Android Studio কি? অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন ২০২৩

অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও টিউটোরিয়ালঃ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে কার্যকরী এবং শক্তিশালী একটি সফটওয়্যার হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও (Android Studio)।

যদি আপনি Android app Development কে কেন্দ্র করে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য সে পথ খোলা রয়েছে। এমনিতেও এই ক্যারিয়ারে বর্তমানে বেশ চাহিদা রয়েছে বলা যায়।

Android Studio সম্পর্কে বিস্তারিত টিউটোরিয়াল।

বর্তমান বিশ্বে App development এর মাধ্যমে নিজেদের সফল ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছেন এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে। আর তাই যদি আপনিও এই সেক্টরে আসতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে বলবো নিসন্দেহে আপনি কোনো খারাপ সিদ্ধান্ত নেন নি।

App Development নিয়ে রিসার্চ করলে নিশ্চই Android Studio এর নাম শুনে থাকবেন।  এটি এমন একটি সফটওয়্যার যেটিকে ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রথম অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে ফেলতে পারবেন।

তবে একজন নতুন ব্যক্তি সহজে বুঝতে পারেন না এর বেসিক দিকগুলো সম্পর্কে। মূলত এই আর্টিকেলটা থাকছে বেসিক বিষয়গুলো নিয়ে। অর্থাৎ AppDevelopment এর শুরুটা আপনি এন্ড্রয়েড স্টুডিও এর দ্বারা কিভাবে করতে পারবেন, কোর্স কোথা থেকে করতে পারেন ইত্যাদি।

এছাড়াও বোনাস টিপস হিসেবে আপনাদের জন্য App Development সেক্টরের লাভজনক তিনটি ক্যারিয়ার অপসন থাকছে।  অর্থাৎ App Development সেক্টরে একজন প্রোগ্রামার এর জন্য কি কি সুযোগ থাকতে পারে সেটিই আপনাদের শেষে বলবো।

মূলত আমরা Android Studio ব্যবহার করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবো, সেজন্য চলুন বেসিকালি ‘Android Studio কি?’ এই বিষয়ে জেনে নেই প্রথমে।

অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও কি?

Android Studio ২০১৩ সালে একটি Google I/O কনফারেন্সে প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল। এটি অ্যান্ড্রয়েড এর অফিসিয়াল IDE, সহজ ভাষায় বলতে পারেন এটি এমন এক ধরনের সফটওয়্যার যেটির দ্বারা আপনারা একটি android app তৈরি করে ফেলতে পারেন কোনো ঝামেলা ছাড়া।

একটি অ্যাপ তৈরি করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের টুল এবং ফিচার এখানে আপনারা পাবেন। অনেকেই Android Studio ব্যবহার করে তাদের অ্যাপ তৈরি করতে পেরেছেন। সুতরাং আপনিও অবশ্যই চাইলে পারবেন।

এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে অ্যাপ তৈরি করতে হলে প্রথমে আপনাদের এই সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ইনস্টল করে নিতে হবে।

কিভাবে Android Studio ইনস্টল করবেন?

Android Studio ইনস্টল করার পূর্বে আপনার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে Java Development Kit (JDK) ইনস্টল করা থাকা লাগবে। নিচে আমি Java Development Kit ডাউনলোড করার লিংক দিয়ে দিচ্ছি, অন্যান্য সব সফটওয়্যার এর মত ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন।

 

JDK ইনস্টল করা হয়ে গেলে এখন আপনি Android Studio সফটওয়ার ইনস্টল করতে পারবেন। নিচে দেওয়া লিংক থেকে গিয়ে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন।

  • Android Studio Download Link: (https://developer.android.com/studio)

অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও টিউটোরিয়াল/কোর্স কোথায় পাবেন?

