বর্তমানে সময়ের সবচেয়ে বেশি জানার আগ্রহ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা কবে দেওয়া হবে সে বিষয়টি সম্পর্কে। কারণ ইতিমধ্যে ব্রডব্যান্ড কানেকশন দেওয়া হলেও মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত। যার কারনে বিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেকেই কর্মক্ষেত্র থেকে এবং অন্যান্য বিষয়ে থেকেও।
সারা বাংলাদেশ জুড়ে গত বুধবার থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। আর ঠিক পরে রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন সেবা। আর সেই সময় থেকে সারা বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় পাঁচ দিন ধরে বন্ধ থাকে সকল প্রকারের ইন্টারনেট ব্যবহার। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে জানাই গিয়েছে মোট ৫০০ কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়ে আছে শুধুমাত্র ইন্টারনেট না থাকার কারণে। কিন্তু এই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয় জনসাধারণের কথা চিন্তা করে এমনকি দেশের মধ্যে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য। মূলত কি কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই ধরনের ইন্টারনেট সেবা এবং কবে নাগাদ চালু হবে সে বিষয়টি এখন উপস্থাপন করা হচ্ছে।
মোবাইল ইন্টারনেট সেবা কবে দেওয়া হবে
যদিও আমাদের দেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। কিন্তু এই বছরের জুলাই মাস থেকে যে আন্দোলন শুরু হয় তা অনেক প্রখর এবং দ্রুত ছড়িয়ে যায় সারা বাংলাদেশ জুড়ে। শহর থেকে শুরু করে গ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং প্রভাব বিস্তার করা শুরু করে। দফাই দফাই সংঘর্ষ অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে কয়েক শতাধিক মানুষ মারা যান এমনকি কয়েক হাজার মানুষ আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সহ বিভিন্ন ধরনের অনলাইন এরিয়া গুলোতে প্রচুর পরিমাণে গুজব ছড়াতে শুরু করে। আর যাতে করে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে থাকে এবং কি সুষ্ঠুভাবে চলাফেরা করতে পারে এজন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও গত মঙ্গলবার থেকে সীমিত আকারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে দেওয়া হচ্ছে না মোবাইল নেটওয়ার্ক যা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। তাই অনেকের জানতে চাচ্ছেন মোবাইল ইন্টারনেট সেবা কবে দেওয়া হবে।
আরো দেখুনঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে?
এই বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত পরিষ্কার কোন ধরনের তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সকল ধরনের ইন্টারনেট সেবা ও অন্যান্য বিষয়গুলো চালু করে দেওয়া হবে। এমনটাই আছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গেরা।