শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বক্তব্য, শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে ভাষান ২০২২
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ,
সুপ্রিয় সুধী উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী,প্রধান অতিথি , বিশেষ অতিথি অর্থাৎ যে,যেই অনুষ্ঠান থেকে বক্তৃতা দিবেন তাদের উপলক্ষে সালাম ,আদাব শুভেচ্ছা দিবেন।
আজ ১৮ ই অক্টোবর , আমাদের সবার চোখের মনি , কোটি শিশুর প্রানের স্পন্দন শেখ রাসেল এর জন্মদিন। আর সেই ছোট্ট সোনার জন্মদিনে আমাকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
“নদীর কলতানে , ফুলের বাগানে প্রজাতির ডানায়
উড়ে বেড়াতো যে শিশু সে আমাদের মহাকালের না ফুটা ফুল শেখ রাসেল.”
উপস্থিত সুধী,
সময়টা ছিল যুদ্ধ ও উত্তেজনায় মুখর ১৯৬৪ সাল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ঘটেছিল ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক ঘটনা।দেশ তখন উত্তাল মায়ের ভাষাকে কেড়ে নেয়ার জন্য।আর সেই অনিশ্চয়তা ও অন্ধকার এর মাঝে যিনি স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য টাকে রক্ষায় স্বপ্নদ্রষ্টা হয়ে আছেন তিনি আমাদের প্রিয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর সেই স্বপ্নদ্রষ্টার ঘর আলোকিত করে এসেছিল আমাদের নয়নমনি শেখ রাসেল।
১৯৬৪ সালের ১৮ ই অক্টোবর বিখ্যাত ধানমন্ডির ৩২ নং বাসায় আলোকিত করে এসেছিল শেখ রাসেল।
তাইতো কবির ভাষায় বলি ,
“মেঘ আদরে বোনা এমন দিনে
জন্মছিলে ছোট্ট রাসেল সোনা।”
শেখ রাসেল এর রক্তের সাথে মিশে আছে এদেশের ইতিহাস ,যার স্বপ্নের সাথে মিশে আছে এদেশের সকল শিশুর স্বপ্ন ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এর কনিষ্ট সন্তান বুকের ধন আদরের ছোট্ট রাসেল । বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ছোট্ট ভাই আদরের শেখ রাসেল।
আজ তার জন্মদিন বলতে হচ্ছে ,সেই ঘাতক নরপশুদের কথা
- ৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট ঘাতক নরপশুদের দল ঝাঝড়া করে দিয়েছিল নিস্পাপ শিশুর দেহ ।স্ব পরিবার এ নরপশুদের দল হত্যা করেছিল এই সুন্দর পরিবার টিকে।
শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব যেমন ছিলেন নৈতিক ও মানবিক গুণাবলীর অধিকারী তেমনি সেই গুনে গুনান্বিত হয়ে ছিল আমাদের সবার প্রিয় শেখ রাসেল।তার চোখের চাহনি সবার প্রান কেড়ে নিতে।আজ ও তার ছবির দৃষ্টি কোটি জনতার প্রান কেড়ে নেয়।
প্রিয় সুধী,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরোটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র ছিল শেখ রাসেল। পড়ালেখা ও ছিল অত্যন্ত মেধাবী তার গৃহশিক্ষিকা ও তাকে অনেক ভালোবাসতো।
৩২ নম্বর বাসাটি মাতিয়ে রাখতো শেখ রাসেল । ছোট্ট একটা লাল সাইকেল নিয়ে মাতিয়ে রাখতো সমস্ত বাড়িটি।সেই ছোট্ট থেকেই মানুষকে অনেক ভালোবাতো।বাসার কাজের মানুষদের কেও অনেক ভালোবাসতো তাদের সাথে রান্না ঘরে খেতে ও পছন্দ করতো ।এতটা আন্তরিক ছিল আমাদের চোখের মনি শেখ রাসেল।
শেখ রাসেলের বেশীর ভাগ সময় কেটেছিল তার বাবাকে ছাড়া কারন বাবা শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় সময়ই রাজনৈতিক কারাবন্দি ছিলেন তাই শেখ রাসেল তার মাকে আব্বা বলে ডাকতো।সেই ছোট্ট রাসেল বাবার। ব্যাথা অনুভব করতে পেরেছিল তেমনি বাবা ও ছেলের ব্যাথা অনুভব করতে পেরেছিলেন।
রাসেল ছিল তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী ।পাকা সেনারা যখন অস্ত্র পরিষ্কার করত তখন শেখ রাসেল জানালায় দাঁড়িয়ে দেখতো। শেখ। রাসেলের অনেক অস্ত্রের নাম ও জানা ছিল। শৈশবেই রাসেল এর মনে দেশপ্রেম জাগিয়ে উঠেছিল।তাইতো বন্ধু সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করতো ।
শেখ রাসেল পুলিশ এর গাড়ি দেখলেই বলতে থাকতো ,
হরতাল , হরতাল ,জয় বাংলা জয় বাংলা।
শেখ রাসেল এর কবুতর এর প্রতি অনেক টান ছিল কিন্তু সেই কবুতর এর মাংস তাকে আর কেউ খাওয়াতে পারেনী। ঘাতক দালালরা তাকে বাঁচতে দেয়নি।
যখন বাবার সাথে গল্প করতো তার বাবাকে বলতো একদিন সে আর্মি অফিসার হবে। কেননা সে তার বড় ভাইদের সব গল্প মন দিয়ে শুনতে থাকতো তখন থেকেই তার দেশের প্রতি দেশপ্রেম জাগিয়ে উঠেছিল।
মৃত্যুর দিনটি ১৫ ই আগষ্ট ।সেই ১৫ ই আগষ্ট সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে স্যালুয়োট জানানোর জন্য ঢাকা ল্যাবরোটরি স্কুলের ছয় জন ছাত্র কে বাছাই করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু কে স্যালুয়োট জানানোর জন্য , কিন্তু তা আর হয়নি ,১৯৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট তাকে তার পরিবারের সবাই কে নরপশুদের দল ঝাঝড়া করে দিয়েছিল ।কি দোষ ছিল আমাদের ছোট্ট রাসেল এর কেমন করে হত্যা করল একটু হ্নদয় কাপেনি এই ছোট্ট সোনাটিকে হত্যা করতে ।আজ আমাদের ছোট্ট সোনার জন্ম দিন ।প্রানভরে দোয়া করছি আমাদের ছোট্ট সোনার জন্য ।তাইতো বলি ,
শহীদ শেখ রাসেল তোমার মৃত্যু নাই ,
তুমি বেঁচে আছো কোটি শিশুর প্রতীক হয়ে ,শুভ জন্মদিন শেখ রাসেল।
এখানেই শেষ করছি আমি আমার বক্তব্য।
বি:দ্র: প্রিয় পাঠক আমি আপনাদের সাথে এই বক্তব্য টি শেয়ার করলাম তোমরা এখানে থেকে চাইলে ছোট রচনা ও লিখতে পারো ,, বিষয়টি বেশী করে শেয়ার করবে এবং নিজেরা ও জানবে ।