বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত থাকছে না পরীক্ষা প্রতি শিক্ষক ও অভিভাবকদের এই বিষয়টি জানা দরকার কেননা নতুন বছর এ পরিবর্তন হচ্ছে শিক্ষা পদ্ধতির ।অর্থাৎ ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষায় প্রথম হতে তৃতীয় শ্রেনী পর্যন্ত সব ধরনের পরীক্ষা তুলে দেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষা না নিয়ে জ্ঞান দক্ষতা , মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিয়ে ‘ সক্রিয় শিখন পদ্ধতিতে ‘ শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন করবেন শিক্ষকরা।
প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত থাকছে না পরীক্ষা
বছরে দু তিনবার পরীক্ষার পরিবর্তে পরীক্ষার ভয় ভীতি থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মুক্ত করতে পরীক্ষার পরিবর্তে চার মাস পর পর বছরে তিনবার শিক্ষার্থীদের শিখন অগ্ৰগতি প্রতিবেদন নামে একটি ‘রিপোর্ট কার্ড’ দেওয়া হবে। এতে শিক্ষার্থীর অবস্থা অনুযায়ী ‘সন্তোষজনক ‘,’উত্তম ‘, অতিউত্তম ,লিখা থাকবে।
নতুন শিক্ষা পদ্ধতি:
বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরে তিনবার পরীক্ষা নেয়া হয় অর্থাৎ প্রথম সাময়িক , দ্বিতীয় সাময়িক,বা অর্ধবার্ষিক, বার্ষিক পরীক্ষা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের। কিন্তু নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।স্কুলে হবে সব পড়াশোনা। পাশাপাশি সময়নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা,ও নিয়মানুবর্তিতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধ,পরীষ্কার – পরিচ্ছন্নতা,আচার আচরণ, দলীয় ও একক কাজে অংশগ্রহণ, এবং বিশেষ পারিদর্শিতা ধারাবাহিক ভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
- শিক্ষার্থীরা অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থী স্কুলে এসে কি করে, কীভাবে হাঁটাচলা করে, কীভাবে পড়াশোনা করে, শিক্ষক ও সহপাঠীদের সাথে কীভাবে কথা বলে, খেলাধুলা ও অন্যান্য বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ কেমন তার সবই মূল্যায়ন করবেন শিক্ষক রা।
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতর্ক চর্চা শুরু করতে চান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
পাঠ্য বইয়ের পরিবর্তন:
শিক্ষকরা একটি শিক্ষার্থীর প্রতি মূহুর্তের মূল্যায়ন করবেন।আর একেই ধারাবাহিক মূল্যায়ন বা সক্রিয় শিখন পদ্ধতির মূল্যায়ন বলা হয়।তার জন্য পাঠ্যবইয়ের ও পরিবর্তন হতে পারে।
- জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ( এনসিটিবি) প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উইংয়ের সদস্য অধ্যাপক ড.একে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে পড়ালেখার ধারা ও মূল্যায়নে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে ।এতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ভীতি থেকে মুক্ত হবে।
- নতুন এই শিক্ষা পদ্ধতিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীতে সাতটি বিষয়ে তিনটি বই পড়ানো হবে। তৃতীয় শ্রেনীর আটটি বিষয়ে ছয়টি বই পড়ানো হবে।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে শিখন অগ্রগতি নিয়ে চার মাস পরপর অভিভাবকদের সাথে কথা বলবেন শিক্ষকরা।ওই সময়ে অভিভাবকদের জানতে হবে কোথায় কোথায় শিক্ষার্থীর অর্থাৎ উনার বাচ্চার ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পোষাতে দূর্বল শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ নিরাময়মূলক ‘ ক্লাস করবেন শিক্ষকরা । এজন্য শিক্ষকদের যা যা, কৌশল নিতে হবে তা শিক্ষক গাইডে এনসিটিবি থেকে বলে দেয়া হবে।
- ধারাবাহিক মূল্যায়ন এর চারটি ধাপ রয়েছে।তা নিম্নরূপ:
- পরিকল্পনা প্রনয়ন।
- মূল্যায়ন পদ্ধতি।
- মূল্যায়ন পরিচালনা।
- তথ্য সংরক্ষণ। সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ কার্যকর ফলাবর্তন দেওয়া।
- ধারাবাহিক মূল্যায়নে যে কৌশল এর কথা বলা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে: মৌখিক প্রশ্নোত্তর, লিখিত প্রশ্নোত্তর,প্রকল্প ও ব্যবহারিক,একক কাজ, জোড়ায় কাজ, দলগত কাজ, সাক্ষাৎকার স্বমূল্যায়ন,সতীর্থ / সহপাঠী কর্তৃক মূল্যায়ন।
- ধারাবাহিক মূল্যায়ন শিখন – শেখানো কার্যাবলীর অংশ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখন নিশ্চিত করা হবে ।
- এই ছিল নতুন শিক্ষাপদ্বতির পরিবর্তিত রূপরেখা।যাই হোক যেভাবে হোক আমাদের একটা আশা আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন আর্দশ জাতিতে পরিণত হতে পারে।
কুমন শিক্ষাক্রম কি? আগামী বছর ৩০০ স্কুলে কুমন শিক্ষাক্রম চালু হবে
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার রেজাল্ট নভেম্বরে চাকরি পাবেন ৫৮ হাজার