বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি বাংলাদেশে | Business ideas in Bangladesh 2022

সেরা ১০ টি ব্যবসার আইডিয়া এবং বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি বাংলাদেশে। আজ আপনাদের সামনে ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা, Business ideas in Bangladesh, আমাদের মধ্যে যে ব্যবসা করতে চাই তবে শুরুটা কোথায় থেকে করব সেটা অনেকেরই বুঝে আসে না, কি নিয়ে ব্যবসা করব? এই ব্যবসার মাধ্যে লাভ হবে কি নি‌?

এধরনের নানা টেনশনের কারনে আমরা ব্যবসা শুরু করতে পারে না তাই এই পোস্টে কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া আপনাদের কাছে শেয়ার করব যেগুলো আপনারা অনেকে সহজে শুরু করতে পারবেন এবং অবশ্যই আপনার জন্য লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠবে এক সময় চলুন তাহলে শুরু করি।

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা 2022

ব্যবসার আইডিয়া

ট্রাভেল এজেসন্সি লাভজনক ব্যবসা

ঘুরে বেড়াতে কে না পছন্দ করে!  আপনি যদি ভ্রমন পিপাসু হন। তাহলে এই ব্যবসা  আপনার জন্য। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে ট্রাভল এজেন্সি আবার ব্যবসা হয় কিভাবে ? আমি বলব অবশ্যই ব্যবসা হতে পারে। উন্নত বিশ্বে তার বুড়ি বুড়ি প্রমাণ রযেছে। জীবন মান উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের আকাঙ্খার পরিবর্তন ঘটে। মানুষ চসে বেড়াতে চায় দেশ থেকে দেশান্তরে।বিশ্ব পর্যটন সংস্থা UNWTO এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধিতে সর্বধিক ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্র সেখানে টুরিস্ট বিজনেস এর জন্য আলাদা কোর্স রয়েছে। তাছাড়া তুরস্ক সহ উন্নত বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই টুরিস্ট ডিপার্টমেন্ট রয়েছে।  WEF এর মতে পৃথিবীতে পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ১হাজার ২৩৫ মিলিয়ন। বাংলাদেশ সরকার পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে ।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “ পর‌্যটন উন্নয়ন প্রকল্প ২০১৫-১৮ ”যেখানে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে ২০২৫ সাল নাগাদ। পরিসংখ্যান বলছে ২০৫০ মোট জিডিপির ১০ আসবে সরকারে পর্যটন খাত থেকে। বুঝতেই পারছেন কি রকম সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। প্রয়োজন হলে কিছু কোর্স ও করে নিতে পারেন অনলাইনে।

ট্রাভেল এজেসন্সি সুবিধা সমুহ

  • ১. পর্যটকের সাথে আপনিও চেসে বেড়াতে পারবেন পৃথীবরি কানায় কানায়।
  • ২. এ ব্যবসা অনকে লাভ জনক , রোকসানের ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
  • ৩. এ ব্যবসার মাধ্যমে অন্যান্য সাইট ব্যবসা ও করতে পারবেন আপনি যেমন  পর‌্যটকদের সাধারণ পানি, খাদ্য , ট্রান্সপোর্ট ইত্যদির প্রয়োজন হয়। তখন আপনি ঐ সমুস্থ সাপ্লাইয়ার কোম্পানির সাথে বিনা পুজিঁতে চুক্তি বিত্তক ব্যবসা করতে পারবেন।

অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় ২০২২

ট্রাভেল এজেসন্সি লাভজনক ব্যবসার অসুবিধা সমুহ:

১. টুরিস্টদের নিরাপত্তার বিষয়টা অনেক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জিং হয়ে পরে।

২. টুরিস্টদের আকর্ষণ করাও অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ।

৩. পরো দেশের টুরিস্ট স্পট সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা থাকতে হবে।

