১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য, জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২২
” কেঁদে ছিল আকাশ , ফুঁপিয়ে ছিল বাতাস,
“বৃষ্টিতে নয় ঝড়ে ও নয় ,এ অনুভূতি ছিল পিতা হারানো শোকের।”
“ যদি রাত পোহালেই শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই“
আসসালামুআলাইকুম , মাননীয় সভাপতি সুধী বৃন্দ এটা কেবল গান ই নয় , এই সুর সমগ্ৰ মানব জাতির হ্নদয়ের বেদনার্ত হাহাকার এর সুর।যে সুরে ধ্বনিত হয়েছে সন্তান হারা মায়ের কান্না, পিতার করুন বেদনা সমগ্ৰ জাতির জীবনে এই বেদনার্ত সুর ধ্বনিত হয়েছে।বিশ্ব বিধাতার কাছে করুন ফরিয়াদ হিসেবে।
জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২২
মাননীয় সুধী আজ ১৫ ই আগষ্ট , জাতীয় শোক দিবস ।এ শোক সমগ্ৰ বাঙালি জাতির।এ দিন এ আমরা হারিয়েছি সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এমন এক মহান নেতার অভাব শোকের মাধ্যমে এ পূরন করা সম্ভব নয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
যার আগমনের মধ্যে দিয়ে বাংলার আকাশে বাতাসে মুক্তির বানী ধ্বনিত হত। চিরকাল যে মহান নেতা মানুষ কে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন , শোষিত বঞ্চিত মানুষের জীবনের জয়গান গুনিয়েছেন এবং বাংলার মানুষ কে ভালবেসে বঙ্গবন্ধু হতে পেরেছেন,সেই বাংলার বন্ধু কে ষোল কোটি মানুষের স্বপ্নময় জীবনের পথপ্রদর্শক কে আমরা হারিয়েছি এর চেয়ে বড় বেদনার্ত সুর আর কি হতে পারে, জীবনে এর চেয়ে শোকাবহ ঘটনা আর হয়নাই।
১৫ ই আগষ্ট গভীর রাতে নৃশংস হত্যাকান্ড চালিয়ে নিংশেষ করে দেয় বঙ্গবন্ধু পরিবারকে আমরা সেই শোক কখনো ভূলিতে পারিনা।
সুধী সমগ্ৰ জাতির জন্য আজ ১৫ ই আগষ্ট কান্নাভরা বেদনার দিন। (১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য)
আমরা সবাই জানি তিনিই সেই মহান নেতা যিনি তৎকালীন সাড়ে সাত কোটি মানুষের মুক্তির উদ্দেশ্য এ স্বাধীন দেশের প্রত্যয় নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তাঁর ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সমগ্ৰ জাতি এক ই লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে। এটি ছিল এক অভিন্ন ইতিহাস।
- প্রিয় সুধি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে মরনপন যুদ্ধ করে যার ফলশ্রুতিতে ত্রিশ লক্ষ মানুষ শহীদ হন বহু মা বোনদের ইজ্জত এর বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা, এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্ৰহন করেন ।এ মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু এমন এক চক্রান্ত এর বলী হন আমাদের সবার মহান নেতা,।
- স্বাধীন বাংলাদেশের দুষ্কৃতকারীরা ও কিছু সংখ্যক আমলা ক্ষমতা লোভী দেশ বিরোধীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংস ভাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট স্ব পরিবার এ হত্যা করে বাংলার ইতিহাস এ কালো অধ্যায়ের সূচনা করে।
- প্রিয় সুধী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হত্যাকান্ড কেবল মুজিবকে হত্যা করা হয়নি এটি ছিল একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।যার মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দর্শন কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র ছিল।এই ঘটনার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ,গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র বিরোধী রাষ্ট্র কায়েম করে।
- প্রিয় সুধী আমরা সবাই জানি বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে যাদের স্বাধীনতার জন্য একজন মহিরুহ সদৃশ দেশনেতার অবদান অপরিসীম।আর এই ব্যক্তি ই হলেন আমাদের প্রিয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।যার নাম এর মধ্যে দিয়ে মিশে আছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।
সুধী আজ কের মত এখানেই শেষ , পরিশেষে একথাই বলতে চাই,
“ যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা গৌরি বহমান
ততদিন রবে কীর্তি তোমার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান “