বেসরকারি শিক্ষক অবসর ভাতার হিসাব, অবসর ভাতার নিয়ম, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীর অবসর ভাতা সুবিধা বোর্ড গঠন করা হয় ২০০২ সালের ২৭ নং আইনের মাধ্যমে।
অবসর সুবিধা বোর্ড চালু করা হয় ধারা ১৫ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রনীত প্রবিধান ২০০৫ অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীর জন্য।
অবসর ভাতার প্রবিধানমালা ২০০৫
প্রবিধানমালা ২০০৫ এর উপ- প্রবিধান১০ (১) অনুযায়ী এমপি ও ভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের এমপি ও থেকে ৬% টাকা সঞ্চয় করে অবসর সুবিধাদি প্রদান করা হয়ে থাকে।
শিক্ষক কর্মচারী বৃন্দ সঞ্চয় ভাতা থেকে যে পরিমাণ টাকা কাঁটা হবে
প্রিয় শিক্ষক কর্মচারী বৃন্দ সঞ্চয় এর জন্যে ৬% টাকার কথা বলা হলেও মূলত ১০% টাকা কাটা হয় । তবে এই ৪% টাকার ব্যাখা দিতে পারে নি অবসর কল্যানবোর্ড ।
নিম্মের সুবিধাদি প্রাপ্য হবার জন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগনের মাসিক বেতন ভাতার সরকারি অংশ প্রদান করলে প্রত্যেক শিক্ষক কর্মচারীর মূল বেতনের ৪% হারে অবসর সুবিধা চাঁদা হিসেবে কর্তন করা হবে যা বাধ্যতামূলক।
বেসরকারি শিক্ষক অবসর ভাতার হিসাব ২০২৪
২০০৫ সালের অবসর সুবিধাদি প্রবিধানমালা মোতাবেক এমপিও ভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাঁদা প্রদান কারী কোন শিক্ষক কর্মচারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর চাকুরী হতে অবসর গ্ৰহন করলে তিনি এমপি ও ভুক্ত হবার পর যত বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ চাকরি করেছিলেন তাহার ভিত্তিতে নিম্নোক্ত ভাবে এককালীন আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
১,। ১০ বছর বা তদূর্ধ্ব ১১ বছর এর কম চাকুরী কালের জন্য ১০ মাসের মূল বেতনের সম পরিমাণে র অর্থ তিনি পাবেন।
২, । ১১ বছর বা তদূর্ধ্ব ১২ বছরের কম চাকুরী কালের জন্য ১৩ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ তিনি পাবেন।
৩, । ১২ বছর বা তদূর্ধ্ব ১৩ বছরের কম চাকুরী কালের জন্য ১৬ মাসের মূল বেতনের সম পরিমাণে র অর্থ পাবেন।
৪. । ১৩ বছর বা তদূর্ধ্ব ১৪ বছরের কম চাকুরী কালের জন্য ১৯ মাসের সমপরিমাণ অর্থ তিনি পাবেন।
৫.। ১৪ বছর বা তদূর্ধ্ব ১৫ বছরের চাকুরী কালের জন্য ২২ মাসের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।
৬. । ২৫ বছর বা তদূর্ধ্ব চাকুরী কালীন সময়ে এর ৭৫ মাসের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।
আবার বলা হয়েছে চাঁদা প্রদান কারী কোন শিক্ষক কর্মচারী চাকুরী কালীন সময়ে মারা গেলে তাহার পরিবার উক্ত শিক্ষক কর্মচারীর এমপি ও ভুক্ত হবার যতবছর চাকুরী করিয়াছেন তাহার ভিত্তিতে উপ প্রবিধান (১) এর বর্ণীত হারে অবসর সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
পরিশেষে একথা বলতে চাই আপনারা যারা আমার এই ছোট লিখাটা পড়বেন যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন।
মোবাইলের মাধ্যমে সহজেই আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম: জিপিএফ ব্যালেন্স চেক