ইনকোর্স নম্বর নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

এবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইনকোর্স নম্বর নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। যার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা নতুন নিয়মে নাম্বার পেতে চলেছেন। এই নতুন পদ্ধতি আর কোন কোন বিষয় কার্যকর করা হচ্ছে সে বিষয় নিয়ে আমাদের পুরো প্রতিবেদনটি সাজানো হলো। যাতে করে একজন শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যান।
বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী। বিভিন্ন করছে ভর্তি হলে অন্যতম একটি কোর্স আছে ডিগ্রী পাস কিংবা ডিগ্রী সার্টিফিকেট শিক্ষার্থীরা। যেখানে প্রায় সারা বাংলাদেশের লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন এবং তাদের পড়াশোনা চলমান রয়েছে। মূলত এটি হচ্ছে একটি তিন বছরের কোর্স। অন্যদিকে অনার্সের চার বছরে কোর্সে হয়েছে প্রচুর শিক্ষার্থী। কিন্তু অনার্স কোর্সের চেয়ে ডিগ্রি কোর্সের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে এই ডিগ্রিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে চলেছে এই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত পরীক্ষার পাশাপাশি রয়েছে ইন কোর্সের ব্যবস্থা। পরীক্ষার পরিবর্তন আনতে চলেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বোর্ড। আমরা যে বিষয়টি আলোচনা করছি সেটি হচ্ছে সম্পূর্ণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বোর্ডের আলোচনা। অর্থাৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য মাত্র।
ইনকোর্স নম্বর নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যারা ডিগ্রিতে পড়াশোনা করছেন তাদের জন্য এই নোটিশ। ইনকোর্স পরীক্ষায় নম্বর পেতে হলে অবশ্যই তাদের নিয়মিত ক্লাস করতে হবে। নোটিশটি অনেকটা বাধ্যতামূলকভাবে করা হয়েছে। ক্লাসে উপস্থিতি এবং ইনকোর্স এই দুই মানদণ্ডে মূল্যায়ন করা হবে শিক্ষার্থীদের। উপস্থিত এবং ইনকোর্স নম্বর ছাড়া কোন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করা হবে না এ বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ইনকোর্স পরীক্ষায় ১৫% এবং ক্লাসে উপস্থিতিতে ৫% নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করতে হবে। প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের জন্য ২০% নির্ধারণ করা হবে।
এ বিষয়টি করার অন্যতম কারণ হিসেবে শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন যে অনেকেই ডিগ্রিতে নিয়মিত ক্লাস করেন না। অনার্সে নিয়মিত ক্লাস না হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির পরিমাণ দ্বারা প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি কিন্তু অন্যদিকে ডিগ্রিতে এর পরিমাণ ৪০ শতাংশের নিচে। যার কারণে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাসরুম ফাঁকা থাকে এমনকি কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাসও হয় না। ছাত্রীরা এসে শুধুমাত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকেন যার কারণে অনেকের ফলাফল খারাপ হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাই এই নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। যার মাধ্যমে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত নিশ্চিত হবে এবং ফলাফল ভালো হবে বলে আশা করা যায়।
আরোঃ ৪৫ তম বিসিএস চূড়ান্ত ফলাফল
আপনারা ইনকোর্স নম্বর নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত কিভাবে দেখছেন তা জানাতে আমাদের ফেসবুকে মেসেজ করুন। আমরা আপনাদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকবো এবং আপনাদের মন্তব্যকে প্রাধান্য দিব।