৪. কমিউনিকেশন স্কিল অনেক ভালো থাকতে হবে।

এটি অত্যান্ত লাভজনক ব্যবসা যদি আপনি সুন্দর একটি স্টাকচার গঠান করতে পারেন এবং ভ্রমন পিপাসুদের আকর্ষণ করতে পারেন।যারা ভ্রমনে বের হয় তাদের আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো থাকে আর ভ্রমনে বের হলে মানুষ টাকা খরচ করতে কোনটাসা করে না।

ফ্যাশন হাউজের লাভজনক ব্যবসা

আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলন রয়েছে যে, সখের তুলা আশি টাকা, অর্থাৎ মানুষ সখের বসে অরেক কিছুই কিন যদি সেটার দাম তুলনা মুলক ভাবে একটি বেশি হয়।এটি অত্যান্ত্য লাভজনক ব্যবসা তবে তার জন্য আপনাকে একটি সু্ষ্ট পরিকল্পনা দরকার। সামাজিক পরিবেশ বিবেচনায় রেখে  আপনাকে আগাতে হবে। ঐচিত্যবোধ এই ব্যবসার মূল চাবিকাঠি। তবে প্রত্যেক ব্যবসার মত এই ব্যবসায় ও আপনাকে দৈর্য ধারণ করতে হবে।  আনুমানিক এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা হলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

ফ্যশন হাউজের ব্যবসা লাভজনক  হওয়ার কারণ:

ফ্যাশন হাউজগুলো সাধারণত ধনীদের সপ বলে বিবেচিত হয়। এলিট শ্রেনির লোকেরা ফ্যাশনের প্রতি অধিক গুরত্ব দিয়ে থাকে।ফ্যাশনেবল পন্যের দাম তুলনা মুলক ভাবে একটু বেশি দামে বিক্রয় করা যায়। যুবক যুবতীদের মধ্যে ফ্যাশনের প্রতি ঝুক একটু বেশী দেখা যায়।

  • ২. আপনি চাইলে অনলাইন অফলাইন দুই ভাবেই এই লাভজনক ব্যবসাটি করতে পারেন।
  • ৩. অপচনশীল দ্রব্য তাই ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভানা নেই।
  • ৪. টেক্সটাইল শিল্পে বাংলাদেশ পুরো বিশ্বে ২য় তাই কাপড়ের দাম এখানে ভাবে কম।
  • ৫. আপনি চাই পার্শবর্তী দেশে এক্সপোর্ট করতে পারেন।

ফ্যশন হাউজের ব্যবসায় চ্যালেঞ্জ সমুহঃ

১. ফ্যশন শপটি খুলতে হবে শহরে গ্রামে এর চাহিদা কম। আর শহরে সেন্টর প্লেইসে একটি দোকন ভারা নেয়ার জন্য অনেক বেশি টাকা এডভান্স পে করতে হয়।

২. দোকনকে পেশনেইট ও আকর্ষণীয় করে তুলতে হয়। তার জন্য বড় একটা এমাউন্ট এর প্রয়োজন হয়।

দুধের ব্যবসা

দুধের ব্যবসা অত্যান্ত লাভ জনক। বাংলাদেশের বরেন্দ্র বেলাভুমি যেমন পাবনা,রাজশাহী, ঝিনাইদই ইত্যাদি প্রত্যান্ত অঞ্চলে গাভীর খাটি দুধ পাওয়া যায়। সকল প্রকার ভেজাল মুক্ত। আপনি চাইলে সেখান থেকে পাইকারি দুধ  ক্রয় করে বাংলাদেশ প্রত্যান্ত অঞ্চলে বিক্রি করতে পারেন। যেখানে পাবনা, ঝিনাইদহে প্রতি লিটার দুধের দাম ৩০-৪০ টাকা সেখানে অন্য জেলায় সেটি ৯০-১০০ টাকা।মোটিমোটি এক লক্ষ টাকা হলে ব্যবসাটি আপনি করতে পারেন।তবে দুধ কিভাবে সংরক্ষণ ও বাজারযাত করতে হয় সে বিষয়ে আপনার জ্ঞান থাকতে হবে।

