বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন, বিশ্ব ইজতেমা কবে শুরু হবে, কখন থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা, কোন ভাষায় বিশ্ব ইজতেমার বয়ান হবে এবং এবারের বিশ্ব ইজতেমায় কি কি ব্যবস্থা থাকছে আগত মুসল্লিদের জন্য এ সব কিছু নিয়ে আজকের গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেল।
বিশ্ব ইজতেমা শুরু হতে যাচ্ছে প্রতি বারের মতো এই বছরেও এবং তাবলীগী সাথীরা ১৬০ একর জায়গার বিস্তৃত ময়দানের বিশাল এই শামিয়ানা টানানোর কাজ ও শেষ করে নিয়েছেন।
বিশ্ব ইজতেমার জন্য তুরাগ নদীর উপর বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবছর তৈরি করছেন পন্টুন সেতু। আর এই সেতু দিয়ে সাময়িকভাবে বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করার সুযোগ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা জানতে পেরেছি যে বিশ্ব ইজতেমার বিশাল ময়দানের প্রতিটি খিত্তা-ভিত্তিক মাইক বাঁধার এবং বৈদ্যুতিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ শুরু কবে কখন থেকে?
মহান রব্বুল ‘আলামীনের অশেষ মেহেরবানী উলামায়েকেরামের নেতৃত্বে এই বার বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ পুরো বাংলাদেশের সকল জেলার ইজতেমা এক সাথে অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। এবারের বিশ্ব ইজতেমা তারিখ হচ্ছে ১৩ই জানুয়ারী ২০২৩ তারিখ শুক্রবার থেকে ২২শে জুমাদাল উখরা, ১৪৪৪ হিজরী মুতাবেক ১৫ই জানুয়ারী ২০২৩ রবিবার পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা যথারীতি চলবে। অর্থাৎ বিশ্ব ইজতেমা ১৩,১৪,১৫ জানুয়ারী ২০২৩।
প্রতি বছর সাধারণত বৃহঃবার আসর থেকে উলামায়ে কেরামের মূল্যবান নসীহতের মাধ্যমে শুরু হয়ে থাকে বিশ্ব ইজতেমা এই বছর ও ঠিক একই নিয়মে শুরু হবে ২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমা।
বিশ্ব ইজতেমার ম্যাপ নিচে দেওয়া হলো:
বিশ্ব ইজতেমায় কি কি ব্যবস্থা থাকছে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য?
এ বছর বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ১২টি উৎপাদন নলকূপের মাধ্যমে ১২ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে সাথে সাথে ওজু-গোসলের হাউজ ও টয়লেটসহ প্রয়োজনী স্থানে বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হবে, এবং বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের চারিদিকে পাকা দালানে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে আগে থেকেই। বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ ও ২৫টি ফগার মেশিনে মশক নিধনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের মুরব্বি মাহফুজুর রহমান বলেন, বিশ্ব ইজতেমার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আগত মুসল্লিরা আসার পর জেলাওয়ারি খিত্তায় অবস্থান করবেন। এবং প্রত্যেক বারের মতো এবারও উর্দু ভাষায় বয়ান করা হবে এবং বিশ্ব ইজতেমা আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ও আরবি ভাষায় ট্রান্সলেট করা হবে।
মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন (শহীদ আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক) বিশ্ব ইজতেমা মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা থেকে শহীদ আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করবে বলে তিনি জানান।
বিশ্ব ইজতেমায় অসুস্থদের পরিবহনের জন্য ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে। এবং জিএমপি কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এবছর সাড়ে সাত হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের চতুর্দিকে। তাছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও রুফটপ থেকে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশ্ব ইজতেমার প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন এই তিনদিন।
অসুস্থ, বৃদ্ধরা কিভাবে বিশ্ব ইজতেমা শরীক হবেন?
বাংলাদেশের অনেক অসুস্থ বৃদ্ধ মানুষ রয়েছেন যারা ইজতেমার মাঠে অংশগ্রহণ করতে চান কিন্তু অসুস্থতার কারণে বিশ্ব ইজতেমায় শরিক হওয়া কষ্টদায়ক তাই অসুস্থ, বৃদ্ধ, নাবালেগ ও মহিলা তারা বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করার জন্য না গিয়ে, আপনার ঘরে বসে বিশ্ব ইজতেমার জন্য আল্লাহর দরবারে নফল নামায, যিকির-তিলাওয়াত, দু‘আ-ইস্তেগফার মাধ্যমে অংশগ্রহণ আমরা করি। আমরা সবাই আল্লাহ রাববুল ‘আলামীনের নিকট বিশ্ব ইজতেমার সফলতার জন্য নিজে দু‘আ করি এবং সবাইকে দু‘আ করার জন্য দাওয়াত দেই।