শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন লাগার কারণ

১৮ই অক্টোবর ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন লাগার কারণ নিয়ে বেশ আলোচনা হতে শুরু করে। মূলত কিভাবে ঢাকা বিমান বন্দরে আগুন লাগল এ বিষয় নিয়ে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। কেননা এটি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন।
ঢাকা বিমানবন্দরে আগুন লাগার ঘটনা
১৮ই অক্টোবর দুপুরের পর থেকে ছড়িয়ে যায় চারদিকে যে টাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো এরিয়াতে আগুন লেগেছে। সে আগুন অল্প থেকে বিশালাকার ধারণ করে এবং তা নিভাতে হিমশিম খায় বিমানবন্দরের ফায় ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট।
যেখানে ছিল বিমান বাহিনীর সদস্যরা। এরপর বিভিন্ন ইউনিট সেখানে আস্তে আস্তে যোগদান করেন এবং আগুনে বাঁধার চেষ্টা করেন। পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার পরেও আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। যার কারণে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করে থাকে। এখানে হচ্ছে এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য, গার্মেন্টস সামগ্রী এবং প্রোডাক্ট আর সার্ভিস।
যার কারণে এখানে অল্প আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই কার্গ এরিয়াতে পুরো ছড়িয়ে যায় আরো অনেক প্রোডাক্ট নষ্ট হয়। বেশ কয়েকটি ভিডিও থেকে দেখা গিয়েছে এখানে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোন বিশেষ করে iphone, ইলেকট্রনিক্স গেজেট গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পুড়ে। যা দেখে অনেকেই হতভম্ব হয়ে যাচ্ছেন।
শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন লাগার কারণ
এখানে যে আগুন লেগেছে তার এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কারণ বের করতে পারেনি কেউ। অর্থাৎ কি কারনে মূলত আগুন লেগেছে সেটা জানা সম্ভব হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে আর কি কারণে আগুন লেগেছে তা জানানো হবে।
এদিকে টানা দুইদিন একসাথে আগুন লাগার ঘটনাকে মানুষ দুর্ঘটনা মনে করছে না। অনেকে মনে করছে এটি একটি পরিকল্পিত কাজ। আবার ঐদিন ১৮ই অক্টোবর বিকেলে বেশ কয়েক জায়গায় আগুন লেগেছে যা অনেকটা সংখ্যা তৈরি করে দিয়েছে সাধারণ জনগণের মধ্যে।
ঢাকা বিমানবন্দরে আগুন লাগার কারণ ক্ষয়ক্ষতি
এখানে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতি হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। এখানে অনেক ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ক্ষতি হয়েছেন। অনেক উদ্যোক্তা এবং নতুন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে ছিলেন। এখানে অনেক পণ্য মজুদ ছিল। এক ব্যবসায়ী বলেছেন ৭৫ হাজার ডলারের এখানে পণ্য আছে।
অবশ্যই জানিয়েছেন প্রায় দেড় কোটি টাকার প্রোডাক্ট হয়েছে এখানে যা কয়েক দিন পরে রিলিজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার রিলিজ হয়নি। এখন সেগুলো পুড়ে গেলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হবে এবং পথে বসতে হবে।
বর্তমান সময়ে শাহজালাল বিমান বন্দরে আগুন লাগার কারণ তথ্য উদঘাটন হলে এ বিষয় সম্পর্কে একটি তথ্য পাবেন সবাই। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এখানে যাবতীয় সর্বশেষ খবরগুলো আপডেট দেওয়া হয়।