দুধের ব্যবসা সুবিধা হচ্ছে:

আপনি অনলাই অফরাইন দুই ভাবেই ব্যবসা করতে পারবেন।

বিভিন্ন জেলায় সাপ্লাইয়ার নিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসাটি সমপ্রসারণ করতে পারবনে। প্রাথমিক অবস্থায় এক দুইজন ডেলিভারি বয় এর প্রয়োজন পরবে। আপনি চাইলে একটু কম লাভে সরাসরি কোম্পানির কাছে বিক্রয় করতে পারবেন।

স্টক এক্সচেঞ্জ ব্যবসা (Stock Market)

নাম শুনেই বুঝতে পারছেন নিশ্চই।  প্রত্যেক সিজনে মাল স্টককরে রাখা পরবর্তীতে দাম বাড়লে বিক্রয় করা। আপনি নিশ্চই ভয় পাচ্ছেন যে, যদি মালের দাম না বাড়ে?. আমি বলব ভয়ের কোন কারণ নেই। কোম্পানির লোকেরাই আপনাকে বলে দিবে যে ভাই আগামী মাস থেকে বা পড়ের মাসে মালের দাম বাড়বে। আপনি এখন কিছু  স্টক করে রাখতে পারেন। আপনি নিশ্চিন্ত হয়ে স্টক করতে পারেন ।

যেমন রমজান মাসে সওয়াবিন তেল, চোলা ইত্যাদির  গুসারি পণ্যের  দাম অন্য মাসের তুলনায় একটু বেশি  থাকে ।তাই আপনি চাই রমজানের দুই এক মাস পূর্বে পণ্য স্টক করে রাখতে পারেন ।আবার প্রতি বছর তামাক জাতিয় দ্রব্য যেমন সিগের, বিড়ি, ইত্যাদির দাম সরকার কিছু না কিছু বাড়িয়েই থাকে । তাই আপনি চাইলে স্টক করতে পারেন।  এক্ষেত্রে যদি আপনি এই লাভজনক ব্যবসাটি করতে চান তাহলে আনুমানিক ৫-৬ লক্ষ টাকা হলে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

ঔষধের পাইকারি দোকান

ঔষধের পাইকারি দোকান  ঃ যদি আপনি ইচ্ছে করেন লোকসানের ঝুঁকি ছাড়া ব্যবসা করবেন ,তাহলে বলব আপনি ফার্মেসি হুল সেলের ব্যবসাটি করতে পারেন। এর জন্য যদিও টাকার পরিমান  একটু বেশি তবে ১০-২০ লক্ষ টাকা হলে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। তবে আপনি দোকান যে কোন বিভগীয় শহর কিংবা জেলা শহরে দেকান নিবেন।  এ ধরনের ব্যবসার জন্য স্টক হোম বা গোদাম থাকা ভালো।

ফার্মেসি হুল সেল কেন ঝুঁকিহীন লাভজনক ব্যবসাঃ

১. আপনি পণ্য ডেমিজ হওয়া কিংবা মেয়দ উত্তীর্ণ হওয়ার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত কারণ  কোম্পানি আপনার  এ  দায়ভার  বহন করবে। আপনাকে সম মূল্যের পণ্য ফিরত দিবে।

২. অধিক মুনাফা লাভ করা যায়।  সর্বনিম্ন আপনার লাভের পার্সেন্টেজ থাকবে ১৫%।

৩. কোম্পনির থেকে আপনি চাইলে ক্রেডিটে মাল তুলতে পারবেন। মাস শেষে  টাকা পরিশোধ করবেন। ফলে আপনাকে টাকার গারতির জন্য বাড়তি চাপ নিতে হবে না।

৪. গুড সেলার হলে কোম্পানি আপনার নামে একটি খাতা খুলবে সেখানে আপনাকে ডিসটিংকশন হিসাবে বিবেচনা করে কম রেটে পণ্য সেল দিবে আপনাকে।

কোচিং সেন্টার (টিউশনি)

