কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি ২০২৩: কর্মসংস্হান ব্যাংক লোন। কর্মসংস্থান ব্যাংক কয়েকটি লক্ষ্য রেখে কাজ করে। তার মধ্যে অন্যতম হলো বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্হা।
কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোনের প্রকারভেদ।
কর্মসংস্হান ব্যাংক দেশের বেকার বিশেষ করে বেকার যুবদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে।কর্মসংস্হান ব্যাংক লোনের প্রকারগুলো হলো;
- আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে কর্মসংস্থান ব্যাংক কাজ করে।
- যুবকদেরআত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী করা।
- কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণে কাজ করে।
- কুটির শিল্পে বিকাশ ও প্রসারে উংসাহ দান ।
- দারিদ্র্য বিমোচনে কর্মসংস্হান ব্যাংক সাহায্য করে।
- কর্মসংস্হান ব্যাংক জিডিপিতে অবদান রাখার প্রকল্প।
কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোনের খাত।
কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোনের খাতসমূহ হলো।
- উৎপাদনশীল খাত।
- সেবা খাত।
- বাণিজ্যিক খাত।
কর্মসংস্হান ব্যাংক উৎপাদশীল খাতের লোন।
কর্মসংস্থান ব্যাংকের উৎপাদন খাতগুলো হলো।
- মৎস্য লোন,
- প্রাণিসম্পদ লোন,
- শিল্প-কারখানা লোন।
- ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প লোন।
কর্মসংস্থান মংস্য উৎপাদন লোন।
- কার্প জাতীয় মাছ,
- মনোসেক্স তেলাপিয়া,
- ভেটকি,চিতল,
- কৈ, থাই কৈ, শোল,গজার, পুটি
- ক্যাট ফিস-পাঙ্গাস, বোয়াল, পাবদা, টেংরা, সিং, মাগুর, চিংড়ি, মিশ্র মৎস্য চাষ ।
- রেণু পোনা উৎপাদন ।
কর্মসংস্থান ব্যাংক প্রাণীসম্পদ লোন।
- পোল্ট্রি ফার্ম,
- গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ,
- দুগ্ধ খামার।
- ব্র্যাক ব্যাংক লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক লোন পদ্ধতি
- ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পদ্ধতি
- ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি
শিল্প-কারখানা লোন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক বিভিন্ন শিল্প কারখানা নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য লোন দেয়। উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণে যত ধরনের কারখানার প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে, কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন দেয়।
কর্মসংস্হান ব্যাংক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প লোন।
কর্মসংস্হান ব্যাংক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প লোন যে সব ক্ষেত্রে দিয়ে থাকে।
- মৃৎ শিল্প,
- কামারের কাজ,
- তাঁত শিল্প,
- কাঠ শিল্প
- রেশমশিল্প
- বস্ত্র প্রস্তুতকরণ শিল্প
- চামড়াজাত শিল্প
কৃষিজ উৎপাদন লোন।
কর্মসংস্হান ব্যাংক কৃষি জাতীয় পণ্য উৎপাদনে লোন দেয়। যেসব ক্ষেত্রে লোন তা নিচে দেওয়া হলো।
- মাশরুম চাষ,
- সবজি চাষ,।
- রেশম চাষ।
- ফল চাষ,
- মৌমাছি চাষ,।
- পান বরজ/পান চাষ,
- ফুল চাষ ইত্যাদি।
কর্মসংস্হন ব্যাংক সেবা খাত লোন।
কর্মসংস্হন ব্যাংক সেবা খাতে লোন দিয়ে থাকে। নিচে কর্মসংস্হন ব্যাংক সেবাখাতে যে লোন দিয়ে থাকে তা তুলে ধরা হল।
- সেলুন ও লন্ড্রি,
- বিউটি পার্লার ও হারবাল ট্রিটমেন্ট,
- পাওয়ার টিলার,
- কম্পিউটার সেবা,
- ফটোকপি সেবা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি,মোবাইল ফোন মেরামত,।
- গ্রামীণ যানবাহন ,
- সেলাই মেশিন,
- গাড়ী মেরামত ওয়ার্কসপ,
- ডায়াগনস্টিক সেন্টার,
- স্টুডিও,
- শিক্ষা সেবা,
- জেনারেটরেরমাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ,
- কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদন পার্ক।
কর্মসংস্থান ব্যাংক গৃহ নির্মাণ ঋণ।
কর্মসংস্থান ব্যাংক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আবাসন সুবিধা দেয়। আবাসন সুবিধা জন্য বা আবাসন সুবিধা সৃষ্টির জন্যে কর্মসংস্থান ব্যাংক কর্মকর্তাদের গৃহ নির্মাণ ঋণ দেয়।
মোটরসাইকেল ঋণ।
কর্মসংস্থান ব্যাংক মোটরসাইকেল ঋণ দিয়ে থাকে। নিকটস্হ ব্যাংকে যোগাযোগ করুন।
কর্মসংস্হান ব্যাংক ঋণের যোগ্যতা :
কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন পেতে হলে কিছু যোগ্যতা থকতে হবে। সে গুলো আমরা নিচে উল্লেখ করেছি।
- এ লোন গ্রহীতাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- শাখার অধিক্ষেত্রের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- স্থায়ী বাসিন্দা না হলে, একজন স্থায়ী বাসিন্দাকে ঋণের গ্যারান্টি দাতা নিতে হবে।
- লোন আবেদনকারীকে বেকার হতে হবে।
- অথবা অর্ধ বেকার হতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ১৮,
- আর সর্বোচ্চ ৫০ বছর হতে হবে। ;
- আবেদনকারীর প্রকল্প পরিচালনা যোগ্যতা থাকতে হবে।
- একক ব্যক্তি (একজন) সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন।
- পাচজানের গ্রুপ, বা লোন গ্রহীতা পাঁচজন হলে সর্বোচ্চ ৫০লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন নেওয়ার কাগজপত্র।
প্রাথমিক পর্যায়ের লোন নিতে হলে যে সব কাগজপত্র লাগবে।
- আবেদন ফর্ম।
- সত্যায়িত দুই কপি ছবি (পাসপোর্ট সাইজ)।
- গ্যারান্টারের সত্যায়িত দুই কপি ছবি।
- ইউপি চেয়ারম্যান বা কাউন্সেলার থেকে নাগরিক সনদ।
- ট্রেড লাইসেন্স যদি একলক্ষের উপরে লোন হলে।