গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি: গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করায় বেশ নাম কুড়িয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্টাতা চ্যারম্যান হলেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস। আজ আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব। গ্রামীণ ব্যাংকের লোন সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের প্রকারভেদ।
গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরণের লোন দিয়ে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক যে সব ক্ষেত্রে ঋণ দেয় নিচে উল্লেখ করা হলো।
- গ্রামীণ ব্যাংক কৃষি লোন।
- গ্রামীণ ব্যাংক বাড়ি নির্মাণ লোন।
- গ্রামীণ ব্যাংক গরু ক্রয় করার লোন।
- গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোন।
- গ্রামীণ ব্যাংক মৌসুমি লোন।
গ্রামীণ ব্যাংকের লোন বা কিস্তির শর্ত।
- গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন বা কিস্তি নিতে হলে বিবাহিত হতে হবে।
- নিজস্ব ঘর-বাড়ী থাকতে হবে।
- যেকেউ এই লোনন নিতে পারবেন।
- ৩০ থেকে ৫০ হাজার লোন পাবেন।
কিভাবে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পাবেন?
গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহক হতে হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে কমপক্ষে দুই বছরের লেনদেন থাকতে হবে।
দুই বছরের লেনদেন না থাকলে আপনি এ লোন পাবেন না। লেনদেন থাকলে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা আপনার সাথে নিজ থেকে লোনের ব্যাপারে কথা বলবে।
- কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি
- সিটি ব্যাংক লোন পদ্ধতি
- কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি
- ব্র্যাক ব্যাংক লোন পদ্ধতি
গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোন।
বাংলাদেশের অধিকাংশ লোকই গরিব। তারা ভালোভাবে খেতেই পারেনা। সে জন্য তারা লেখা পড়া চালিয়ে যেতে পারে না। অনেকেই অল্প লেখা পড়া করে ঋড়ে পড়ে। গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে, তাদের লেখা পড়ার উন্নয়নের জন্য লোন প্রদান করে।
গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোন কেন দেওয়া হয়?
শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড। কোন জাতি যত বেশি শিক্ষিত তত বেশি উন্নত। এই উন্নতকরণে, জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য গ্রামীন ব্যাংক লোন দেয়। বাংলাদেশের বেশির ভাগ লোক দরিদ্র। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য লেখা পড়াটা চালিয়ে যাওয়া বেশ দুরূহ ব্যাপার। তারা পড়া লেখা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোন দিয়ে থাকে।
শিক্ষা লোনের হার।
গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষা লোন। গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা লোনের হার অনেক সমৃদ্ধ। গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা লোনে হার হলো ৩৮ হাজার থেকে ১ লাখ পর্যন্ত।
যাদেরকে ঋণ দেওয়া হয়।
গ্রামীণ ব্যাংক সব শিক্ষার্থীদেরকে ঋণ দেয় না। যাদেরকে গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ দেয়;
- মেডিকেল ছাত্র।
- ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র।
- স্নাতক বিষয়ের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
- এমএ/এমএস/এমবিএ/ শিক্ষার্থীরা।
- এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক অন্তর্ভুক্ত ১৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের লোন দেয়।
গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোনের পরিমাণ।
- এমএস/এমবিএ/এমএ ২ বছর মেয়াদি কোর্সের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা কালীন সর্বোচ্চ ৩৮ হাজার টাকা পাবেন।
- স্নাতকের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা কালীন সর্বোচ্চ ৭৭ হাজার টাকা।
- ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৪ বছর মেয়াদি কোর্সে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা
- ইঞ্জিনিয়ারিং এ পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা করে এই ঋণ গ্রহণের সুযোগ পায়।
গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোনের শর্ত
গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোনের বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা লোন পেতে হলে নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।
- গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষ লোন পেতে হল গ্রামীণ ব্যাংকের একজন সদস্য হতে হবে।
- সদস্য হবার সময়কাল ১ বছরের হতে হবে।
- লোন গ্রহীতা শিক্ষার্থীকে ২০থেকে২৫ বছর বয়সী ছাত্র হতে হবে।
- পাবলিক ইউনিভার্সিটির ছাত্র হতে হবে।
- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হলে, বিশেষ সেক্টরে অধ্যানরত ছাত্র হতে হবে।
লোন মাসিক কিস্তিতে পূরণ করতে হবে।
- শিক্ষজীবন শেষ হলে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
- সার্ভিস চার্জ ৫%
গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষ লোনের সুবিধা।
গ্রামীন ব্যাংক শিক্ষা লোনের অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। নিচে আমরা গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোনের সুবিধা তুলে ধরেছি।
- গ্রামীণ ব্যাংকের এ লোনে শিক্ষার্থী যথাযথ সময়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করতে পারেন।
- শিক্ষাজীবনে লোনন পরিশোধ করতে হয় না।
- চাপ কম থেকে।
- ৫% সার্ভিস চার্জ।
- মাসিক কিস্তিতে লোন পরিশোধ করা যায়।
- ঋণের পরিমান কম হওয়ায়, খুব তাড়াতাড়ি ঋণ পরিশোধ করা যায়।
আশা করি গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ব্যাংক লোন ও বিস্তারিত পদ্ধতি জানতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
গ্রামীণ ব্যাংক অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ভিজিট করুন