লিওনেল মেসি জীবনী | Lionel Messi Biography

লিওনেল মেসি জীবনী। ফুটবলে বিস্ময়,  বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড় হলেন লিওনেল মেসি। তিনি সর্বাধিক ভ্যালেন ডি আর বিজিতা খেলোয়াড়। তিনি ফুটবলের দেবতা। তিনি একজন শৈল্পিক খেলেয়াড়। তার পায়ের জাদু দিয়ে মাঠ মাতিয়া  থাকেন, আর দর্শকদের মানে ঋড়ে আনন্দের উচ্ছ্বাস।  সে জন্য লিওনেল মেসি সারা ফুটবল বিশ্ব মাতানো একজন খেলেয়াড়।

লিওনেল মেসি একজন আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়।  তিনি জাতীয় দল ও ক্লাবের আক্রমণ ভাগ সামলে রাখেন। তিনি বর্তমানে প্যারিস সাইন্ট জিমারে খেলে থাকেন। এটি ফরাসি ক্লাব।

কাতার বিশ্বকাপ সময়সূচী ২০২২

লিওনেল মেসির পরিচয়।

লিওনেল মেসির জন্ম।

লিওনেল মেসি ২৪ জুন ১৯৮৭ সালে রোসারিও, আর্জেন্টিনায় জন্ম গ্রহন করেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৩৪ বছর।

লিওনেল মেসির বাবা ও মা।

লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর  বাবা হলেন “হোর্হে হোরাসিও মেসি”। মেসির বাবা  “হোর্হে হোরাসিও মেসি” একটি ইস্পাতের কারখানায় কাজ করতেন।

লিওনেল মেসির মা।
লিওনেল মেসির “মা” নাম হলো, “সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি”। তার মা “সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি” ছিলেন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। তিনি খণ্ডকালীন এ কাজ করতেন।

মেসির পৈতৃক আদি নিবাস

লিওনেল মেসি যদিও একজন আর্জেনটাইন, কিন্তু তার পৈতৃক আদি নিবাস ছিল ইতালির আকোনা শহরে।

লিওনেল মেসির ভাইবোন।

লিওনেল মেসির রয়েছে দুই বড় ভাই “মাতিয়াস মেসি” ও “রদ্রিগেস মেসি” এবং এক বোন নাম “মারিয়া সোল”।

ফুটবল-প্রেমি মেসি।

লিওনেল মেসির পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলেও তার পিতা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্নপ্ন দেখতেন। মেসিও ছোটবেলা থেকে ফুটবলকে ভালোবাসতে শুরু করেন। তিনি খুব অল্প বয়সেই ফুটবল খেলার সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ফুটবল খেলতে শুরু করেছিলেন অল্প বয়সে। তিনি একজন ক্ষুদে যাদুঘর ছিলেন। তিনি বাল্যাকালেই শৈল্পিক ও ছন্দময় ফুটবল খেলতে।  তাই লিওনেল মেসির প্রতিভা খুব শীঘ্রই সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠে, সবার দৃষ্টিকাড়ে।

Newell’s Old Boys এ মেসি।

মেসির বাবা মা এমনকি তার দাদি মাও তাকে ফুটবল খেলার জন্য উৎসাহিত করতেন। তাই তিনিও ফুটবলে মনোযোগ দেন। Newell’s Old Boys নামে একটি ক্লাবে ১৯৯৫ সালে মেসি প্রাক্টিস করতেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। মেসি এই নয় বছর বয়সে  ফুটবলকে এতটাই আয়ত্ত করেছিলেন,  যে তার পা থেকে বল নেওয়া যেত না। প্রতিপক্ষের অবস্হা একবারে খারাপ হয়ে যেত। দশ মিনিট বা তার অধিক সময় মেসি পায়ে বল রেখে তাদের সাথে ডিব্লিং করতেন। এটা ছিল তখন সময়ের বড় একটি বিস্ময়।