কোচিং সেন্টারঃ বর্তমানে যদি বলি বিনা পুঁজিতে কোন ব্যবসা রয়েছে কি না, বলতে হবে হ্যা রয়েছে সেটি হচ্ছে কোচিং সেন্টা ব্যবসা। আপনি পারলে নিজে কিংবা ভালো দুজন শিক্ষক রেখে ব্যবসাটি চালু করতে পারেন। এটি অত্যান্ত লাভজনক ব্যবসা। কারণ উন্নত বিশ্বে শিক্ষা অর্থ উপার্জনের উত্তম মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আমেরিকান শিক্ষকরা  তো বলেই থাকেন আমরা অর্থের বিনিময় শিক্ষা বিক্রি করে থাকি। আর এ কারনেই তো আপনার যদি টাকা  থাকে আর আপনি যদি চান ,অক্সফোর্ড কিংবা MiT তে পড়বেন তাহলে একটু চেষ্টা করলেই পারবেন। তাই এ দেশে শিক্ষাকে পুঁজি করে টাকা উপার্জন করা দোষের কিসের!

বিনা পুঁজিতে একটি রোম ভারা নিয়ে, কয়েকটি স্কুলে বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দিলেই ছাত্র পেয়ে যাবেন আপনি। প্রথম প্রথম একটু বেশি কষ্ট করতে হতে পারে । কিন্তু কিছুদিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু প্রথমে আপনাকে ঠিকে থাকতে হবে। এ ব্যসার মাধ্যমে আপনি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অর্গানিক ফার্ম এর ব্যবসা

অর্গানিক ফার্মঃ সুস্থ থাকতে কে না চায় ! তাই তো সবাই শুধু ভেজাল মুক্ত পণ্য খুজে। মানুষ সুস্থ থাকার জন্য হলেও আপনার কাছে আসবে। রাসায়নিক সার ব্যবহার ছাড়া আপনার পণ্যের উৎপাদন যদিও কম হবে কিন্তু মানুষ একটু দাম বেশি হলেও আপনার কাছ থেকে পন্য নিবে। এ ব্যবসায় যত আপনি নিজের শ্রম ও অর্থ যোগান দিবেন ততই লাভ পাবেন। ৩০-৪০ হাজার টাকা হলে আপনি ব্যবসটি শুরু করতে পারেন। যদি আপনার নিজের জমি থাকে তাহলে আপনার খরচটাও কমে আসবে। নিজের শ্রম ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি চাইলে সফল হতে পারেন। তাছাড়া অর্গানিক ফুডের চাহিদা  পুরো বিশ্বে ব্যপক আপনি চাইলে বড় প্রিরসিরে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। ইন্ডিয়া যুক্তরাজ্য , গ্রিস সব দেশেই এখন ব্যপক ভাবে অর্গানিক ফার্ম খুলা হচ্ছে।

পাটের ব্যাগ এর ব্যবসা

বিশ্বজুড়ে মানুষ বর্জ ব্যবস্থানার প্রতি জুড় দিচ্ছে। উন্নত বিশ্ব এমন কি পৃথিবী জুড়ে পালাস্টিকের ব্যবহারর কমিয়ে আনা হচ্ছে।  পরিবেশ বান্দব পাটের ব্যাগ আপনার জন্য অধিক লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।  বাংলাদেশ পাট উৎপাদ বিশ্বে ২য় স্থানে রয়েছে। তাই পাটের দাম খুবই কম। এক থেকে দের লক্ষ টাকা হলে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।   ছোট একটি ঘর নিয়ে সমুস্ত যন্ত্রপাতি ইন্সটল করতে পারেন। পরো বিশ্বে  এর ব্যপক চাহিদা রয়েছে।

HM Mahfuj

Mahfujur Rahman is the founder of this Blog. He is a Professional Blogger and SEO Expert, who is interested in SEO, Web Programming. If you need any information related to this website, then you can feel free to ask here. It is our aim that you get the best information on this blog.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button