আশুরার রোজার ফজিলত, কয়টি রাখতে হয়?

আশুরার রোজার ফজিলত এবং আমল …… আশুরা সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি যেহেতু আমরা মুসলিম হিসেবে এগুলো আমাদের অজানা তা নয় তবে আশুরা সম্পর্কে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু বর্ণনা করে গেছেন নবীর উম্মত হিসেবে আশুরা সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে মানতে হবে।
ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: যখন নবী করীম সাঃ মদিনায় হিজরত করেন তখন দেখলেন বনি ইসরাইল একটি রোজা রাখতেছে , তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কিসের রোজা রাখতেছো তখন তারা বললো আমরা এই দিন ফেরাউনের কবল থেকে এই দিন মুক্তি পেয়েছিলাম তাই আমাদের নবী মুসা আঃ এই দিন রোজা রেখেছেন তাই আমরা এই দিন রোজা রাখি, তখন হুজুর সা বললেন আমিতো মুসা আঃ এর নিকটবর্তী বেশি তাই নবীজী সা রোজা রাখলেন এবং সাহাবায়ে কেরামদের ও রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন।

আশুরা রোজা রাখার নিয়ম?
আশুরার রোজা রাখার নিয়ম এবং আশুরার এই রোজা রাখলে নবী করিম সাল্লাল্লাহু এরশাদ করেছেন আশুরার রোজার ফজিলত হিসেবে আমাদের এক বছরের পূর্বের গুনাহ মাফ হবে। আশুরার এই রোজা রাখা হচ্ছে মুসা আঃ এর সময় থেকে যখন হযরত মুসা আঃ তার উম্মত বনি ইসরাইলকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ফেরাউনের কবল থেকে মুক্ত করেছেন, এই কারণে মুসা আঃ আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ে এই রোজা রেখেছেন এই জন্য আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোজা এবং এর আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমরা মুসলিম জাতি হিসেবে আশুরার আমল করব রোজা রাখব বেশি বেশি দুরুদ পড়ব , যিকির করব এটাই আমাদের মুসলিম হিসেবে কর্তব্য।
আশুরার রোজা কখন রাখব অর্থাৎ সময় সাধারণত আমরা যেহেতু বাংলাদেশে বাসকরি চাঁদ একদিন পরে ওঠে সে হিসেবে একদিন পরে হিসাব করতে হবে এবং মহররম এর ৯ এবং ১০ তারিখ আশুরার রোজা রাখা উত্তম। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু এর সাহাবিগন এবং এমনকি সাহাবাদের ছেলে সন্তানগন ও আশুরার রোজা রাখতেন সুতরাং বলা যায় আশুরার রোজার ফজিলত অসীম ও অনস্বীকার্য।