Android Studio ব্যবহার করে কিভাবে একটি Android App তৈরি করা যেতে পারে সেটি আর্টিকেল এর মাধ্যমে বলতে গেলে আর্টিকেলটা অনেক বড় হয়ে যেতো।

এছাড়াও এগুলো ততটা সহজ কাজ নয় যে আপনি আর্টিকেল পড়ে পড়ে একটি অ্যাপ সহজেই তৈরি করে ফেললেন। অ্যাপ তৈরি করার আগে কোনো প্রাকটিক্যাল ট্রেনিং বা টিউটোরিয়াল দেখতে পারলে আপনার জন্য বিষয়টা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

Android Studio free course

তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও টিউটোরিয়াল পাবো কোথায়?

এমনিতে আপনি ইউটিউব, গুগলে রিসার্চ করলে অসংখ্য টিউটোরিয়াল পাবেন, কিন্তু বেশিরভাগ টিউটোরিয়াল ইংরেজি এবং হিন্দিতে দেওয়া। আমরা খুব কম মানুষ আছি যারা ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষা বুঝতে সক্ষম।

তবে চিন্তার কারণ নেই আমি নিচে আপনাদের এন্ড্রয়েড স্টুডিও টিউটোরিয়াল এর একটি প্লে লিস্ট দিয়ে দিচ্ছি। এখানে পার্ট পার্ট করে টিউটোরিয়াল দেওয়া আছে। সম্পূর্ণ বাংলায় আপনি এই টিউটোরিয়াল গুলো দেখে android studio দ্বারা অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন।

 

 

আশা করছি ইউটিউবের এই সম্পূর্ণ টিউটোরিয়াল দেখে আপনারা android studio এর ব্যবহার শিখে নিতে পারবেন।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের ৩ ধরনের লাভজনক ক্যারিয়ারঃ

আমি ধরে নিলাম আমি প্রাকটিক্যাল টিউটোরিয়াল দেখে অ্যাপ তৈরি করা বা অ্যাপ ডেভলপমেন্ট এর বিষয়টা ভালোমতো শিখে গিয়েছেন। অথবা ধরে নিলাম আপনি একজন নতুন প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ শুরু করেছেন এই সেক্টরে।

কিন্তু আপনার এটা জানা নেই যে আপনি এই কাজটি শিখে কোন ধরনের কাজে এটিকে খাটাবেন। অর্থাৎ আপনি একটি অ্যাপ বানিয়েছেন ঠিক কিন্তু কিভাবে এটিকে কাজে লাগিয়ে আপনি রেভিনিউ জেনারেট করবেন সেটা আপনি জানেন না।

আর তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমি নিচে Android app Developer দের জন্য তিনটি দারুন সুযোগ সম্পর্কে আলোচনা করছি।

১. অ্যাপ মনিটাইজ করে আয়

এটি Android App Developer দের জন্য বেশ কমন একটি উপায় বলা যেতে পারে। ধরে নেওয়া যাক আপনি Android App তৈরি করতে পারেন, কিন্তু আপনি চাচ্ছেন আপনার অ্যাপটি কোনো মার্কেটপ্লেস তে সাবমিট করতে যাতে গ্রাহকরা সেটি ব্যবহার করতে পারে।

আর আপনিও সেই অ্যাপ যেকোনো পদ্ধতিতে মনিটাইজ করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। ইন্টারনেটে অ্যাপ সাবমিট করার বেশ কয়েকটি মার্কেটপ্লেস অবশ্য রয়েছে।

এমন একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হচ্ছে Google Play Store, এখানে অসংখ্য ডেভলপার তাদের ফ্রী এবং প্রিমিয়াম অ্যাপ সাবমিট করে থাকেন।

একজন অ্যাপ ডেভলপার একটি ডেভলপার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সে অ্যাকাউন্ট দ্বারা play Store এ আনলিমিটেড অ্যাপ সাবমিট করার সুযোগ পেয়ে থাকে, এক্ষেত্রে একজন ডেভলপারকে এককালীন ২৫ ডলার পে করতে হয়।

