বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি (১৬ ই ডিসেম্বর বিজয়ের কবিতা)

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি ১৬ ই ডিসেম্বর

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি ১৬ ই ডিসেম্বর নিয়ে আপনাদের সাথে আমরা বেশ কয়েকটি বিজয় দিবস অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর এর কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করছি এই কবিতা গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। পাশাপাশি এই কবিতাগুলো আপনি চাইলে আপনার বন্ধু দের সাথে শেয়ার করেও অনেক প্রশংসা পেতে পারেন। চলুন তাহলে শুরু করি।

★ তুমি দূরের ওই আকাশে থাকো তাকিয়ে ,
দেখো লক্ষ লক্ষ স্মৃতিতে ঘিরা লাল এবং সবুজ এর নিশানা উড়ে।
কারণ আমরা আমরা বাঙালিরা দীর্ঘ নয়টি মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করার পরে,
আমরা লাভ করেছি আমাদের বহুল প্রতীক্ষিত এই ১৬ ডিসেম্বর এর বিজয় ।
হাজার হাজার বাঙালি নিরীহ ভাই বোন ও মায়ের চোখ ভিজে গিয়েছিলো জলে ,
কারণ তারা এই বিজয় অর্জন করেছে শুধুমাত্র বাংলা বলে।
অসংখ্য টগবগে যুবক দিয়েছে তাদের তাজা প্রাণ আমাদের এই জন্মভূমি বাংলার জন্য,
এরই জন্য আমরা ১৬ই ডিসেম্বরের এই তারিখে বাঙালি জাতি হিসেবে ধন্য হয়ে আছি ।

★ আমাদের এই বাংলার বুকে এসেছে পাকিস্তানি হায়না,
তাই বলে তুমি কেনো কাঁদছো মাগো ?
তোমার এই সাহসী ছেলেরা থাকবে না বসে ,
সে তোমারি নির্ভয়ে করিতে যাইবে নিরাপদে ঠাই।
বাংলার নিরীহ বাঙালির নির্মম নির্যাতনে,
অত্যাচারীরা আজ বসে আছে উঁচু সিংহাসনে।
তাইতো মোরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছি আপন ঘরে,
অনেক রক্ত এবং জীবনের বিনিময়ে দিয়ে আমরা ছিনিয়ে এনেছি  এই বিজয় ।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য

★ অত্যাচারী পাক হানাদার বাহিনীর হাতে,
নিরীহ বাঙালিরা মৃত্যুর স্বীকার করেছিল দিনে রাতে।
আর নিষ্ঠুর হায়েনাদের হাতে জীবন দিয়ে,
তারা বাংলার মাটিতে শহিদ হলো তাতে।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে,
পাক হানাদারদের সাথে যুদ্ধ হলো শেষ।
১৬ই ডিসেম্বরে ঘোষিত হল,
আমাদের সোনার এই সোনার বাংলাদেশ।

বিজয়ের কবিতা

★ ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস,
তবে তার পরেও এই দিনে,
আমাদের মাঝে অনেক কষ্ট আছে।
কারণ বাংলাদেশ কে স্বাধীন করার জন্য,
১৯৭১ এর যুদ্ধে শত শত নিরীহ বাঙালি হারিয়েছে প্রান।
যারা কিনা আমাদের দেশের জন্য কঠোর যুদ্ধ করে ছিনিয়ে এনেছে স্বপ্নের বিজয়।
সেইসকল অকুতোভয় দেশ প্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা কি করে ভুলে থাকি ?
তাই তো আমরা পালন করি এই ১৬ই ডিসেম্বর।

★ খোকার পাগলী মা এখনো স্বপ্ন দেখে,
তার যুদ্ধে যাওয়া খোকা আসবে ফিরে।
এসেই মাকে জড়িয়ে ধরে বলবে,
মা দেখো আমি দেশকে করেছি স্বাধীন,
আমরা নই আর পরাধীন।
আমরা ছিনিয়ে এনেছি বিজয়,
মাগো আমরা তো করেছি জয়।
পৃথিবীর ভূখণ্ডে বাংলাদেশ থাকবে নাম,
সারা পৃথিবী জানবে,
দেশ এবং বাংলা ভাষার জন্য তাদের  জীবন ত্যাগের এই সংগ্রাম।

