প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল শুরু হয়েছে
বছর থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ ই মে থেকে এই কার্যক্রমও শুরু হবে। যদিও চালু হওয়ার কথা ছিল ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। কিন্তু তা হঠাৎ করেই চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই থেকে শুরু করতে যাচ্ছে এই পদ্ধতি। আর এই বিষয় নিয়েই আমাদের পুরো প্রতিবেদন সাজানো হচ্ছে।
স্কুল ফিডিং কর্মসূচি
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে যে ২০২৫ সালে নভেম্বর মাস থেকেই তারা মিড-ডে মিল শুরু করবে। এটি প্রথম দিকে স্বল্প পরিসরে শুরু করবে এবং তারপর বৃহৎ আকারে এই কর্মসূচি চলমান থাকবে সারা দেশ জুড়ে। আর এই খবর প্রাথমিক শিক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র থেকে জানতে পেরেছি প্রাথমিক অর্থাৎ প্রথম ভাবে দেশের ৮ বিভাগে ৬২ জেলার ১৫০ উপজেলার ১৯৪১৯ টি সরকারি বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি সুবিধা ভোগ করতে পারবে। আর এর শিক্ষার্থীর পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ৩১ লক্ষ ৩০ হাজার। তবে সীমিত আকারে ১৭ই নভেম্বর থেকে আপাতত চারটি বিভাগে চালু হবে। আর এই চারটি বিভাগ হচ্ছে খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং ঢাকা।
শিক্ষার্থীদের খাবার হিসেবে প্রথমের দিকে দেওয়া হবে বিস্কুট ও বন রুটি। পর্যায়ক্রমে এ বিষয়টি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন করা হবে এবং আরো অন্যান্য খাবার যুক্ত করা হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল শুরু হয়েছে
এছাড়াও আরো জানা গিয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফিটিং কর্মসূচি প্রকৃতি আওতায় স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের এক সপ্তাহে পাঁচ দিন সরবরাহ করা হবে। অন্যদিকে এক সপ্তাহের মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন এবং চলমান থাকে পাঁচ দিন। এর মধ্যে থাকবে আরও সিদ্ধ ডিম, ইউ এইচডি দুধ, বিস্কুট এবং মৌসুমী বিভিন্ন ফলগুলো।
এই প্রকল্পটির অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটানো এবং ক্ষুধা নিবারণের প্রচেষ্টা। যাতে করে শিক্ষার্থীরা স্কুল গামী হয় এবং পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারেন। আর এক্ষেত্রে অন্যতম একটি কার্যকারিতা করবে শিক্ষার হার ঝরে যাওয়ার পরিমাণ কমে আসবে।
এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৪৫২ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৯৭ শতাংশই ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে। ২০২৫ ২০২৬ অর্থবছরের প্রকল্পের জন্য রাখা হয়েছে ২১৬৪ কোটি টাকার বেশি।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল শুরু হয়েছে এই খবরটি মদের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে যায়। আর ব্যাপক প্রশংসা করাতে শুরু করে। তবে বিষয়টি অনেকেই ব্যাপক পজিটিভ ভাবে নিচ্ছেন। কারণ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার ব্যবস্থা হবে যা অনেক অভিভাবকের চিন্তা মুক্ত হবে। আর এখানে যেহেতু পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হচ্ছে সে ক্ষেত্রে তাদের পুষ্টির চাহিদার জন্য আলাদা চাপ নিতে হচ্ছে না। একই সঙ্গে নিশ্চিত হচ্ছে তাদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ।