লিওনেল মেসির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ হাতছানি দিয়ে ডাকছিল। কিন্তু তার ক্যারিয়ারের জন্য কাল হয়ে দাড়ালো “হরমোন ডেফিসিয়েন্সি জনিত সমস্যা”। মেসির খেলায় ছন্দপতন ঘটে। ডাক্তার সাফ জানিয়ে দিলেন, যথাযথ চিকিংসা না করলে “হরমোন ডেফিসিয়েন্সি জনিত সমস্যা” বিরাট আকার ধারণ করবে। এবং শারীরিক বিকাশে বাধা হয়ে দাড়াবে। আর ফুটবল খেলার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকেই যাবে।

এই চিকিংসা ছিল খুব ব্যয়বহুল।

তবে তার ফুটবল জীবনের ছন্দপতন ঘটে ১১ বছর বয়সে যখন তার শরীরে হরমোন ডেফিসিয়েন্সি জনিত সমস্যা দেখাযায় তখন তার পরিবার ও ক্লাব সবার মাথায় বাজ পড়ার মত অবস্থা হয়। ডাক্তার বলেদেন ট্রিটমেন্ট শুরু না করলে শরীরের বিকাশ থামেযেতে পারে ও ফুটবল খেলায় স্বপ্ন চিরদিনের জন্য শেষ হয়ে যাবে।

ন্যাপকিন পেপারে প্রথম চুক্তি সাক্ষর

যখন মেসির ভবিষ্যৎ প্রায় অনিশ্চিত। প্রতিভাবান এই ফুটবলার হারিয়ে যাবেন চিকিৎসার অভবে।ঠিক সে সময় বার্সেলোনার সেই সমশের ম্যানাজার “কার্লোস রেক্সাচ ”  ত্রাতা হয়ে দাড়ান। তিনি মেসির পাশে এসে দাড়ান।  কার্লোস রেক্সাচ মেসির প্রতিভা দেখে,  তার ফুটবল মেধা দেখে বিমোহিত হন। তিনি মেসির খেলা দেখেন,  তিনি মেসিকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। মেসির সাথে তিনি চুক্তি করতেনচান।কিন্তু তার সাথে ছিল কোন চুক্তিপত্র।  বা স্বাক্ষর করার কোন কাগজ। কাগজ বা চুক্তিপত্র না থাকায় কার্লোস রেক্সাচ মেসির বাবার সাথে একটি ন্যাপকিন পেপারে  চুক্তি সাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী বার্সেলোনা মেসির চিকিৎসা বাবদ সব ধরনের ব্যয়ভার বহন করতে হয়। তারপর শুরু হয় মেসির জীবনের নতুন ইতিহাস এক নতুন অধ্যায়।

বার্সেলোনায় লিওনেল মেসি।

লিওনেল মেসি ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার

  • ইনফান্তিল বি,
  • কাদেতে বি এবং
  • কাদেতে এ দলে খেলেছেন।

লিওনেল মেসি বার্সেলোনার যুবদল কাদেতে এ দলে  ৩০ খেলায় ৩৭ গোল করেন।

মেসির বয়স যখন ১৭ বছর এবং ১১৪ দিন বয়সে তখন তার বার্সেলোনার অভিষেক। তার অভিষেক ম্যাচটি ছিল ইস্পানিওলের বিপক্ষে। তিনি ছিলেন বার্সেলোনার তৃতীয় কনিষ্ঠতম খেলোয়াড়। তার অভিষেক  হয় ২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর।

লেওনিল মেসি আলবাকেতে বালোম্পাইয়ের বিপক্ষে একটি রেকোর্ড গড়েন।  বার্সেলোনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ২০০৫ সালের ১ মে, লা লিগায় গোল করার রেকর্ড গড়েন মেসি। লেওনেল মেসির বয়স তখন ছিল ১৭ বছর ১০ মাস ৭ দিন।

মেসির বিবাহ ও স্ত্রী। lionel messi wife

৩০ শে জুন, ২০১৭, মেসি তার আন্তোনেলা রোকুজ্জোকে বিয়ে করেন। আন্তোনেলা রোকুজ্জো ছিলেন  মেসির প্রিয় বন্ধু এবং সহকর্মী ফুটবল খেলোয়াড় লুকাস স্কাগলিয়া এর চাচাতো বোন।

