শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ব্যাক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমানো নির্দেশ

সাহেদা জান্নাত
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ব্যাক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমানো নির্দেশ

আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ব্যাক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমাতে হবে এই প্রসঙ্গে। কেননা অনেক শিক্ষার্থী কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ব্যাক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে একবার স্কুল যাচ্ছে আরেকবার কোচিং এ যাচ্ছে এরকম করে অনেক সমস্যার যেমন যানজট ,পরিবেশ দূষণ সহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ব্যাক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমানো নির্দেশ

জ্বালানী সাশ্রয় এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ যানবাহন অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের ব্যাক্তিগত পরিবহন সীমিত করার চিন্তাভাবনা করছে । এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ব্যাক্তিগত গাড়ি কমানো ও স্কুলের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা চালুর জন্য স্থায়ী সুপারিশ প্রনয়ন এর কাজ করছে এ কমিটি। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু জ্বালানী সাশ্রয় নয় , রাস্তা ঘাটে যানজট নিরসনে এ উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লো

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী আর এই ঢাকাই হলো দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কেন্দ্র। দেশের অন্য শহর থেকে ঢাকায় প্রাথমিক , মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সংখ্যা বেশী এবং উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকেই কিন্তু ঢাকায় অবস্থান করেন । বাবা ,মা অনেক তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ঢাকার স্কুল কলেজ,ও বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি করান।আর এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি পরিবহন ব্যবস্থাও প্রভাব ফেলে।

জাইকার তথ্যমতে,
রাজধানীতে প্রতিদিন দুই – আড়াইকোঠি ট্রিপের প্রয়োজন।মোট ট্রিপের আঠারো শতাংশ কিন্তু শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের যাতায়াত এর জন্য।আর বেশীর ভাগ গাড়ি কিন্তু ব্যাক্তিগত।তার কারন রাস্তাঘাটের যানজট।

  • পৃথিবীর অনেক জায়গায় কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে এলাকাভিত্তিক । কিন্তু আমাদের ঢাকায় বেশীর ভাগ স্কুল কলেজ কিন্তু ব্যস্ত সড়কের পাশে যার অন্যতম একটি কারণ হলো যানজট ও অতিরিক্ত ব্যক্তিগত যানবাহন।
  • বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক হাদিউজ্জামান যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে অভিহিত করেছেন যে স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কোন পরিবহন পরিকল্পনা বা নীতিমালা গড়ে না ওঠা।
  • তিনি বলেন , প্রথমত ঢাকার বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে।
  • দ্বিতীয়ত, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এখন অনেকটা কোচিং নির্ভর যার কারনে একটি শিক্ষার্থী কিন্তু দুবার যাতায়াত করতে হয় যানবাহন পরিবহন এতে আরো বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এ চাপ সমন্বয় এর জন্য এখন ও আমরা কোন নীতিমালা গড়ে তুলতে পারিনি।

প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত থাকছে না পরীক্ষা, মূল্যায়ন করা হবে যেভাবে

২০১০ – ২০১১,

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সকাল‌ ৮ টায় ও অফিস আদালত সকাল‌ প্রায় ,৯ টায় শুরু হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালত এর সময় ধাপে ধাপে করা হবে ফলে সড়কে চাপ ও কমে আসবে । কিন্তু জ্বালানী সাশ্রয়ের জন্য সময় সূচি সকাল ৮ টায় আনা হয়েছে, সরকার এর এ সিদ্ধান্ত এর কারনে নীতিমালা অনুযায়ী যানবাহন এর বিষয়টা আর কাজে আসতে পারছেনা।

  • অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেছেন,
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ব্যাক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল একটি আদর্শ নীতিমালা।আর এই নীতিমালা বাস্তবায়ন এর জন্য সঠিক পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন এবং নীতিমালাটি কে দক্ষভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
  • ব্যাক্তিগত গাড়ির ব্যাবহার কমাতে স্কুল বাস চালু করার কাজ করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।স্কুল বাস চালু হলে যানজট ব্যাপক হারে কমবে।ফলে দূষণ ও কমবে । শিক্ষকরা এতে একমত পোষণ করেছেন তবে অভিভাবক দের মতামত টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়।

সবশেষে বলা যায় ব্যাক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কেননা স্কুল বাস ব্যাবহার‌ করলে যেমন জানজট কমবে তেমনি শিক্ষার্থীদের ও ভালো হবে সময়মত স্কুল কলেজ এ যেতে পারবে ।

Share This Article
সাহেদা জান্নাত পেশায় একজন প্রফেশনাল বুক রাইটার। তিনি স্কলার্সমী নিউজের সাথে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে তিনি এখানে শিক্ষক নিবন্ধন, বিডি জবস এবং শিক্ষাঙ্গনের সব ধরনের নিউজ কাভার করে থাকেন, তিনি সকল নিউজ সততা যাচাই করে ScholarsMe নিউজে প্রকাশিত করে থাকেন।