সংক্রান্ত (চ) নং অনুচ্ছেদে নিম্মরূপভাবে প্রতিস্থাপন করা হলো:

‘ পারিবারিক পেনশন এর ক্ষেত্রে একজন মৃত মহিলা বেসামরিক কর্মচারীর স্বামী পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হলে বিধবা স্ত্রীর পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতার অনুরূপ হারে ও পদ্ধতিতে মৃত মহিলা বেসামরিক সরকারি কর্মচারীর বিপত্নীক স্বামী আজীবন পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে,

স্বাক্ষরিত , মোঃ নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব।

পারিবারিক পেনশন আবেদন , নমুনা, কাগজপত্র এবং ফরওয়ার্ডিং নমুনা / পারিবারিক পেনশন ফরম ২.২ ।

Pension Form 2023 ডাইনলোড করে ও আপনারা পাবেন।

পারিবারিক পেনশন এর জন্য যা যা কাগজ পত্র দরকার তা হলো:

  • আবেদন পত্র……….০১ কপি।
  • পারিবারিক পেনশন ফরম……….০১ কপি।
  • ইউনিয়ন পরিষদ / সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক মৃত্যু সনদ পত্র……….০১ কপি।
  • নমুনা সাক্ষর ও পাঁচ আঙুলের ছাপ……..০১ কপি।
  • ছবি সত্যায়িত ………..০১ কপি।
  • উত্তরাধিকারী সনদপত্র ও নন ম্যারিজ সার্টিফিকেট ……..০১ কপি।
  • অবসর ভাতা উত্তোলন করার ক্ষমতা অর্পণ ও অভিভাবক মনোনয়ন এর প্রত্যয়ন পত্র ………০১ কপি।
  • ওয়ারিশ সনদ পত্র ……০১ কপি।
  • জন্মনিবন্ধন সনদপত্র ……০১ কপি।
  • পি,পি বইয়ের ফটোকপি……০১ কপি।
  • জনাব মোহাম্মদ আলী এর জাতীয় পরিচয়পত্র এর সত্যায়িত কপি…..০১ কপি।
  • রহিম অর্থাৎ স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি …..০১ কপি।
  • মরহুম জনাব মোহাম্মদ আলী এর পেনশন ফরম এর কপি ……০১ কপি।

প্রাইমারি পেনশন ও বেসরকারি শিক্ষক পেনশনে পার্থক্য কেমন

পারিবারিক পেনশন মঞ্জুরির প্রয়োজনীয় ফরম সনদ ও কাগজপত্রাদি

পারিবারিক পেনশনের মঞ্জুরির জন্য নিম্নের ফরম কাগজ প্রশাসনিক / হিসাব রক্ষণ অফিসে দাখিল করতে হবে।

পেনশন‌ মঞ্জুরির পূর্বেই সরকারি কর্মচারীর মৃত্যু হলে:

  • ননগেজেটেড কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সার্ভিস বুক অথবা গেজেটেড কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সর্বশেষ তিন বছরের চাকরির বিবরণীর এক কপি।
  • অবসর ও পি আর এল গমনের মঞ্জুরিপত্র…..০১.
  • প্রত্যাশিত শেষ বেতনের প্রত্যয়নপত্র/ শেষ বেতনপত্র ( প্রযোজ্যক্ষেত্রে)…….০১।
  • সত্যায়িত ছবি ( স্বামী /স্ত্রী/ উত্তরাধিকারীগনের ) = ৪ কপি।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন ( উত্তরাধিকারী/ উত্তরাধিকারীগনের বয়স ১৮ বছর এর নিচে হলে জন্ম সনদ এবং ১৮ বছর এর উপরে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র ) ……০১ কপি।
  • উত্তরাধিকার সনদ পত্র ও ননম্যারিজ সার্টিফিকেট য়( সংযোজনী-৩)= ৩ কপি।
  • নমুনা সাক্ষর ও হাতের পাঁচ আঙুলের ছাপ সংযোজনী -৬ ……..৩ কপি।
  • অভিভাবক মনোনয়ন এবং অবসর ভাতা ও আনুতোষিক উত্তোলন করার জন্য ক্ষমতা অর্পণ সনদপত্র ( সংযোজনী-৭),……৩ কপি।
  • চিকিৎসক অথবা সিটি কর্পোরেশন এর কাউন্সিলর/ পৌরসভার মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান প্রদত্ত মৃত্যুর সনদ পত্র।
  • না দাবি প্রত্যয়নপত্র।
  • অবসর ভাতার মঞ্জুরি পত্র।
  • পিপিও এবং ডি হাফ …..১ কপি।
  • প্রতিবন্ধী সন্তান যদি থাকে তার নিবন্ধন , পরিচয়পত্র মেডিকেল বোর্ড এর সনদপত্র।…..৩ কপি।

এই ছিল পারিবারিক পেনশন ২০২২ এর যাবতীয় বিষয় , আসলেই এই ব্যবস্থা সরকার এর অতি প্রশংসনীয় কেননা পেনশন ভাতা ব্যবস্থা মানুষ এর জীবনকে অনেক সহজ করে আর্থিক সচ্ছলতা আনে ।আমি আশা করি আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগন তাদের জন্য এই পেনশন অথবা পারিবারিক পেনশন বয়ে আনুক সচ্ছলতা ও শান্তি সমৃদ্ধি।

Paribarik pension tottho

shaheda

I'm a proud member of scholarsme. Content Writer and SEO Expert, I completed my graduation in Political science, and I love to share university suggestions and scholarship information.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button