জামায়েত ইসলামীর ৫ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন। আর এই বিষয় নিয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর মানববন্ধন কর্মসূচি করবেন তারা। এমনটাই জানিয়েছেন ১২ই অক্টোবর রবিবারে। আর এই কর্মসূচির প্রিপারেশন নিচ্ছেন তারা।
বর্তমানে শক্তিশালী প্রধানত গ্রহন হচ্ছে অন্যতম একটি হচ্ছে জামায়াত ইসলামী। তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন আর বিভিন্ন আসন থেকে তারা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করবেন। এই বিষয় নিয়ে তারা ইতিমধ্যে মনোনয়নের তালিকা প্রকাশিত করেছেন। তবে তাদের দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হতেও পারে বলে জানা যাচ্ছে।
তারা এই নির্বাচন উপলক্ষে যে বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশি সেটি হচ্ছে পিআর পদ্ধতি। অর্থাৎ তারা চাচ্ছেন এই পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যার কারণে স্বচ্ছতা থাকবে এবং দলীয় আকর্ষণ কম থাকবে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করেও এই মানববন্ধনের কর্মসূচি গঠন করতে যাচ্ছেন তারা।
পিআর পদ্ধতি কি
এটি হচ্ছে এমন এক ধরনের পদ্ধতি যেখানে শতকরা হিসাবে আসন বন্টন করা হয়ে থাকে। মনে করেন বাংলাদেশের সর্বমোট ৩০০ টি আসন রয়েছে। এখন মোট ভোটারের ১০% যদি কোন দল পায় তাহলে তারা এখানে মোট আসন পাবে ৩০ টি। আর যদি ২০ শতাংশ পায় তাহলে আসন পাবে ৬০ টি। অর্থাৎ শতকরা হিসাবে তা বন্টন করা হয়ে থাকে। আর কোন অঞ্চল থেকে কোন প্রার্থীকে দেওয়া হবে সে বিষয়টি ও গোপন রাখা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধতি চালু রয়েছে।
জামায়েত ইসলামীর ৫ দফা দাবি
দ্বারা এর আগেও বিভিন্ন ধরনের মানববন্ধন ও কর্মসূচি করলেও এবারে তারা পাঁচ তফাৎ দাবি নিয়ে আসছেন। আর এই পাঁচ দফা দাবি কি কি তা বিশ্লেষণ সহ তুলে ধরা হলো।
- জুলাইয়ের সনদ বাস্তবায়ন আদর্শের মাধ্যমে কোন ভোট প্রদান করে আগামী নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত নিশ্চিত করা।
- আগামী নির্বাচনে উভয়পক্ষে পিআর পদ্ধতি নির্বাচন জুলাইয়ের জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণ ভোট প্রদান করা।
- সুষ্ঠু, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
- বিগত সরকারের সকল জুলুম, অত্যাচার, দুর্নীতি এবং গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা।
- স্বৈরাচার দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ কার্যক্রমণ নিষিদ্ধ করা।
মূলত জামায়াত ইসলামীর পাঁচ দফা দাবি মানববন্ধন কর্মসূচি করেছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কার্যকর করা হবে এবং তাদের দাবি গুলো উপস্থাপন করবেন। এই বিষয়গুলো আদায়ের জন্য তারা আরো প্রচেষ্টা চালাবেন বলে জানিয়েছেন।