নতুন শিক্ষাক্রমে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও জিপিএ বাদ , শিক্ষার্থীর মূল্যায়নের ফল হবে তিনটি শ্রেনীতে।

সাহেদা জান্নাত
নতুন শিক্ষাক্রমে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও জিপিএ বাদ , শিক্ষার্থীর মূল্যায়নের ফল হবে তিনটি শ্রেনীতে

নতুন শিক্ষাক্রমে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও জিপিএ বাদ:সুপ্রিয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এবং শিক্ষক বৃন্দ সবাই নিশ্চয় অনেক অনেক ভালো আছেন ।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা সবাই নিশ্চয় already জেনেছেন এবং আরো জানার অর্থা্ৎ সর্বশ্রেনীর জানার স্বার্থে শেয়ার করলাম নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে । নতুন শিক্ষাক্রম আমাদের সন্তানকে তথা ভবিষ্যৎ কে আরো এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে অবশ্যই।

নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩

নতুন শিক্ষাক্রমে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও জিপিএ ভিত্তিক ফল থাকবেনা।

  • সৃজনশীল নামে চলা বিদ্যমান কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নপদ্ধতি বাদ।
  • শিখনকালীন ও সামষ্টিক এ দুভাগে মূল্যায়ন।
  • এখনকার মতো MCQ থাকবেনা।
  • পরীক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও এখনকার মতো কলম ও কাগজ নির্ভর পরীক্ষা হবে না।
  • জিপিএ থাকবেনা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল হবে তিনভাগে।
  • মূল্যায়নের তথ্য এপভিত্তিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষণ হবে।

নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩

মূল্যায়ন ব্যবস্থায় এ রকম বড় পরিবর্তন এনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার আলোকে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবি। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রি ডা. দিপু মনির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় নীতিমালা টি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে এনসিটিবির সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। নতুন শিক্ষাক্রমে কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে তা নীতিমালায় বর্ণনা করা হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রম যোগ্যতাভিত্তিক:
নতুন শিক্ষাক্রম হবে যোগ্যতাভিত্তিক । নতুন শিক্ষাক্রমে শিশুদেরকে এমন সব যোগ্যতা শেখানো হবে যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্যতা বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারবে।এ পদ্ধতিতে জিপিএর বদলে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা অর্জনে তাদের পারদর্শিতা কে তিনটি শ্রেনীতে ভাগ করে ফলাফল দেওয়া হবে।

  • সৃজনশীল নামে চলা বিদ্যমান কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও করা হবে না। এখনকার মতো হবহু বহু নির্বাচনী প্রশ্ন ও এমসিকিউ থাকবেনা।বিষয় ভেদে শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা অর্জনে কতটুকু সক্ষম তা সমস্যা ভিত্তিক নানা বিষয়বস্তু দিয়ে তাদের পারদর্শিতা যাচাই করা হবে।

এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মসিউজ্জামান বলেন , নীতিমালা অনুযায়ী মূল্যায়নের এ নতুন পদ্ধতিতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে কোন শিক্ষার্থীকে আরেকজনের সাথে কোন তুলনা করা হবে না। শিক্ষার্থীদের উপর আরোপ করা হবে না গ্ৰেড বা স্কোরের বাড়তি চাপ।একজন শিক্ষার্থীকে আরো এগিয়ে নিতে সর্বদা চেষ্টা করা হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমে এক শ্রেনী থেকে আরেক শ্রেনীতে উঠবে যেভাবে:
নতুন শিক্ষাক্রমে ক্লাসে উপস্থিতির উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে কেননা ।এ বিষয়ে তারিক এহসানের যুক্তি হলো ,নতুন শিক্ষাক্রমে শিখনের যে উপায় গুলো আছে তাতে একজন শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত থাকলে এমনিতেই সে এগিয়ে থাকবে।

নীতিমালার তথ্যে বলা হয়েছে,একজন শিক্ষার্থী পরবর্তি শ্রেনীতে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে তিন ধরনের সিদ্ধান্ত হতে পারে ,….
১…… একজন শিক্ষার্থী পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়েছে।
২…… উত্তীর্ণ হয়েছে।
৩…… শর্তসাপেক্ষে উত্তীর্ণ হয়েছে।

যে বিষয়ে শিক্ষার্থী দুর্বল সে বিষয়ে তার জন্য শিখন পরিকল্পনা থাকবে বিষয় গুলোর improve এর জন্য।অধ্যয়নের পাশাপাশি ঐ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
আর কোন শিক্ষার্থী যদি দু একটি বিষয়ে নূন্যতম স্তর অর্জন করতে না পারে তবে তার জন্য অতিরিক্ত শিখন ব্যবস্থার ও ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষকরা মুঠোফোনের মাধ্যমে কাজটি করতে পারবেন।আর শিক্ষার্থী মূল্যায়নের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি মনিটরিং মাধ্যমে করা হবে ।এ ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ,একাডেমিক। সুপারভাইজার, শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষা অধিদপ্তর, ভূমিকা পালন করবেন।

এই ছিল নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এছাড়াও নতুনশিক্ষার রূপরেখা নিয়ে আমাদের ব্লগে শেয়ার করা হয়েছে আপনারা ও শেয়ার করতে পারবেন ।এই পোস্ট টি শেয়ার করলাম যাতে আরো সবাই জানতে পারেন অতি সহজেই যদি কোন ভুল হয় তাহলে কমেন্টে জানাবেন।

নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩, নতুন শিক্ষাক্রমে কী থাকছে জানুন বিস্তারিত

Share This Article
সাহেদা জান্নাত পেশায় একজন প্রফেশনাল বুক রাইটার। তিনি স্কলার্সমী নিউজের সাথে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে তিনি এখানে শিক্ষক নিবন্ধন, বিডি জবস এবং শিক্ষাঙ্গনের সব ধরনের নিউজ কাভার করে থাকেন, তিনি সকল নিউজ সততা যাচাই করে ScholarsMe নিউজে প্রকাশিত করে থাকেন।