এরপর আপনার কাজ হচ্ছে আপনার অ্যাপ মনিটাইজ করে এটি থেকে রেভিনিউ জেনারেট করা অর্থাৎ ইনকাম করা। মূলত তিনটি কমন উপায়ে ডেভলপাররা তাদের অ্যাপ মনিটাইজ করে থাকেন। নিচে তিনটি উপায়গুলো উল্লেখ করা হলোঃ

১. Google Admob

আপনি যখন গুগল প্লে স্টোর থেকে কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে সেটি ব্যবহার করবেন, তখন লক্ষ করবেন সেখানে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে। বিজ্ঞাপন অ্যাপ এর মধ্যে যেকোনো জায়গায় দেখানো হতে পারে। Android App ডেভলপাররা তাদের তৈরিকৃত অ্যাপ গুগল এডমভ দ্বারা মনিটাইজ করার মাধ্যমে সেটিতে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ পেয়ে থাকে। এই বিজ্ঞাপন থেকে অর্জিত অর্থের ৪৯ শতাংশ গুগল নিয়ে নেয় এবং বাকি ৫১ শতাংশ পেয়ে যান অ্যাপ ডেভলপাররা।

২. In App Purchase

অ্যাপ ডেভলপাররা আয়ের আরো একটি লাভজনক উৎস হচ্ছে In App Purchase সিস্টেমটি। আপনি বিভিন্ন অ্যাপে দেখে থাকবেন সেখানে যদিও ফ্রী সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে কিন্তু যদি আপনি এডভ্যান্স কোনো সুবিধা ভোগ করতে চান তাহলে আপনাকে সেগুলো টাকা দিয়ে কিনে নিতে হবে। অর্থাৎ অ্যাপের মধ্যে যে সার্ভিস গুলো বিক্রি হয় সেটিই। এই ইনকাম এর ৩০ শতাংশ গুগল রেখে দেয় এবং বাকি ৭০ শতাংশ পায় ডেভলপাররা।

 

৩. Premium App Sell

 

Play Store এ এমন অনেক অ্যাপ পাবেন যেগুলো প্রিমিয়াম। অর্থাৎ সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে আপনাকে সেগুলো কিনে নিতে হবে। গ্রাহক তার প্রয়োজনে এই ধরনের অ্যাপ টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারে। এটি ডেভলপারদের জন্য আরো একটি আয়ের উৎস।

 

২। ফ্রিল্যান্স অ্যাপ ডেভলপার

 

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একজন App Developer এর চাহিদা অনেক। আপনি চাইলে বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে তাদের কাস্টম অ্যাপ তৈরি করে দিতে পারেন। কোম্পানিরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে ডেভলপার হায়ার করে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর জন্য অ্যাপ তৈরি করিয়ে নিয়ে থাকে। এ ধরনের কয়েকটি মার্কেটপ্লেস হচ্ছে Fiverr, Upwork, Freelancer ইত্যাদি।

৩। ফিক্সড চাকরি

এমন অনেক কোম্পানির মালিক আছে যারা তাদের কোম্পানির জন্য একজন দক্ষ App Developer রাখেন। ফিক্সড জব হিসেবে কোম্পানিগুলো ডেভলপার হায়ার করে থাকে, আপনার যদি এই সেক্টরে দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি এমন প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি করতে পারেন।

উপসংহার

আজকে আমরা অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও দ্বারা অ্যাপ তৈরি করার বেসিক গাইড পেলাম পাশাপাশি জানলাম এই সেক্টরের লাভজনক কয়েকটি আয়ের সুযোগ সম্পর্কে।

এই বিষয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে মন্তব্য করবেন।

HM Mahfuj

Mahfujur Rahman is the founder of this Blog. He is a Professional Blogger and SEO Expert, who is interested in SEO, Web Programming. If you need any information related to this website, then you can feel free to ask here. It is our aim that you get the best information on this blog.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button