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

১৬ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ এর ইতিহাস | বিজয় দিবসের ইতিহাস ২০২২

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা, বক্তব্য, স্ট্যাটাস ২০২২

★ ১৬ই ডিসেম্বর হলো আমাদের বিজয় দিবস,
যেইদিন বাঙালি জাতি অর্জন করতে পেরেছিলো তাদের কাঙ্ক্ষিত বিজয়।
বাংলার এই মাটিতে তাদের জয় ,
দূরিত হয়েছে তাদের মনের ভেতরে জমা থাকা শত ভয়।
পাশাপাশি লাল সবুজের তৈরি করা সেই পতাকাটির খুঁটি হয়েছে বহুগুণ শক্ত।
কিন্তু আমাদের এই পতাকা অর্জন এর পিছনে,
লক্ষ লক্ষ নিরীহ বাঙ্গালীদের তাজা রক্ত রয়েছে ।
যারা এই যুদ্ধে হয়েছেন শহীদ এবং পৃথিবীহারা,
কি দিতে পেরেছি তাদের আমরা , এখনো যারা আছি আমরা ?

★ ১৬ই ডিসেম্বর এই দিনে সৃষ্টি হয়েছে,
বাংলাদেশ নামক একটি অভ্যুদয়।
কিন্তু আপনি কি জানেন,
এই বিজয়ের পেছনে কত রয়েছে রক্তের বিনিময়?
এই বিজয় সেই বিজয় নয়,
এই বিজয় হলো  কোটি কোটি মানুষের তাজা প্রাণের রক্তের ধারা।
এই ডিসেম্বর এর বিজয় অর্জন করতে ত্যাগ করতে হয়েছে জীবন,হাজার মা বোনেরা  ইজ্জত ।
যার ফলে  আমরা আজ স্বাধীন এক বাঙালি জাতি ,
নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছি পৃথিবীর এই মানচিত্রে ।
তাইতো আমরা এই বিশেষ দিনে, 
গাই বিজয়ের গান ।

★ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় শোষণের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে ,
ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তাদের সকল প্রকাশ ত্রাস।
সাহসী বীর বাঙালি জাতি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে  ছিনিয়ে এনেছে তাদের স্বপ্নের বিজয়।
স্বপ্নের এই বিজয় বাংলার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে বিজয়ের -ই উল্লাস।
যারা আমাদের এই দেশের মাটিতে,
আমাদেরকে মেরে বানিয়েছিলো কুখ্যাত এই শ্মশান।
অবশেষে আমরা তাদেরকে হারিয়েছি,
পাশাপাশি লাল সবুজের তৈরি পতাকাকে কে নিয়েছে বিজয়ের সুউচ্চ নিশানে।
এই ১৬ ডিসেম্বর শুধুমাত্র বিজয়ই কিংবা শুধু মাত্র বিজয় নয়,
এই বিজয় হলো দেশে বসবাসকারী  প্রতিটি মানুষের এক গৌরবের বিজয়।
যেই গৌরবের বিজয় অর্জন করার মাধ্যমে ,
বাংলাদেশ পেয়েছে এক স্বাধীন ভূখণ্ডের খ্যাতি।