মেসির সন্তান। lionel messi son’s

মেসির তিনজন সন্তান রয়েছে।
থিয়াগো, নভেম্বর ২০১২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন,
মাতেও, সেপ্টেম্বরে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং
সিওরো, মার্চ ২০১৮ তে জন্মগ্রহণ করেছেন।

ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত।

মেসি একজন নরম দিলেন মানুষ। ব্যাক্তিজীবনে তিনি খুব দয়ালু। লিওনেল মেসি ২০০৭ সালে সুবিধাবঞ্চিত যুবকদের জন্য কাজ করেন। সে জন্য তিনি একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্টা করেন। যুবকদের যেকোন ধরণের সুযোগ প্রদানের জন্য লিও মেসি ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। ২০১০ সালে  সারা  বিশ্বে শিশুদের অধিকারের জন্য কাজ করায় ইউনিসেফ তাকে শুভেচ্ছার রাষ্ট্রদূত হিসাবে নাম দিয়েছিল।

মেসির এওয়ার্ডস।

লিওনেল মেসি অনেক সাফল্য গল্প রয়েছে। তিনি ব্যাক্তি জীবনে অনেক কিছু অর্জন করেছোন। আজ আমরা মেসির এওয়ার্ডস নিয়ে আলোচনা করব।

ব্যালন ডি’অর

ফিফার সবচেয়ে বড় একক পুরস্কার হলো ব্যালন ডি’অর। লিওনেল মেসি ব্যালন ডি’অর জিতেন ছয় বার। ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২,সাল পর্যন্ত ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

তাছরা আর দুইবার তিনি  ২০১৫ ও ২০১৯ লাভ করেন।

ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার – ২০০৯
সেরা পুরষ্কার – ২০১৯

ইউরোপীয় সোনার জুতো

লিওনেল মেসি ইউরোপীয় সোনার জুতো  পুরষ্কার পান।
২০০৯/১০, মৌসুমে।
২০১১/১২,মৌসুমে।
২০১২/১৩,মৌসুমে।
২০১৬/১৭,মৌসুমে।
২০১৭/১৮,মৌসুমে।
২০১৮/১৯ মৌসুমে। 

পিচিচি লা লিগা

লিওনেল মেসি পিআিচি লা লিগা জিতেন।

এমভিপি লা লিগা

  • ২০০৮/৯, সালে।
  • ২০০৯/১০, সালে।
  • ২০১০/১১, সালে।
  • ২০১১/১২,সালে।
  • ২০১২/১৩,সালে।
  •  ২০১৪/১৫, সালে।
  •  ২০১৬/১৭, সালে।
  •  ২০১৭/১৮,সালে।
  •   ২০১৮/১৯ সালে।

চ্যাম্পিয়ন্স সর্বোচচ গোলদাতা –

  • ২০০৮/৯, মৌসুমে।
  • ২০০৯/১০,মৌসুমে।
  • ২০১০/১১, মৌসুমে।
  • ২০১১/১২,মৌসুমে।
  • ২০১৪/১৫,মৌসুমে।
  • ২০১৮/১৯মৌসুমে।

তাছাড়াও লিওনেল মেসি আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুরুষ্কার জিতেন।

  • ব্রাভো পুরষ্কার – ২০০৭ফিফা
  • ফিফপ্রো – ২০০৬
  • বিশ্বকাপ সোনার বল – ২০১৪
  • বর্ষসেরা ফুটবলার –  ২০১০/১১, ২০১৪/১৫
  • গোল্ডেন বয় –  ২০০৫
  • ওঞ্জ – ডি’অর – ২০০৯, ২০১১, ২০১২, ২০১৮
Share This Article
মাহফুজুর রহমান হলেন স্কলার্সমীর প্রতিষ্ঠাতা, তিনি প্রফেশনালি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং SEO (Search Engine Optimization) বিষয়ে কাজ করেন, SEO Friendly নিউজ এবং ব্লগ পোস্টে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কাজ করে আসতেছে। যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য কন্টাক্ট করতে পারেন।
Exit mobile version