আসছে কোরবানি ঈদ। তাই অনেকে জানতে ইচ্ছে পোষণ করে কোরবানি কার উপর ফরজ করা হয়েছে। মূলত এটি একটি ইসলামভিত্তিক প্রশ্ন। ইসলামের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে এর পরামর্শ নিতে হয়। কিন্তু অনেকে দূরে থাকার কারণে এই সম্পর্কে জানতে পারে না। আরো জানতে পারেনা কোরবানির নিয়ম সম্পর্কে।
আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সামনে তুলে ধরব কোরবানি ঈদ কবে এবং কোরবানি ঈদে কি কি করতে হয় সে বিষয় সম্পর্কে।
ইতিমধ্যে আমরা রোজা ঈদ অর্থাৎ রমজানের ঈদ পালন করে ফেলেছি। আর অতি সন্নিকটে হচ্ছে আমাদের কোরবানির ঈদ। কোরবানির ঈদ ঘিরে আমাদের রয়েছে নানা ধরনের প্রিপারেশন। এখন থেকে বিভিন্ন প্ল্যান করে রাখছে। তবে এই ঈদের প্রধান একটি কাজ গ্রহের মধ্যে একটি হচ্ছে গবাদিপশু কুরবানী করা। এ বিষয় সম্পর্কে জানার পূর্বে আমরা জানব কোরবানির ঈদ কবে হবে তা সম্পর্কে।
আজকের সয়াবিন তেলের দাম কত ২০২৩
কোরবানির ঈদ কবে এবং কোরবানির ছুটি কবে?
বর্তমানে এখন বেশিরভাগ মানুষ জানতে চাচ্ছে কোরবানির ঈদ কবে অনুষ্ঠিত হবে আর কোরবানি কার উপর ফরজ করা হয়েছে। তাছাড়া ঈদের ছুটি কতদিন এ বিষয়গুলো। কোরবানি ঈদ ২০২৩ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ২৮ জুন অথবা ২৯ জুন। আর সরকারি ছুটি কবে হবে এর নির্দিষ্টতা এখনো দেওয়া হয়নি। ছুটি ঘোষণা করার সাথে সাথে আপনাদেরকে আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। অন্যদিকে সরাঞ্চলের বৃহৎ একটি কর্মক্ষেত্র হচ্ছে গার্মেন্টস। গার্মেন্টসের ঈদের ছুটি কতদিন হবে এটি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করে থাকে। গার্মেন্টসে এখন ছুটি দেওয়া হয় সাধারণত ৫ থেকে ১৫ দিন সময় পর্যন্ত। আর ঈদের পূর্বে শুক্রবার গুলোতে তারা জেনারেল করে থাকে। যার কারণে তারা এত বেশি ছুটি পায়।
কুরবানী কার উপর ফরজ করা হয়েছে?
কোরবানির ঈদের আর মাত্র ৩০ দিনের বেশি সময় নেই তাই যে যার মত এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু অনেকেই জানতে চাচ্ছেন কোরবানির ফরজ নাকি ওয়াজিব এ বিষয়টি নিয়ে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে এখনও দুটি মতামত রয়েছে। বিশেষ করে কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নতে এ বিষয় নিয়ে বেশি মতবাদ রয়েছে। বিভিন্ন জ্ঞানী আলেমরা দুটি পক্ষেই কথা বলেছেন।
যারা বলেছেন কুরবানী করা ওয়াজিব তাদের মত অনুসারে যাদের নেসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তাদের কুরবানী করা ফরজ। অন্যদিকে যারা মুসাফির হয়েছেন তাদের ওপর কুরবানী খরচ হবে না।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য রাখে সে ব্যক্তি যেন অবশ্যই কুরবানী করে। এই হাদিস থেকে বোঝা যাচ্ছে তিনি কুরবানী করতে নেসাব পরিমাণের সম্পদের প্রয়োজন হবে না। কাদের উপর ফরজ তা।
আর কোরবানি হচ্ছে আত্মিক ব্যাপার। মানুষ যেমন মহান আল্লাহ তাআলার ভয়ে ইবাদত বন্দেগী করে এবং তার সন্তুষ্ট অর্জন করে। ঠিক তেমনি ভাবে কোরবানি দেওয়া একজন মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কোরবানি শুরু হয় হযরত ইব্রাহিম (আ) থেকে। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে বারবার প্রিয় জিনিস কোরবানি দিতে বলেছিলেন। তিনি আল্লাহর হুকুমে তার প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ) কে কুরবানী করেছিলেন। তার ওপর সন্তুষ্ট হয়ে মহান আল্লাহতালা এরপর থেকে প্রিয় পশু কুরবানী করতে বলেন। সেই থেকে আমরা এখন পর্যন্ত পশু কুরবানী করে থাকি।
কুরবানীর গোস্ত বন্টনের নিয়ম?
আপনারা জানলেন কোরবানি কার উপর ফরজ করা হয়েছে। আমরা এর অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানব।কোরবানি করার পর ভাগ করার পদ্ধতি হচ্ছে মোট তিনটি ভাগে ভাগ করতে হবে। এক ভাগ হচ্ছে নিজের জন্য, দ্বিতীয় ভাগ হচ্ছে আত্মীয় স্বজনের জন্য এবং তৃতীয় ভাগ হচ্ছে গরিবদের জন্য। তবে বিভিন্ন মতবাদের জানা গেছে অর্থাৎ আলেমদের কাছ থেকে শোনা গেছে যদি কোন ব্যক্তি একাই তিন দিনের ভিতরে গ্রহণ করতে পারবে।
কোরবানি পশু কেনার নিয়ম কি?
কোরবানি পশু কেনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন পশু অন্ধ হওয়া যাবে না, পঙ্গুত্ব হওয়া যাবে না, রোগা হওয়া যাবেনা, কোন কিছু ভাঙ্গা থাকা চলবে না, পাগল পশু ইত্যাদি।
আর কোরবানির ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের নিয়তকে সহিহ শুদ্ধ হতে হবে তা না হলে কোরবানি হবে না। আর অবশ্যই বর্জ্য নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে সচেতন থাকবেন। প্রতি বছর দেখা যায় বর্জ্য নিষ্কাশন না করার কারণে রাস্তাঘাটে প্রচুর দুর্গন্ধ চলে যায়। আর সবসময় চেষ্টা করবেন হালাল উপায়ে কুরবানী করার। তাহলে আপনার কুরবানীটি সঠিকভাবে এবং আল্লাহ তালার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
কোরবানি কার উপর ফরজ করা হয়েছে এ বিষয়টি জানার পাশাপাশি আরও ইসলামিক বিভিন্ন তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।