★ ১৬ই ডিসেম্বর তুমি আমাদের বাঙালির তথা বাঙালি জাতির জন্য অহংকার,
১৬ই ডিসেম্বর,  তুমি আমাদের স্বপ্নের বিজয়ের কাঙ্ক্ষিত দিন,
১৬ই ডিসেম্বর তুমি হলে লক্ষ কোটি বাঙালির আবেগের নাম ।
১৬ই ডিসেম্বর তুমি হলে  কোটি কোটি বাঙালি মানুষের জন্য মহা আনন্দের একটি দিন,
১৬ই ডিসেম্বর তুমি হলে হাজারো সন্তান হারা নিরীহ মায়েদের কেবলমাত্র শান্তির এক বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস।
১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জন্য শান্তির একটি আঙ্খান,
১৬ই ডিসেম্বর এই দিনে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হয় নতুন ভূখণ্ডের একটি নতুন দেশ আমাদের দেশ বাংলাদেশ ।
১৬ ই ডিসেম্বর দিনটি হলো বাঙালি জাতির জন্য বীরত্বের একটি দিন ,
১৬ই ডিসেম্বর হলো লাখো  নিরীহ বাঙালির বুক থেকে ঝরে যাওয়া রক্ত দিয়ে লেখা একটি মাস ।
১৬ই ডিসেম্বর হলো সমস্ত বাঙালি জাতির বুকের মধ্যে জেগে থাকা আশার আলো ।
১৬ই ডিসেম্বর হলো প্রতিটি বাঙালির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাস ।

★ প্রায় দীর্ঘ নয়টি মাস যুদ্ধ করার শেষে,
আমরা পেলাম আমাদের আশার ও ভালোবাসার শত্রু মুক্ত দেশ বাংলাদেশ।
নিজের মাতৃভাষা অর্থাৎ মায়ের ভাষাতে কথা বলার একটা সুন্দর সুসজ্জিত পরিবেশ পেয়েছি।
কিন্তু আমাদের ভুললে চলবে না এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমরা হারিয়েছি শত শত তাজা প্রাণ।
হাজার হাজার নিরীহ বাঙালির ঝরেছে রক্ত,
হাজার হাজার অসহায় নিরীহ বাঙালি মা ও বোনের হারিয়েছেন তাদের প্রাপ্ত সম্মান।
এবং অবশেষে বাংলার বীর শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে,
আমরা পেয়েছি আমাদের যথাযথ স্বাধীনতার দাম।
১৬ই ডিসেম্বর আমাদের এই মহাম বিজয় দিবস অমর হয়ে থাকুক চিরতরে ।

★ জন্ম ভূমির এই মাটির বুকে,
আমরা বাঙালিরা উড়তে পারি না ডানা উড়ে ।
একাত্তরের এই মুক্তিযুদ্ধ,
তোমারি জানা রয়েছে কি ?
স্মরনীয় এই যুদ্ধে পরাজয় বরণ করেছিলো ,
তারা ছিলো কুখ্যাত পাকস্তানি বাহিনীর এই হায়না।
গৌরভময় এই একাত্তর এর মুক্তিযুদ্ধে,
পাকিস্তানি এই হানাদার বাহিনী ছিলো অত্যান্ত হিংস্র।
তারা কখনোই বোঝার কোনো চেষ্টা করেনি,
যে এই নিরীহ বাঙালি জাতি ছিলো নাকি সেই ঘুমন্ত।
নির্বিচারে ছিনিয়ে নিয়েছে অসংখ্য প্রাণ ,
হায়নারই মতো।
বাঙালি মানুষকে হানাদার রা যেভাবেই না পেয়েছে,
হত্যা করেছে পাখির মতো ।
উপায়হীন এই জাতি মরেছে কেঁদে ,
যেন কেউই নেই আর বাঁচার মতো ।
কিন্তু হঠাৎ করেই এই বীর মুক্তিযোদ্ধা দের জয়ের আনন্দে মিললো ,
বিজয়ের ই পতাকা,
দীর্ঘ নয়টি মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তি যুদ্ধের পরে,
প্রিয় বাংলার এই ভূমিতে মেললো বিজয় এর এই স্বাদ।
তাই বলে কি আমরা ভুলে যেতে পারি ,
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের থেকে পাওয়া কঠিনতম আঘাত?

Share This Article
মাহফুজুর রহমান হলেন স্কলার্সমীর প্রতিষ্ঠাতা, তিনি প্রফেশনালি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং SEO (Search Engine Optimization) বিষয়ে কাজ করেন, SEO Friendly নিউজ এবং ব্লগ পোস্টে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কাজ করে আসতেছে। যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য কন্টাক্ট করতে পারেন।
Exit mobile version