আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় বীর শহীদ আবু সাঈদ চত্বর রংপুর সম্পর্কে। কারণ আবু সাঈদের নামে তৈরি করা হয়েছে একটি রাস্তার চত্বর এখন থেকেই সে রাস্তার নামকরণ করা অনুসারে টাকা হবে এই মোড়কে। চলুন এখন আমরা এই বিষয় সম্পর্কে জেনে নেই আরো অন্যান্য তথ্যগুলো।
বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলমান রয়েছে। আর এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলছে বিভিন্ন ধরনের আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণগুলো। বেশ কয়েক বছর ধরে এই আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলন আরো জোরালো হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সে আন্দোলনটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছে। পূর্ববর্তী আন্দোলন শুধু ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধতা থাকলেও এখন রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলের আন্দোলনগুলো হয়ে আসছে। এ আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। আর এই সংঘর্ষে আহত হয়েছে প্রায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে যুক্ত রয়েছে সাধারণ মানুষেরাও।
বীর শহীদ আবু সাঈদ চত্বর রংপুর
এ আন্দোলনরত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে অনেকেই শহীদ হয়েছেন। তার মধ্যে যে মর্মান্তিকভাবে শহীদ হয়েছেন তিনি হচ্ছেন অন্যতম একজন আবু সাঈদ। রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় তিনি ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করতেন। তারা নয় ভাই বোন ছিলেন। পিতা একজন দিনমজুর। তার অন্যান্য ভাই গুলো পড়াশোনা না করতে পারলেও তাকে পড়াশোনা করানো হয়েছে এই পর্যন্ত। নিজের চেষ্টাও এবং মেধা দ্বারা এ পর্যায়ে এসেছেন। তার এলাকার লোকজনের তথ্য অনুসারে তিনি পঞ্চম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন, এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছেন। আর এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ ৫ পেয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছেন।
আরো দেখুনঃ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
গত পরশু তিনি আন্দোলনের যোগদান করেন এবং পুলিশের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। এ সময় তাকে একটি গুলি করা হয় ঠিক পরবর্তী সময়ের মধ্যেই আরেকটি গুলি করা হয় তাকে। সঙ্গীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেছিলেন কিন্তু তিনি তার মধ্যে মারা গিয়েছেন। আর তুমি মারা গিয়েছেন রংপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ চত্বরে। আন্দোলনে এই শহীদ আবু সাঈদ ষকে সম্মান জানিয়ে শিক্ষার্থীরা এবং ওই অঞ্চলের মানুষেরা চত্বরকে তার নামে নামকরণ করে দিয়েছেন।