ইনশাআল্লাহ অর্থ কি? ইনশা’আল্লাহ (InshaAllah) একটি আরবি বাক্য। আরবি ভাষার একটি অভিব্যক্তি। যদি কোন কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়, তখন ইনশাআল্লাহ বলা হয়। যখন ইনশাআল্লাহ বলা হয়, উদ্দেশ্য থাকে “আল্লাহ যদি চান”। আল্লাহ তাওফিক দিলে হবে। আজ আমরা ইনশাআল্লাহ নিয়ে আলোচনা করব। অনকেই ইনশাআল্লাহর অর্থ জানেন না। আবার ইনশাআল্লাহর স্পেলিং নিয়ে অনেক সংশয় থাকে।
ইনশাআল্লাহর অর্থ কি।
ইনশাআল্লাহ বাক্যটি আরবি। যার অর্থ যদি আল্লাহ চান” বা “আল্লাহর ইচ্ছাগত”।
ইনশাআল্লাহর ব্যবহার।
এই বাক্যাংশটি সাধারণত মুসলিম, আরবের খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মের আরব লোকেরা ব্যবহার করে থাকেন। ভবিষ্যতে ঘটবে বলে আশা রাখেন এমন ঘটনার ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ উল্লেখ করেন য।
ইনশাআল্লাহর আরবি
ইনশাআল্লাহ তিনটি শব্দ মিলে গঠিত। যার আরবি হলো إِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ
ইন অর্থ যদি, শা অর্থ চাওয়া, আর আল্লাহ ত আল্লাই। সুতরাং ইনশাআল্লাহ অর্থ দাঁড়ায় – যদি আল্লাহ চান।
ইনশাআল্লাহ ব্যবহার করা যায় না।
অবৈধ কোনো কাজ করার ব্যাপারে ‘ইনশাআল্লাহ’ জায়েজ নেই।
- চুরি করা।
- ডাকাতি করা।
- ব্যভিচার।
- দুর্নীতি।
- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ।
- যাবতীয় অপরাধ ও অনৈতিক কাজে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা সম্পূর্ণ হারাম
ইনশাআল্লাহ ব্যবহার নিষিদ্ধ।
ইনশাআল্লাহ বলা অনকে ফজিলতপূর্ণ। কোন কাজ মানুষের ক্ষমতাবলে হয় না। বরং আল্লাহর ইচ্ছায় হয়। তাই ইনশাআল্লাহ বলে আল্লাহর উপর কাজকে সোপর্দ করা হয়।।
এমন অনেক ক্ষেত্র আছে, যখন ইনশাআল্লাহ বলা নিষিদ্ধ। যেমন – আল্লাহর কাছে এমনভাবে বলা যে, আল্লাহ যদি আপনি চান এটা-সেটা দান করুন। এভাবে বলা অনেকটা আল্লাহকে বাধ্য করার মতন। তাই ইনশাআল্লাহ এভাবে বলা যাবে না, নিষিদ্ধ ।
ইনশাআল্লাহর সঠিক বানান।
ইনশাআল্লাহ এর উচ্চারণ যদি ঠিক থাকে এটা বাংলায় অথবা ইংরেজিতে লিখলে কোন সমস্যা নেই।
আমরা নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারো সাথে কথা বলতে إِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ, কিংবা বাংলায় ইনশাআল্লাহ বা ইনশা আল্লাহ অথবা ইংরেজিতে InShaAllah বা In Sha Allah লিখি। এই শব্দ সবগুলোই সঠিক হবে। যদি আরবি উচ্চারণগুলো ঠিক থাকে।
কেন ইনশাআল্লাহ বলতে হয়?
ইনশাআল্লাহ কেন বলতে হয়? আমরা যদি ভবিষ্যতে কোন কাজ করতে চাই, তখন ইনশাআল্লাহ বলি। আমরা ত আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোন কাজ করতে পারি না। তাই আল্লাহর কাছে আমরা সাহায্য চাই। আল্লাহ যদি চান হবে। এখানে আমাদের কোন ক্ষমতা নেই।
ইনশাআল্লাহ না বলার ক্ষতি।
ইনশাআল্লাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যদি ইনশাআল্লাহ না বলি তাহলে আমাদের কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। নিচের ঘটনাগুলো থেকে এমনটিই জানা যায়।
ইনশাআল্লাহর ঘটনা।
ইনশাআল্লাহ না বলার ক্ষতি ব্যাপক। যেমন- রাসুলুল্লাহ সা. একবার কাফিরদের প্রশ্নের জবাব দিবেন বলে জনান। কিন্ত শেষে ইনশাআল্লাহ বলতে ভুলে যান। আল্লাহর কাছে বিষয়টি ভালো লাগে নি। তাই কয়েকদিন ওহী নাজিল বন্ধ থাকে। ইনশাআল্লাহ না বললে আল্লাহ নারাজ হন। তাই কোন কাজ করার ইচ্ছা করলে ইনশাআল্লাহ বলতে হয়।
বানি ইসরায়েলের গরু যাবেহের ঘটনার দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, তারা অনেক চেষ্টা করেও নির্দিষ্ট গুরু খুজে পেল না। শেষমেস তারা মুসা আ. এর দেখানো পথ মেনে নেয়। এবং ইনশাআল্লাহ বলে। তাই তারা কাঙ্ক্ষিত গরুটির সন্ধান পেয়ে যায়।
সুলেমান আ. মনস্থ করলেন ১০০ স্ত্রীর সাথে মিলিত হবেন। একজন সন্তান জন্ম নিবে। যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে। কিন্তু সহবাসের পূর্বে ইনশাআল্লাহ বলতে ভুলে গেলেন। তাই কোন সন্তান জন্ম হয়নি, শুধুমাত্র একজন অপূর্ণাঙ্গ সন্তান জন্ম নেয়।
ইনশাআল্লাহর গুরুর ও ফজিলত।
উপরের ঘটনা থেকে বুঝা যায় ইনশাআল্লাহর অনেক ফজিলত ও গুরুত্ব রয়েছে। ইনশাআল্লাহ না বললে একধরণের উদ্ধ্যতা ও অহংকার প্রকাশ পায়। যা বান্দার জন্য কখনো কাম্য নয়। বান্দা আল্লাহর কাছে নমনীয় থাকবে। তার কাজ কর্মে আল্লাহর প্রতি ঈমান ও ভালোবাসা প্রকাশ পয় এমন হওয়া উচিত।