সরকারি ভাতা আবেদন করতে কত টাকা খরচ হয়

বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন ভাতার আবেদন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এখন সবার একটি কমন জিজ্ঞাসা সরকারি ভাতা আবেদনের কত টাকা খরচ হয়। এই আবেদন করতে কত টাকা লাগে সে বিষয়টি।

এই প্রতিবেদনটিতে আমরা সে বিষয় সম্পর্কে জানাবো। কেননা অনেকেই কয়েক হাজার টাকা দিয়ে আবেদন করছেন যার কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। আমরা এই প্রতিবেদনে ভিন্ন ধাপে তুলে ধরার চেষ্টা করব। যাতে করে খুব সহজেই আপনারা নিজেরাই এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন এবং কম খরচে আবেদন করতে পারেন।

এছাড়াও আমরা পরবর্তী একটি আর্টিকেলে সরকারি ভাতার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তুলে ধরব। যাতে করে নিজেরাই আবেদন করতে পারেন অথবা আপনার নিকটস্থ যে কারো আবেদন করে দিতে সক্ষম হন। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদি। তাতে যাই হোক এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ প্রসঙ্গ নিয়ে আমরা কেন আলোচনা করছি।

পূর্বে এগুলো ম্যানুয়াল ভাবে আবেদন করার প্রয়োজন হতো এবং ম্যানুয়াল ভাবে সকল কাজ করা হয়ে থাকতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে এখন সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গিয়েছে। আর এখন এই আবেদনগুলো অনলাইনের মাধ্যমে করতে হয় এবং জমা দিতে হয়। তবে ম্যানুয়াল ভাবে কিছু কাজের দরকার হয়েছে সেগুলো খুব সহজেই করা সম্ভব আবার।

সরকারি ভাতা আবেদন করতে কত টাকা খরচ হয়

বাংলাদেশ সমাজসেবা কর্তৃক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং বিনিময় হীন ভাবে বিভিন্ন অর্থ বন্টন করেন। যার মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকা দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন ৬০ বছরের অধিক বৃদ্ধদের জন্য রয়েছে বয়স্ক, ‌প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে প্রতিবন্ধী ভাতা, আর বিধবাদের জন্য রয়েছে বিধবা ভাতা।

তবে অবশ্যই তাদেরকে অন্যান্য সরকারি ভাতার আওতাভুক্ত হওয়া যাবেনা। কারণ একজন ব্যক্তি একাধিক ভাতার আওতাভুক্ত হতে পারবেন না। আর অবশ্যই তাদেরকে গরীব দুস্থ হতে হবে। তাহলেই তারা পেয়ে যাবেন।

এগুলো সমাজসেবার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হয়। আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর ছবি, মোবাইল নম্বর, ভোটার আইডি কার্ড তথ্য এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়। সঠিকভাবে ফরম পূরণের সময় অবশ্যই নির্ভুলভাবে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট দিতে হবে। বেশিরভাগ টাকা গুলো নগদের মাধ্যমে দেওয়া হয়ে থাকে।

তাই পূর্ব থেকে এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। যার নামে মোবাইল নাম্বার এবং একাউন্টটি করতে হচ্ছে তার নামেই মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট গুলো খুলতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার পরে এই কাগজপত্র প্রিন্ট আউট করে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিয়ে জমা দিতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট দিনের পর জানানো হবে আপনি এই ভাতার আওতাভুক্ত হচ্ছেন কিনা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে সরকারি ভাতা আবেদন করতে কত টাকা খরচ হয়। মূলত এই ধরনের আবেদন করতে কোন টাকা খরচ হয় না। দিনে যে করেন তাহলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে করতে পারবেন। আর যদি নিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে যে কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে ১ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে করতে পারবেন। কিছু কিছু দোকানে এর থেকে বেশিও নিয়ে থাকে আবার।

আরোঃ প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি

Jahid Hasan

জাহিদ হাসান পেশায় একজন প্রফেশনাল রাইটার। তিনি স্কলার্সমী নিউজের সাথে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে তিনি এখানে, বিডি জবস এবং শিক্ষাঙ্গনের সব ধরনের নিউজ কাভার করে থাকেন, তিনি সকল নিউজ সততা যাচাই করে স্কলার্সমী নিউজে পাবলিশ করে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button