সীতাকুণ্ডে আগুন: কেন চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে?

সীতাকুণ্ডে আগুন: কেন চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটল? সীতাকুণ্ডে ভায়াবহ এই আগুন গত রাত ১০ টায় সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ হয়। আগুণ ধরার অনেক্ষণ হয়ে গেছে, এখানে লাগানে আনা যায় নি আগুন।

ফায়ার সার্ভিস সহ অন্যান্য বাহিনী আগুন নিভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আগুন নিভানোর পানির রয়েছে স্বল্পতা।

সীতাকুণ্ডের আগুন।

এ পর্যন্ত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আগুন নিভাতে আসা ফায়ার সার্ভিস কর্মী ১০ জন নিহত। আহত আসেন ৪০০ জনে অধিক। সীতাকুন্ডের আগাস বাতাসে শুধু পুড়ার গন্ধ। হাসপাতে ক্ষণে ক্ষনে ঢুকসে। হ্যাম্বুলেস।

সীতাকুণ্ডের আগ্নি বিস্ফোরণে ১০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত। এটা এই প্রথম ঘটেসে। আগুন নিভাতে গিয়ে ১০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত হয়ে যাওয়াটা।

সীতাকুণ্ডে আগুনে প্রথম কোন কন্টেইনারে আগুন লাগে।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টা। সীতাকুণ্ড থেকে ৩০ কিলোমিটার অদূরে কদমরসুল এলাকা। সেখানে একটি কন্টেইনার আছে। নাম বিএম ডিপো। সর্বপ্রথম বিএম ডিপো কন্টেইনার টার্মিনালে আগুন লাগে ৷ কিন্তু এটা বিস্ফোরণ হয়। আশপাশের এলাকা প্রায় চার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত কাপিয়ে তুলে। বিএম ডিপো বিস্ফোরণের আগুন চারি দিকে ছড়িয়ে পাড়ে। এমনকি রাসায়নিকের কন্টেইনারও বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে।

বার্না মলম ওষুধের অভাব।

পুড়ে যাওয়া মানুষোর জন্য বার্না মলম ব্যবহার করা হয়। সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ আগুন ও কন্টেইনার বিস্ফোরণের আহতরা সুচিকিৎসা পাচ্ছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণের ওষুধ নেই। নেই বার্না মলম। ঢাকা থেকে ও অন্যান্য শহর থেকে ওষুধ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সীতাকুণ্ডে।

সীতাকুণ্ডে আহতদের সেবায় সমাজকর্মী।

আহতদের সেবায় এগিয়ে এসেছেন সমাজকর্মীরা। হাসপাতে হাসপাতালে মানুষের ভীড়। আহতদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যাড পওয়া যাচ্ছে না। প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। অনেক ডোনেটর রক্ত দানের জন্য স্বেচ্ছায় দাড়িয়ে আছেন সীতাকুণ্ডের আশেপাশের হাসপাতালে।

সীতাকুণ্ডে লাইভে আসা নয়ন।

সীতাকুণ্ডে লাইভে আসা নয়ন
সীতাকুণ্ডে লাইভে আসা নয়ন

সীতাকুণ্ডে আগুননলাগার পর প্রথম লাইভে আসেন আলিউর রহমান নয়ন। তিনি মৌলভিবাজারের বাসিন্দা। নয়নের লাইভ যখন প্র ৪১ মিনিটে তখন ভয়াবহ আরেকটি কন্টেইনার বিস্ফোরণ হতে দেখা যায়। লাইভটি আরো ৪ মিনিট চলে। তখন মোবাইলের স্ক্রিন ছিল অন্ধকার।

পরবর্তীতে নয়নের অত্বীয় স্বজন তার লাশ সনাক্ত করেন। এভাবে আরো প্রাণ ঝড়েছে এই বিস্ফোরণে।

চমকে ব্যাড শূণ্যতা।

শনিবাার ৪ জুন সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের পর একের পর এক আহন ও পুড়া লোক ভর্তি হচ্ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেন কলেজের বার্ন ইউনিটে। কিন্তু আহতদের পরিমান এতটা বেশি যে হাসপাতালে জায়গা দেওয়া তাদের জন্য মশকিল হয়ে দাড়িয়েছে।

বিএম ডিপোর জিএম।

বিএম ডিপোর জিএম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে নাজমুল আকতার খান জানান, বিএম ডিপোর ধারণক্ষমতা ১০ হাজার টিইইউসের অনেক বেশি। গত ৫ জন রোজ শনিবার ৪ হাজার ৩০০ টিইইউএস কনটেইনার ছিল। কিন্তু এর মধ্যে ৩ হাজার খালি কনটেইনার রাখা ছিল। এর মধ্যে বিদেশে রপ্তানির জন্য মালামাল ভর্তি ৮০০ কনটেইনার ছিল। আর আমদানি মালামাল ভর্তি কনটেইনার ৪০০টি ছিল।

বিএম ডিপো বিস্ফোরণের তদন্ত।

সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ কেন হয়েছিল? এর নেপথ্যে কারণ কি। তা এখনো জানা যায় নি। তবে সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণের করণন কী? তা বেদর কারার জন্য সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সীতাকণ্ডের বিস্ফোরণ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড

সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণের মূল ভূমিকা রেখেছে রাসায়নিক দাহ্য। বিএম কন্টেইনার ডিপোতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ “হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড” নামের এক প্রকার দাহ্য রাসায়নিক।

সীতাকুণ্ডের অগ্নিকান্ডে লাইভ।

চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে অনেক লোক নিহত ও াআহত হয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগে অনেক লোক ঝড় হয়। বিএম ডিপোতে কজ করা কর্মচারীরা ফেইসবুকে লাইভ দিতে থাকেন। লাইভ চলা করা প্রায় ১১ জন লোক মারা যান। সীতাকুণ্ডের এই আগুন তারা ১১ জন ফেইসবুকে ধারণ করন। কিন্তু বিস্ফোরণে তারা ছিন্নবিন্ন হয়ে যায়।

মাহফুজুর রহমান

মাহফুজুর রহমান হলেন স্কলার্সমীর প্রতিষ্ঠাতা, তিনি প্রফেশনালি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং SEO (Search Engine Optimization) বিষয়ে কাজ করেন, SEO Friendly নিউজ এবং ব্লগ পোস্টে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কাজ করে আসতেছে। যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য কন্টাক্ট করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button